অবশেষে চশমাটা নিয়েই নিলাম
3 comments
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার চলে এলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব অবশেষে আমিও চশমা নিয়ে ফেলেছি এবং সেই নিয়ে কিছু অনুভূতি ।বেশ কিছুদিন ধরেই বুঝতে পারছি যে চোখের প্রবলেম হয়েছে কিন্তু আলসেমী করে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই হচ্ছিল না । এদিকে ছেলেকে নিয়ে কিন্তু বারবার চোখের ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হচ্ছে । ছেলের চোখের সমস্যা হয়েছে সেটা আপনাদের সাথে এর আগে শেয়ার করেছি এবং দুই মাস তিন মাস পর পর ডাক্তারের কাছে যেতে হচ্ছে ওকে নিয়ে । তাই নিজের চোখের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম ।
তারপরও মনে হচ্ছে আমার সমস্যাটা ভালই অনেক হয়েছে মনে মনে দেখানোর কথা ভাবছিলাম । আর ভেবেই রেখেছিলাম যে যখন ফরিদপুরে যাবো তখন আমি আর ওয়াহিদা একসাথে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে আসব । ঢাকায় আর ডাক্তার দেখালাম না শুধু তো মাত্র পাওয়ারের সমস্যা যেটা আমি বুঝতেই পারছিলাম । তাই এবার যখন ফরিদপুর গিয়েছি তখন আমরা সময় করে চলে গিয়েছিলাম চোখের ডাক্তারের কাছে । সেখানে গিয়ে বেশ খানিকটা সময় নিয়েই আমাদের দুজনকে দেখাতে হয়েছিল । ডাক্তার এর কাছে রোগীর অনেক সিরিয়াল ছিল । তারপরও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে শেষমেশ দেখাতে পেরেছিলাম ।
প্রথমে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন তারপর কম্পিউটারের চোখ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেলো আমার চোখের অনেকটাই পাওয়ার বেড়ে গিয়েছে দূরের জিনিস এবং কাছের জিনিস কোনটাই আমি সেরকমভাবে দেখতে পারিনা ঝাঁপসা লাগে । যার কারণে চশমা নিতেই হবে । ডাক্তার চশমা নেয়ার কথা বলে দিল এবং চোখের একটা ড্রপ দিয়ে যেটা একমাস নিতে হবে । এরপর আমরা সেখান থেকে বাসায় চলে আসলাম তারপর বিকেলবেলা আবার গেলাম চশমা বানাতে । সেখানে দেখলাম চশমা তেমন একটা পছন্দ হলো না এবং যার কারণে আমি ঢাকায় এসে চশমা বানানোর সিদ্ধান্ত নিলাম । এরপর ঢাকায় আসার পরে তিন চারদিন পরে আমাদের বাসার নিচে একটা চশমার দোকান আছে সেখান থেকে চশমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম । সেখানে চলে গেলাম আর বাসার আশেপাশ থেকে নিলে সমস্যা হলে সেখান থেকে পাল্টানো যায় যার কারণে আর দূরে গেলাম না । সেখানে গিয়ে কয়েকটা চশমা দেখার পর একটা চশমা পছন্দ হলে সেখান থেকে চশমাটা নিয়ে নিলাম । একদিন পরে ওরা চশমাটা দিয়ে দিল এবং নিয়মিত চশমাটা পড়তে বলেছে । কিন্তু চশমাতে চোখে আমি দিতেই পারি না দিলেই কেমন অস্বস্তি লাগে । যতই দূরের জিনিস ঝাপসা দেখি না কেন খালি চোখে বেশি ভালো লাগে । যেটা সেট হতে একটু সময় লাগবে ডাক্তার বলেই দিয়েছে । তারপরও নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছি চশমাটা পরার ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Comments