পিংক সিটিতে একদিন
6 comments
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বাচ্চাদের স্কুলে গিয়ে দুই ঘন্টা বসে থাকতে থাকতে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। বিশেষ করে গার্জিয়ানদের সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘন্টা গল্প করতে করতে ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। আমাদের এরকম বেশ কয়েকজন একসঙ্গে বসতে বসতে বান্ধবীর মত হয়ে গিয়েছে। তাই সবাই মিলে বাচ্চাদের পরীক্ষার পর একটি গেট টুগেদার জন্য করার চিন্তা করছিলাম। তারমধ্যে এক ভাবি বলল যে তার বাসায় সবাইকে যেতে। তার বাসা পিংক সিটিতে। পিংক সিটিতে আমাদের যাওয়া হয়নি। পিংক সিটি ঢাকার বসুন্ধরার পরেই। একেবারে ভিন্ন রকম ভাবে এই পিংক সিটি তৈরি। এখানে প্রতিটি বাসা দোতলা করা। বড় বড় কোন বিল্ডিং নেই। প্রচুর গাছপালা এবং চারপাশে খোলামেলা জায়গা। সব বিল্ডিং গুলো একই রকম হওয়ার কারণে দেখতেও খুব চমৎকার লাগে। আমাদের সবারই পিংক সিটি দেখার ইচ্ছা ছিল এজন্যই ভাবি এই অফারটি করেছিল।
তাই উনি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমরাও সবাই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। বাচ্চাদের যে দিন রেজাল্ট দিবে সেদিন যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম। কারণ রেজাল্টের দিন সবাই স্কুলে আসবে। কারো মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। যেহেতু ওনার বাসায় আমরা সবাই যাব তাই ওনাকে বেশি প্রেশার দিতে চাচ্ছিলাম না আমরা। বাচ্চারা এবং গার্জিয়ান মিলে মোট ২৭ জনের মত ছিলাম। এত জনের রান্নাবান্না করতে গেলে ওনার অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম যে সবাই ওয়ান ডিস রান্না করে নিয়ে যাব। ওয়ান ডিস পার্টির মতো অনেকটা। উনি শুধু রাইস এবং মাংস রান্নার দায়িত্ব নিয়েছিল। আর বাকি সব খাবার আমরা নিয়ে গিয়েছিলাম। এক একজন এক একটা আইটেম ভাগ করে নিয়েছিলাম। তাই খুব একটা প্রেশার হয়নি কারোর জন্য।
শীতের দিন এমনিতে খুব ছোট হয়। তাই আমরা স্কুলের রেজাল্ট নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চলে গিয়েছিলাম। সাড়ে এগারোটার মধ্যে আমরা ওনাদের বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। গিয়ে আমরা আশেপাশে ঘুরে দেখছিলাম। এত সুন্দর। আমাদের যাওয়া উপলক্ষে বাড়িঘর খুব সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছিল। শুরুতেই আমরা বাইরে বসেছিলাম। বাইরে বেশ সুন্দর বসার জায়গা ছিল এবং আশেপাশের বাড়ি গুলো দেখছিলাম। সবগুলো বাড়ি একই রকম। কোনো বড় বড় বিল্ডিং নেই যার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছিলো। ওনার বাসাটাও খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা। বেশ বড় একটা একুরিয়াম দেখলাম। আমার ছোট ছেলে তো শুরুতে গিয়ে একুরিয়ামের মাছদের খাবার খাওয়াবে। এই সময় মাছের ছবিগুলো তুলেছিলাম।
বাচ্চারাও এত খোলামেলা জায়গা পেয়ে খুবই খুশি। তাছাড়া বাইরেও গাড়ির খুব একটা চাপ নেই। রাস্তার উপর দিয়ে বাচ্চারা খেলতে পাচ্ছে। বসুন্ধরা আবাসিকের রাস্তার উপরে দাঁড়ানো যায় না। এত গাড়ির চাপ থাকে। বাচ্চারা সবাই মিলে খুব আনন্দ করেছিল সেদিন। তাছাড়া অনেক ধরনের খাবার সবাই রান্না করে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেগুলোর ছবি অন্য একদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I Phone 15 Pro Max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Comments