স্মৃতিচারণ : কোন এক শীতের সকালের গল্প
2 comments
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। অনেকদিন পর আসলে তোমাদের সাথে কোন স্মৃতিচারণ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আগে প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করতাম তোমাদের সাথে একটি করে স্মৃতিচারণ শেয়ার করার জন্য। তবে অনেকদিন ধরেই কোন স্মৃতিচারণ তোমাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। এখন শীতের মৌসুমী শুরু হয়ে গেছে।তাই শীত রিলেটেড একটি স্মৃতিচারণে তোমাদের সাথেই শেয়ার করবো। জীবনের অনেক বছরই শীতের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। তবে আমাদের এই ঘোরাঘুরিটা অন্য সবার থেকে কিছুটা আলাদা হয়ে থাকে। কারণ আমরা একদম সকালবেলা বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে যেতাম অনেক আগে। যে সময় মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট পেত সেই সময় আমরা চলে যেতাম বিলের ভিতর মাছ, টাটকা সবজি কেনার জন্য।
আসলে একদম সকালে গেলে অনেক ভালো ভালো জিনিসই পাওয়া যায়। আর আমরা যেহেতু একদম গ্রামে চলে যেতাম এগুলো কেনার জন্য। তাই সেগুলো বাড়ি কিনে নিয়ে আসলে বাড়ির লোক যেন অনেক খুশি হতো। কারণ এত টাটকা জিনিস শহরে কোন ভাবেই পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। যাইহোক, তিন বছর আগে কোন এক শীতের সকালে আমি এবং আমার এক দাদা বাইক নিয়ে চলে গেছিলাম ব্যারাকালী নামক একটি গ্রামের দিকে। আসলে সেই দিন একদম ভোর পাঁচটার দিকে আমরা রওনা করেছিলাম। আমাদের ইচ্ছে ছিল এই ভোরের প্রকৃতিটা উপভোগ করা। সেই সাথে সেখানে পৌঁছে আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন মাছ, সবজি এগুলো কেন। যাইহোক, সেদিন আমরা পুরো প্রোটেকশন নিয়ে সেখানে গেছিলাম অর্থাৎ গায়ে মোটা সোয়েটার মাথায় টুপি সবকিছুই ছিল। তবে সেদিন সকালে এতটাই ঠান্ডা পড়েছিল আমরা কিছুদূর বাইক নিয়ে যাওয়ার পরে আর যেতে পারছিলাম না।
প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে এমনটা মনে হচ্ছিলো আমরা বরফ হয়ে যাচ্ছি বাইক চালানোর সাথে সাথেই। যাইহোক, সেদিন আমরা হাতমোজা পড়ে যাইনি এই কারণে আমার যে দাদা বাইক চালাচ্ছিলো তার হাত একদম জমে যার উপক্রম হয়ে যায়। অন্যদিকে আমি পিছনে বসে থাকলেও আমার প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছিলো আর হাত একদম শীত আর হয়ে গেছিল। আমরা কোন উপায় না পেয়ে অনেকদূর বাইক চালিয়ে বাইক না চালিয়ে বাইকের ইঞ্জিনে আমরা হাত গরম করি এরকম পরিস্থিতি আমাদের হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমরা সেদিন বের হয়ে ভাবছিলাম কখন সূর্য উঠবে। তবে আমরা যে সকালে রওনা করেছিলাম সূর্য ওঠার অনেকটাই দেরি ছিল। যাইহোক, বাইকের ইঞ্জিনে হাত গরম করে অনেক কষ্টে আমরা সেই গ্রামে পৌঁছাই। তবে সেইদিন গিয়ে আমরা ভালো মাছ এবং সবজিও পেয়েছিলাম।সেই কারণে সেদিনের যাওয়াটা সার্থক হয়েছিল। এভাবেই প্রত্যেক শীতের এরকম মেমোরিস আমাদের হয়ে থাকে। আর সামনে আবার শীতে আসছে এরকম মেমোরি আবার পাওয়া যাবে।
Comments