মেয়ের জন্মদিনে কেক কেনার মুহূর্ত
14 comments
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আজকের ব্লগটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গতকালের দিনটা অনেকটা ব্যস্ততম একটা দিন গেছে। যদিও তেমন কোন আয়োজন নেই তারপরও দিনটা অনেকটা ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে। সারাটা দিন চেষ্টা করেছি মেয়েটাকে আনন্দ দেওয়ার ভালো রাখার ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত তাকে নানাভাবে আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করেছি। মা হিসেবে মেয়েকে এতোটুকু আনন্দ দেয়া আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বলে মনে করি। এবার বলি আসল কথা গতকাল ছিল আমার মেয়ের জন্মদিন। এবার ওর ছয় বছর পূর্ণ হল। ছোটবেলায় তেমন কোন কিছু করা হতো না বা ও তেমন বুঝতেও না। কেক কিনে দিলেও খুশি তবে এবার তার অনেক রকম আবদার ছিল। বাবার কাছে মায়ের কাছে। আমি চেষ্টা করেছি ওর সব রকম আবদার পূরণ করতে ওর জন্মদিন নিয়ে কয়েকটি ব্লগ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তবে আজ এখন শেয়ার করছি ওকে নিয়ে কেক ডেলিভারি নেওয়ার মুহূর্ত টা।
গোবিন্দগঞ্জে যখন প্রথম আসি তখন এখানে তেমন কোন ভালো কেক পেতাম না।ওই বাজারে গিয়ে দোকানের যেগুলো নরমাল কেক সেগুলোই পেতাম। তবে এখন একটা কেকের দোকান থেকে খুব ভালো কেক পাওয়া যায়। কেকের দোকানটা নতুন দিয়েছে তবে ওরা আগে বাড়ি থেকে কেক ডেলিভারি করতো যেটা আমার খুবই ভালো লাগতো ওদের অনলাইনে অর্ডার করলে বাসায় কেক পেয়ে যেতাম। বেশ ভালো ছিল সার্ভিসটা। এখন দোকানে গিয়ে অর্ডার করতে হয়। ওর জন্মদিন যেহেতু ২৮ শে অক্টোবর এ জন্য আমি ২৭ তারিখে গিয়ে কেকটা অর্ডার করে এসেছিলাম এবং আমি ও আমার মেয়ের পছন্দের কেকটা অর্ডার করেছি। এর আগেও আমাদের বাসায় ঐ কেক আনিয়েছিলাম। এক কথায় যে খেয়েছে সে এই কেকের ফিদা হয়েছে। এজন্য পছন্দের কেক টাই অর্ডার করেছিলাম। আর আমার মেয়ের জন্মদিনের ড্রেসের কালার এর সাথে ম্যাচিং করে কেকের কালার টাও দিতে বলেছিলাম অত্যন্ত ভালো ছিল কেকটা।
কেক নেওয়ার জন্য মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমার মেয়ে কেকের দোকানটা দেখতে যাচ্ছিল। খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা আর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল শপের যে ওনার তারার ব্যবহার। এত সুন্দর ব্যবহার সত্যিই প্রশংসা না করে পারলাম না। কেকের দোকানে যে ওনার উনি আমার মেয়েকে তার চেয়ারে বসে ছবি তুলেছে আমার মেয়ে তো খুব মজা পেয়েছে।
আমি তো চিন্তা করেছি এখন যেকোনো ধরনের কেক কিনতে হলে উনাদের দোকান থেকে কিনব। দোকানে গিয়ে দেখতে পেলাম উনাদের দোকানে খুব সুন্দর বেকারি কেক পাওয়া যায়। কোন ধরনের পার্টির জন্য সব এক্সেসরিজ গুলো এখানে এভেলেবেল আছে। পার্টি স্প্রে বেলুন মোমবাতি বিভিন্ন ধরনের ক্যাপ টুপি সমস্ত কিছুই একটা দোকানে আছে এটা খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। একটা দোকানে এসে সমস্ত কিছু হাতের কাছে পেয়ে যাব। আসার সময় ভাইয়া বলে দিয়েছিলেন কেকটা কেমন লাগে জানাতে সত্যি কেকটা অনেক বেশি ভালো ছিল এবং আমি উনাকে সাথে সাথে জানিয়ে দিয়েছি যে কেকটা খেতে খুবই মজা ছিল।
জন্মদিনের আরও কিছু মূহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে ।
Comments