সন্ধ্যার দিকে বাসার বাইরে কিছুটা সময়
6 comments
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
শীতকাল তাহলে চলেই এলো কি বলেন বন্ধুরা!শীতকাল অনেকটা ভালো সময় আবার অনেকটা দুঃখের সময়।যারা বিলাসবহূল জীবনযাপন করেন তাদের জন্য আরামের এই শীতকাল।অন্যদিকে যারা একটু দরিদ্র শ্রেনীর তারাই জানে কত কষ্টের শীতকাল।রাস্তার পাশে গরম কাপড়ের অভাবে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে একটি দিন কাটিয়ে দেয়।আর একটি দিনকে তারা এক বছরের সমান বলেই মনে করে।তাছাড়া রোগ ব্যাধি যেন মানুষের পিছু ছাড়েনা এই সময়টায়।আমার ঠান্ডা কাশি মোটামুটি গেলেও শ্বাসকষ্ট এখনো যায়নি।প্রতিদিন রাতে আর সকালের দিকে অনেকটা বেড়ে যায়।একটি নিউজে দেখলাম এবার শীতের তামপাত্র রেকর্ড একদম নিম্ন হবে যা বিগত বছরগুলোতে ছড়িয়ে যাবে।তাই বলতে পারেন অনেকটা আশঙ্কায় রয়েছি।প্রতিবছর শীতকালে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে রোগ ব্যাধির জন্য।
গতকাল সন্ধ্যার দিকে বাজারে গিয়েছিলাম।প্রায় এক বছর পর হবে আমার রাতের দিকে বাজারে যাওয়া।আসলে রাতের দিকে বাইরে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে।পরিবেশ ঠান্ডা ,সাথে লোকজনের তেমন ভিড় নেই।তারপর গাড়ির খুব একটা চাপ নেই।নিরিবিলি থাকে রাস্তাঘাট একদম। আমাদের বাজারটা অনেকটা গ্রামের মত এজন্যই এরকম।শহরের দিকে রাতের বেলায় যেন বেশি চাপ দেখা যায়।লাল , নীল রঙের বাতির রোশনাই রাতের শহরে ঘুরতে অনেকটা ভালো লাগে।যখন বাসা ফরিদপুর শহরে ছিল আমাদের তখন বেশ রাতে মার্কেটে যাওয়া হতো।তাছাড়া খেতে যাওয়া হতো সবাই মিলে বেশ আনন্দের সাথে সবাই মিলে ঘুরতাম।কলেজের ইভেন্ট গুলোতে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হতো তখন বান্ধবীদের এক একজনের শপিং যেন লেগেই থাকতো।আর আমাদের বাসা ছিল একদম মার্কেট থেকে পাঁচ মিনিট দুরত্বে।তাই শপিং এবং খাওয়া দাওয়া করতে খুব একটা দূরে যেতে হতো না।
আম্মুর সাথে গিয়েছিলাম বাজারে সন্ধ্যার দিকে।আম্মুর কেনাকাটা ছিল কিছু ক্রোকারিজ এবং গ্রসারি আইটেম।আমার কাজ ছিলনা কোনো শুধুমাত্র টাকা পেমেন্ট করতে গিয়েছিলাম।আমাদের নতুন দুইটি কোর্স শুরু হলো গতকাল থেকে ম্যাম এর কাছে তার জন্যই আরকি।আর ভাবলাম দুইটি ব্যান্ড কিনি যেহেতু এসেই পড়েছি বাজারে একেবারেই কিছু না কিনলে কেমন হয়।তারপর কিছু ফার্স্ট ফুড আইটেম কিনলাম বাসার জন্য।আমাদের খুব একটা দেরি হয়নি মার্কেটে এক ঘণ্টার মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে এসেছিলাম ছয়টার মধ্যে।অনেকদিন পর রাতে বাইরে বেরিয়ে ভালো লাগছিল।গতকাল দুপুর থেকে অনেক মাথা ব্যথা শুরু হয়েছিল ঠান্ডা হওয়ায় বাইরে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগছিল।এই ছিল আমার আজকের ব্লগ।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | খলীলপুর বাজার,ফরিদপুর |
Post by-@rahnumanurdisha
Date -19th November,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
Comments