এখন ষড়ঋতুর গ্রীষ্মকাল । |
অনেক গরম পরেছে, ফ্যানের নিচে থেকেও গরম।বাহিরে বাতাস তবুও গরম বিশেষ করে বাচ্চারা বেশ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমার বাবু তো সারাক্ষণ কান্না করছে গরমের জন্য।গরমে ঘ্যামে ঠান্ডা লেগে গিয়েছে। তাও তো শহরে বিদ্যুৎ থাকে গ্রামে তো
বিদ্যুৎ এই থাকে না, থাকলেও ভোল্টেজ অনেক কম।এই গরমে বাসা থেকে বের হলেই বাচ্চা কাচ্চা অসুস্থ হয়ে যায়।যাই হোক আমি আজকে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।আজকে আমি কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।ফটোগ্রাফি গুলো বেশ আগের।আসলে কিছুদিন আগে বাসায় মেহমান আসছিলো তাদের জন্য রান্না করার পর খাবারের ছবি তুলেছিলাম।আসলে নিজের হাতে রান্না করা খাবারের ছবি তোলার মজাই আলাদা।যদিও আমি তেমন একটা ভালো ছবি তুলতে জানি না,তবে টুকটাক চেষ্টা করি।আমি আগে একেবারে রান্নাই জানতাম না, ভার্সিটিতে উঠেও রান্না ঘরে যাইনি বললেই চলে।পড়ালেখা শেষ করে মনে হলো আমার রান্না শেখা উচিত।রান্নাটা আমার শখ। ভালো ভাগে নিত্য নতুন রেসিপি তৈরি করতে। রান্না ভালো লাগে ঠিক কিন্তু আমার কাটাকাটি ভালো লাগে না,তাছাড়া আমার কাটাকাটি তেও অনেক সময় লাগে ।
প্রথমেই মিষ্টি জাতীয় ছবি নিয়ে শুরু করলাম। যদিও এই রেসিপি সবার পরে টেস্ট করে,তাতে কি আমি প্রথমেই দিয়েছি। আমার ভালো লাগে জর্দ। কালারিং হওয়াতে ভালো লাগে।অনেকেই দুই তিন কালারের ব্যবহার করে তবে আমরা এই কালারটাই বেশি ভালো লাগে ।
এই রেসিপিটা কে না জানে।আমার কাছে ঘি দিয়ে রান্না করা রেসিপিটা বেশ ভালে লাগে। অনেকে পোলাও তে গাজর দেয় কিংবা মটরশুটি দেয় ভালোই লাগে।তবে বেশি ভালো লাগে পোলাও ভাপে দেওয়ার সময় কিছু কালার এড করলে এতে করে পোলাও এর সৌন্দর্য বেড়ে যায়।
এটা হচ্ছে চিকেন ভেজিটেবল। একেবারে বিয়ে বাড়ির সবজির মত।আগে সবজি একেবারে টেস্ট করতাম না। অনেক দিন আগে আমি কাজিনের সাথে একটা বিয়ে তে, ঐখানের সবজিটা খেতে বেশ ভালোই লাগেছিলো।আমি চেষ্টা করি মজা করে রান্না করার জন্য।
এই ছবিটা হচ্ছে চিকেন রেসিপি।আমাদের এইদিকে শক্ত মুরগী বলা হয়।আমার বাবার বেশ পছন্দের রেসিপি যদিও আমার তেমন একটা ভালো লাগে না,শক্ত থাকে বলে।
এই হচ্ছে বাঙালি রেসিপি।মলা মাছ ভুনা টমেটো আর পেঁয়াজ দিয়ে। যদিও আমি রান্না করিনি,আমার মামী রান্না করেছিলো। আসলে মাঝে মাঝে বাঙালি রেসিপি দিলে খেতে বেশ ভালোই লাগে।
এই হচ্ছে চাইনিজ সবজি।সেদিন সবজিটা বেশ মজা হয়েছিলো কিন্তু সবজি বেশি সিদ্ধ হয়ে গিয়েছিলো আসলে পানিটা অনেক বেশি দিয়েছিলাম,তাই এমন হয়েছে তবে খেতে ভালোই হয়েছে।মুরগী আর চিংড়ি দিলে ভালো না লাগার কথা না।
তারপর হচ্ছে মাসকলাই এর ডাল।আমাদের মাছ অথবা ডিম দিয়ে রান্না করে খাই।সেদিন রান্না হয়েছে মাছের মাথা দিয়ে।
আজ এই অব্দি আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ |
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
Comments