ভ্রমণ পোস্ট || রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ (ষষ্ঠ পর্ব)
5 comments
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের পঞ্চম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা পলওয়েল পার্কের এক পাশে দাঁড়িয়ে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করার পর,পলওয়েল পার্কের ভিতরে চলে গেলাম। প্রথমেই গেলাম বড় লাভ প্রতীকের সামনে। কারণ পলওয়েল পার্কের ভিতরে থাকা এই লাভ প্রতীক ইউটিউবে অসংখ্যবার দেখেছিলাম। এই লাভ প্রতীকের মধ্যে অসংখ্য তালা ঝুলানো আছে। যারা বিশ্বাস করে এই লাভ প্রতীকের মধ্যে তালা ঝুলিয়ে রাখলে,তাদের ভালোবাসার মানুষের সাথে ভালোবাসার বন্ধন অটুট থাকবে, তারাই এখানে তালা ঝুলিয়ে রাখে এবং তালার চাবি কাপ্তাই লেকে ফেলে দেয়।
এটা কার্যকর হয় কিনা সেটা আমার জানা নেই, তবে যার যার বিশ্বাস আর কি। কথায় আছে না,বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। যাইহোক আমি লাভ প্রতীক এবং তার আশেপাশের জায়গার কিছু ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। তারপর আমরা আবারও কাপ্তাই লেকের পাড়ে চলে গেলাম। সেখানে বেশ কিছু লেয়িং চেয়ার এবং দোলনা আছে। লেয়িং চেয়ারে শুয়ে শুয়ে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য বেশ কিছুক্ষণ উপভোগ করেছিলাম। সত্যি বলতে সেই সময়টা দারুণ লেগেছিল আমাদের কাছে। সেদিন মেঘলা ওয়েদার ছিলো বলে,লেয়িং চেয়ারে শুয়ে থাকতে আরও বেশি ভালো লেগেছিল। আমার বন্ধু বান্ধব আবার দোলনায় বসেছিল বেশ কিছুক্ষণ। তবে আমি দোলনায় বসিনি একবারও। কারণ দোলনা ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেলে তো ব্যথা পাবো এবং সম্পূর্ণ ট্যুর মাটি হয়ে যাবে হা হা হা।
যাইহোক তারপর আমরা সেখান থেকে ওয়াচ টাওয়ারের দিকে চলে গেলাম। ওয়াচ টাওয়ারে প্রচুর মানুষ ছিলো। আসলে ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দারুণভাবে উপভোগ করা যায় এবং সেজন্য সবাই ওয়াচ টাওয়ারে উঠে। আমরা ওয়াচ টাওয়ারের শেষের দিকে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কাপ্তাই লেকটা দেখলাম। এককথায় বলতে গেলে এই ওয়াচ টাওয়ার হচ্ছে পলওয়েল পার্কের সেরা আকর্ষণ। সেখান থেকে আমরা পলওয়েল পার্কের অন্য পাশে চলে গেলাম। পার্কের সেই অংশটা দারুণভাবে সাজানো হয়েছে। তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু ভাস্কর্য ছিলো মহিলাদের।মহিলারা ঢেঁকি দিয়ে ধান ভানছে,কলস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এসব দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। বেশ ভালোই লেগেছে এসব দেখতে।
তারপর সিঁড়ি দিয়ে নিচে চলে গেলাম এবং দেখলাম যে বেশ কয়েকটি বন্য হরিণ বন্দী করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া বেশ কিছু পাখি রয়েছে সেখানে। এছাড়া পলওয়েল ক্যান্টিন রয়েছে। তারপর সামনের দিকে এগিয়ে দেখলাম যে, কায়াকিং করার জন্য খুব সুন্দর সুন্দর বোট রয়েছে। ইচ্ছে ছিলো সেই বোটগুলোতে চড়ার। কিন্তু সময়ের অভাবে সেটা করা হয়নি। কারণ আমাদেরকে তো শুভলং ঝর্ণা সহ আরও কয়েকটি স্পটে যেতে হবে। সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে,আবারও চলে গিয়েছিলাম ওয়াচ টাওয়ারের দিকে। কারণ ওয়াচ টাওয়ারের দিকে আরও একটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে, সেটাতে আমাদের উঠা হয়নি। কারণ সেখানে প্রচুর মানুষ ছিলো তখন। তাই আগেই ভেবেছিলাম কিছুক্ষণ পর সেই ঝুলন্ত ব্রিজে উঠবো। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১২.১১.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Comments