নাটক রিভিউঃ " আজকাল তুমি আমি "
9 comments
19-4-2024
০৬ বৈশাখ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
শুভ বিকেল সবাইকে 🌸। আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। আমি মাঝে মাঝেই নাটক দেখে থাকি। আর যেগুলো দেখি সব কয়টি নাটকই আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। এবার ঈদে অনেক নাটক ইউটিউব এ রিলিজ হয়েছে। সময় স্বল্পতার জন্য সবকয়টি নাটক দেখার সুযোগ হয়নি। তবে আজকে যে নাটকটি শেয়ার করবো সেটির নাম হচ্ছে আজকাল তুমি আমি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে নাটকটি।
নাম | আজকাল তুমি আমি। |
---|---|
চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও গল্প | মারুফ হোসেন সজীব। |
প্রযোজক | রিয়াজ হাসান। |
অভিনয়ে | খাইরুল বাশার, সাদিয়া আয়মান, তিশা চৌধুরী, শিল্পী সরকার অপু, নরেশ ভূঁইয়া, জি এম মাসুদ, আব্দুল্লাহ রাকিব সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | প্রত্যয় খান। |
দৈর্ঘ্য | ৩৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ১৫ই এপ্রিল , ২০২৪ ইং |
ধরন | রোমান্টিক, সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
আবিরঃ
খাইরুল বাশার।কনাঃ
সাদিয়া আয়মান।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, আবির তার বন্ধুর সাথে বাজি ধরে রিকশা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবিরের বন্ধু বিশ হাজার টাকা বাজি ধরেছিল। কিন্তু তার বন্ধু বুঝতে পারেনি যে আবির সিরিয়াসলি রিকশা চালানোর চিন্তা করবে। আবিরের বন্ধুর সেমিস্টার ফি এর টাকা বিশ হাজার! সেটা যদি আবিরকেই দিয়ে দেয় তাহলে সে সেমিস্টার ড্রপ খাবে। এজন্য সে ভয়ও পাচ্ছে। কিন্তু আবির রিকশা চালাবেই এবং বাজিতে জিতবেই। তো আবির একটা রিকশ ভাড়া করে নিয়ে বেরিয়ে পরে রাস্তায়। রাস্তায় যাওয়ার পরই দেখা হয় একটি মেয়ের সাথে। মেয়েটাকে প্রথম দেখাতেই আবিরের ভালো লেগে যায়। মেয়েটির দিকে আবির হা করে তাকিয়ে থাকে। মেয়েটি বারবার ডাকার পরেও শুনছে না। তারপর যখন হুশ ফিরলো তখন বললো ভার্সিটিতে নিয়ে যেতে! আবির মেয়েটিকে ভার্সটির দিকে নিয়ে যায়। তখন মেয়েটির কাছে তার ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে বলে আজ নাকি প্রেজেন্টেশন করতে হবে এসাইনমেন্ট। কিন্তু মেয়েটির প্রেজেন্টেশন রেডি নেই!
তারপর রিকশাচালক আবির মেয়েটির কাছে পরিচয় দিয়েছিল তার নাম জসিম। সে গ্রাম থেকে শহরে এসেছে। শহরে এসে নতুন রিকশা চালাচ্ছে। মেয়েটির নাম কণা। তারপর জসিম কনার প্রেজেন্টেশন রেডি করে দেয়। ক্লাসে সবাই অবাক হয়ে যায় কনার প্রেজেন্টেশন দেখে। অনেক ভালো হয়েছিল কনার প্রেজেন্টেশন। তারপর কনা খুজঁতে থাকে জসিমকে একটা ধন্যবাদ দেয়ার জন্য। তারপর তাকে ধন্যবাদ দেয়। কিন্তু কনা সন্দেহ করে জসিমকে! এতো ভালো প্রেজেন্টেশন কিভাবে করতে পারে একজন রিকশাচালক! কনার মাঝে কৌতুহল তৈরি হয়। সে জসিমকে চোখের কাছেই রাখে। এদিকে কনার মা বিয়ের কথা ভাবছে কনার। তার খালাতো ভাই সানির সাথে বিয়ের কথা হচ্ছিল। কিন্তু কনা সানিকে মোটেও পছন্দ করে না এবং বিয়েও করতে পারবে না তাকে। কিন্তু তার মা যেভাবেই হোক সানির সাথে বিয়ে দিতে মরিয়া চেষ্টা করে। কিন্তু কনার বাবা আবার সানির সাথে বিয়েতে মত নেই।
ছেলে রিকশাচালক হলেও সমস্যা নেই যদি ছেলের আচার ব্যবহার ভালো থাকে। কনার বাবা কনাকে সোজা বলে দিয়েছে, ছেলে রিকশাচালক হলেও চলবে। কিন্তু কনার মা এটা শুনে যেন মাথাঘুরে যায়। কারণ তাদের দুজনের কথা কিছুতেই বুঝতে পারছে না। কিছুদিন পর কনার পরিবার রাজি হয় সেই রিকশাচালক ছেলেকে দেখার জন্য। কনা প্লেন করে জসিমকে তাদের বাসায় নিয়ে যাবে। কিন্তু জসিমের অভিনয় করতে হবে। বলতে হবে সে এখন বিয়ে করতে পারবে না। কিন্তু জসিম তার পরিবারের সাথে মিথ্যা বলতে চাই না। এদিকে কনার অনুরোধে রাজি হয় তার মা বাবার সাথে দেখার। কনা তাকে কিছু টাকা দিতে চাই ভালো জামা কাপড় কেনার জন্য। কিন্তু জসিমের জামা কাপড় আছে। সেটা কনাকে বুঝতে দেয় না।
জসিম কনার মা বাবার সাথে দেখা করতে আসে। যখন স্যুট পরে প্রাইভেট কার থেকে নামে তখনই কনা অবাক হয়ে যায়। সে বলেছিল ভালো জামা কাপড় পরার জন্য। কিন্তু সে গাড়িসহ নিয়ে এসেছে! তারপর কনা তার মা বাবার কাছে নিয়ে যায়। মা বাবা যখন তার পরিচয় জানতে চাই তখন জসিম তার বায়োডাটা তার মা বাবাকে দেখায়। আর সেটা দেখেই পুরো অবাক হয়ে যায় কনার মা বাবা। কনার মা একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে। তার মা বাবা কোথায় থাকে? ঢাকা বাড়ি কয়টা? তার নাম যে আবির সেটাও জানতে পারে। তারপর আবির বলে সে এখনই বললে এখনই বিয়ে করতে প্রস্তুত। এটা শুনেই কনার মুখ থেকে পানি ফুসকে বেরিয়ে পরে! কনা রাগ করেই সেখান থেকে চলে যায়। যাকে এনেছিল বিয়ে ভাঙাতে সে কি না এখন কনাকেই বিয়ে করতে চাইছে! তারপর কি হয়েছিল জানতে হলে নাটকটি দেখতে হবে!
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি শুরুর দিকে আমার কাছে ভালো লেগেছিল বেশি। তবে যতই নাটকের ভিতরে যাচ্ছিলাম ততই মনে হচ্ছিল একটু বেশি ওভারএক্টিং হয়ে যাচ্ছে। নয়তো কেনই বা একজন রিকশাচালককে বয়ফ্রেন্ড করে তার মা বাবার সাথে দেখা করাবে। একজন দর্শক হিসেবে এ প্রশ্নগুলো আপনার মাঝেও আসবে। তবে খাইরুল বাসার আর সাদিয়া আয়মানের অভিনয় আমার কাছে ভালো লাগে। নাটকটিতে আরেকটু রোমান্টিকতার ছোয়া দিতে পারলে জমে যেত। তবে সামাজিক নাটক হিসেবে ঠিক আছে। আরেকটা মেসেজ হলো, কোনো কাজই কিন্তু ছোট নয়। হোক সেটা রিকশা চালানোর মতো পেশা!
ব্যক্তিগত রেটিং
৮/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Comments