আমি মায়া নীড়ে এসেছি, যেখানে বাবা মায়ের বসবাস।|| "মায়া নীড়"
11 comments
যেখানে বাবা মায়ের বসবাস |
---|
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন।
আমি মায়া নীড়ে এসেছি, যেখানে বাবা মা বসবাস করেন। এটা ময়মনসিংহ শহরের একদমই কেন্দ্র বিন্দুতে চৌদ্দ তলা বিশিষ্ট দালানে অবস্থিত। আমার বাবার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে এই ফ্লাটটি কেনা হয়েছে মাত্র দুমাস আগে। বাসাটির নাম দেয়া হয়েছে মায়া নীড়।
মায়া অর্থ মমতা। এখানে মায়া বলতে বোঝানো হয়েছে মা। আমার বাবা আমার দাদুকে মায়া বলে ডাকতেন। সত্যিই আমার দাদু মায়ার বাঁধনে বেঁধে রাখতেন আমাদের। সেই মানুষটিকে স্মরণ করে আমাদের বাসার নামকরণ করা হয়েছে মায়া নীড়।
মায়া নীড়ের দরজার সামনের অংশ এবং ভেতরে ইন্টোরিয়ার ডিজাইন করেছেন আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। অত্যন্ত নিপুণ দক্ষতা এবং সৌন্দর্যের আদলে তৈরি করা হয়েছে আমাদের বাসার আভ্যন্তরীণ পরিবেশ।
আসলে আমার বাবার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল শহরের ভেতরে এরকম সুন্দর একটি বাসা তৈরি করা। সেই লক্ষ্যে আমার বাবা গত বছর খানেক আগে একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ছোট ভাই জাহাজে চাকরি করায় এবং আমি নিজেও চাকরির সুবাদে বাইরে অবস্থান করাতে তিনি কোন মতেই নিজে নিজে সেই জমিতে বাড়ি করতে পারছিলেন না। এরমধ্যে বাবা ব্রেইন স্ট্রোক করেন, তা মোটামুটি আপনারা সবাই জানেন কারন আমি পোস্ট করেছিলাম কয়েকটি। যাইহোক এরপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ফ্লাট কেনার। অবশেষে গত দুমাস আগে এই ফ্লাট কেনা হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ বাবা মা এখানে ভালো আছেন এই বাসায়। এখানে অত্যাধুনিক সমস্ত সুবিধা রয়েছে তাদের জন্য। যাইহোক আমি কদিনের ছুটি পেয়েছি, তাই ছুটে এসেছি মায়া নীড়ে। সত্যিই ভীষণ ভালো লাগছে বাবা মায়ের কাছে এসে।
আগামীকাল যাবো গ্রামের বাড়ি এবং নানার বাড়ি ভ্রমনে। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি সেই অনুভূতি শেয়ার করবো।
আপাতত কদিন প্রান ভরে নিঃশ্বাস নিতে চাই।।।।।।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
Comments