সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, ফটোগ্রাফি করা আমার খুবই শখের একটি কাজ। কোথাও চলার পথে সামনে সুন্দর কোন কিছু দেখলেই আমি সঙ্গে সঙ্গে ফটোগ্রাফি করি। আবার যখন আমি সময় পাই তখন ফটোগ্রাফি করতে মাঠে কিংবা কোন পার্কে চলে যায়। আবার কখনো নিজের গ্রামের মধ্যে আকর্ষণীয় কোন কিছু দেখলে সেগুলো ফটোগ্রাফি করি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এমন বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফুল, প্রাকৃতিক দৃশ্য ও মাঠ ফসলের ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই পছন্দ করি। আমি সব সময় চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কিন্তু বর্তমান সময়ের সূর্যের প্রখর তাপ এবং প্রচন্ড গরমের কারণে বাইরে ফটোগ্রাফি করার জন্য বের হতে পারছি না। তাই চেষ্টা করেছি নিজের বাড়ির আশপাশের সুন্দর সুন্দর দৃশ্যে গুলো মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বন্দী করতে। প্রিয় বন্ধুগণ, আজ আমি আপনাদের নিকট আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আমার আজকের সবগুলো ফটোগ্রাফি করেছি আমার নিজ গ্রাম থেকে। আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করে আপনাদের নিকট উপস্থাপন করতে। জানি না কতটুকু সুন্দর হয়েছে আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো। তারপরেও আমি আশা করি আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।
⬇️ ফটোগ্রাফি-০১⬇️
এটা হচ্ছে একটি শামুকের ফটোগ্রাফি। এ ধরনের শামুক গুলো হলো জলোজপ্রাণী। কিন্তু প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে পুকুর ও খালে-বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে শামুক গুলো মরে গেছে। এ ধরনের শামুকগুলো জলাশয়ের বিভিন্ন প্রকারের মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একই সাথে জলাশয়ের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও এ ধরনের শামুক ভূমিকা রাখে।
⬇️ ফটোগ্রাফি-০২⬇️
এটা হচ্ছে দিগন্ত জুড়ে থাকা সবুজ ধানক্ষেতের ফটোগ্রাফি। যতদূর চোখ যায় তত দূর শুধু সবুজ ধানক্ষেতের অপরূপ দৃশ্য। সবুজ শ্যামল ধান ক্ষেতের অপরূপ দৃশ্য আমাদের সকলকেই মুগ্ধ করে। কিন্তু আমাদের মাঠের এই সবুজ ধান ক্ষেতগুলো বর্তমান সময়ে সংকটের মধ্যে পড়েছে। অনেক ধানের ক্ষেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পাওয়ায় ধানক্ষেতের মাটি শুকিয়ে ফেটে গেছে। তারপরও দূর থেকে ধান ক্ষেত গুলো দেখতে সবুজ লাগে। কিন্তু ধান ক্ষেতের কাছাকাছি গেলে প্রচণ্ড তাপদাহে শুকিয়ে যাওয়া ধানের ক্ষেত দেখলে খুবই কষ্ট অনুভব হয়।
⬇️ ফটোগ্রাফি-০৩⬇️
এটা হচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের ফটোগ্রাফি। সবুজ গাছে ফুটে থাকা লাল রংয়ের কৃষ্ণচূড়া ফুল গুলো দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। প্রখর সূর্যের তাপের মাঝে কৃষ্ণচূড়া ফুল তার সবটুকু সৌন্দর্য যেন বিলিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির মাঝে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমরা মানসিকভাবে কিছুটা হলেও প্রশান্তি খুঁজে পায়।
⬇️ ফটোগ্রাফি-০৪⬇️
এটা হচ্ছে বিড়ালের ফটোগ্রাফি। বিড়ালটি আমার পরিবারের অন্যতম একজন সদস্য। আমার ছেলে রাজ যখন দিনের বেলায় ঘুমায় তখন বিড়ালটিও ঘুমানোর সুযোগ পায়। তাছাড়া অন্য সময় আমার ছেলে বিড়ালটিকে ধরার জন্য ও মারার জন্য বিড়ালের পিছু পিছু বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দেয়। যাহোক, গাছের ছায়ায় আমি বসে ছিলাম ঠিক তখনই আমার পাশে এসে বিড়ালটি আরামের সাথে ঘুমাতে লাগলো।
⬇️ ফটোগ্রাফি-০৫⬇️
এটা হচ্ছে আকন্দ ফুলের ফটোগ্রাফি। এ ধরনের আকন্দ ফুল আমাদের গ্রামের রাস্তার পাশে ফুটে থাকতে বেশি দেখা যায়। এছাড়াও গ্রামের মাঠের ঝড়ে জঙ্গলেও আকন্দ ফুল ফুটে থাকে। ফুটে থাকা আকন্দ ফুল দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। আকন্দ ফুলের পাপড়ি অত্যন্ত কোমল হয়ে থাকে। আকন্দ ফুলের পাপড়িতে আলতো করে স্পর্শ করলে আকন্দ ফুলের পাপড়ি থেকে দুধের মতো সাদা আঠালো পদার্থ বের হয়। অনেকেই বলে থাকে আকন্দ ফুলের সাদা আঠাতে ঔষধি গুণাবলী রয়েছে।
⬇️ ফটোগ্রাফি-০৬⬇️
এটা হচ্ছে ব্লেন্ডার করা মসলার ফটোগ্রাফি। ঈদের পরের দিন বাড়ির ছোট বড় সকল ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে সুন্দর একটি পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম। পিকনিকের মাংস রান্না করার জন্য কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন ও আদাগুলো পরিমাণ মতো দিয়ে এভাবে ব্লেন্ডার এর মাধ্যমে প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম। ব্লেন্ডার করা মসলাগুলো দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
⬇️ ফটোগ্রাফি-০৭⬇️
এটা হচ্ছে ছোট একটি লিচু ফলের ফটোগ্রাফি। এটা হচ্ছে চায়না থ্রি জাতের লিচু। লিচুগুলো দিন দিন বড় হচ্ছে এবং পরিপুষ্ট হচ্ছে। হয়তো আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা পাকা লিচু খেতে পারবো। এরকম চায়না থ্রি জাতের লিচু পরিপূর্ণভাবে পাকিয়ে খেলে অত্যন্ত মিষ্টি লাগে। একই সাথে এ ধরনের লিচুগুলো বেশ মধুর রস সম্পন্ন হয়।
Camera 📸 Smartphone.
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমি আশা করি, আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লেগেছে। আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম আমার নিজ গ্রাম থেকে। তাই সকল ফটোগ্রাফির লোকেশন দেখতে👉এখানে ক্লিক করুন
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা | স্মার্টফোন |
পোস্ট তৈরি | #bidyut01 |
কান্ট্রি | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ। |
Comments