নাটক রিভিউ: কিশোরী শেষ পর্ব।
12 comments
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
রোজ মঙ্গলবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি.........
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে এসেছি। আজকে আমি কিশোরী নাটকের শেষ পর্ব নিয়ে কথা বলবো। এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ঈগল টিমের নাটক দিন দিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আমি এই ঈগল টিমের নাটক রিভিউ করে আসছি। গোবরে পদ্মফুল নাটকের জনপ্রিয়তার পর কিশোরী নাটকটি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই আমি নাটকটি পর্ব আকারে রিভিউ করে আসছি। চলুন কথা না বাড়িয়ে নাটকের রিভিউ করা যাক।
পোস্টের ধরন | নাটক রিভিউ |
---|---|
নাটকের নাম | কিশোরী -শেষ পর্ব। |
পরিচালক | মোঃহাসান হাফিজুর রহমান। |
অভিনয়ে | আজমাইন মেহেরাব ইলহা,মারিয়া মাহি, জান্নাতুল মাওয়া আরও অনেকেই। |
দৈর্ঘ | ৪৪ মিনিট ২৮ সেকেন্ড |
মুক্তির সময় | ০৯ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ |
জসিম ও লাবনী পুতুলকে তাদের পথ থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য তারা তাকে একটি পার্কে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞান করে রেখে আসে। এরপর তারা বাড়িতে এসে বলে পুতুল হারিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ তাদের কথা বিশ্বাস করে না। পুলিস বলে যদি পুতুলকে না পাওয়া তাহলে তাদেরকে অনেক বড় সাজা পেতে হবে।
এরপর জসিম ও লাবনী দুই জনে মিলে আবার পুতুলকে খুজতে বের হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নায়িকা সন্ধান পাই। তারপর তাকে বাড়ি নিয়ে আসে। সবার কাছে এই বিষয়টা স্বাভাবিক লাগলেও পুলিশ একটু সন্দেহ চোখে দেখে। সে তাদেরকে জানাই এই ঘটনার পেছনে অন্য কোন বিষয় আছে।
এরপর নায়ক সিদ্ধান্ত নেয় সে তার গ্রামের বাড়িতে চলে যাবে। কারণ সে বুঝতে পেরেছে যে এখানে বেশিক্ষণ থাকলে পারে তার বিপদ হয়তো আরও বেশি বেড়ে যেতে পারে। জসিম যখন সবকিছু গুছিয়ে বারে উদ্দেশ্যে রওনা হবে ঠিক তখনই পুতুল তার হাত চেপে ধরে এবং তাকে এই বাড়িতে থেকে যেতে বলে।
এরপর লাবনীর বাবা পুলিশ অফিসার পুতুল পুতুলকে নিয়ে সেই জায়গায় যেখান থেকে পুতুলকে খুঁজে পেয়েছিল। এরপর রাস্তায় দেখা হয় সেই দুইটি ছেলের সাথে যারা পুতুলকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। তারা পুতুল কে দেখে সেখানে যায় এবং বলে পুতুল তুই এত দিন কোথায় ছিলে। এরপর লাবনী বাবা বলে তুমি কি পুতুলকে চেনো। তখন তারা বলে হ্যাঁ চিনি তারপর তারা পুতুলের বাবার বাড়ির ঠিকানা দিয়ে দেয়।
এরপর তারা সেই দুইজনের দেওয়ার ঠিকানায় যায় এবং তারা পুতুল বাবা মাকে দেখতে পাই। লাবনীর বাবা তার বাবার হাতে পুতুলকে তুলে দেয় এবং সব ঘটনা খুলে বলে। সে বলে পুতুল অতীতের সব কথা ভুলে গেছে এখন আস্তে আস্তে তার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
নাক যখন জানতে পারে যে পুতুল গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছে তখন নায়ক অভিনয় করে তার বাবাকে ফোন দিয়ে সব ঘটনা বলে। এরপর সকালে নায়েক চলে যায় পুতুলের বাড়িতে তার সাথে দেখা করার জন্য। জসিম বলে চলো আমাদের বাড়িতে যাই কিন্তু পুতুল তার সাথে যেতে চায় না এবং সে বলে আমার সব কথা মনে পড়ে গেছে।
জসিম যখন এই কথা তার দুই বন্ধুকে বলে দেয় তখন তারা হতবাক হয়ে যায় কারণ প্রথম তাদের সব ঘটনা পুলিশকে বলে দেয় তাহলে তাদেরকে জেলের ভাত খেতে হবে। তারা দুজন বলে আমরা এবার পুতুলকে সরিয়ে দেবো চিরজীবনের জন্য। কিন্তু জসিমেতে বাধা দেয় যার করনে তারা দুজনে ধরে জসিমকে অনেক মারধর করে।
এদিকে জসিম পুতুলের বাবাকে অনেক অনুরোধ করে পুতুলকে তার সাথে দিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু পুতুল তাতে রাজি হয় না। কারণ পুতুল যেটা জানে তার বাবা-মা সেটা জানে না যার কারণে পুতুল জসিমের খেতে যেতে চায় না।
এদিকে পুলিশ অফিসার সবকিছু তদন্ত করে আসল সত্য ঘটনা বের করে ফেলে। এরপর সে যায় লাবনীদের বাসায় তার বাবার সাথে কথা বলতে সেখানে গিয়ে লাবণীর বাবার সাথে সব কিছু বলে দেয় এই ঘটনার মূল দোষী। লাবনীর বাবা জানতে পারবে তার হবু জামাই ও তার মেয়ে এই কাজে জড়িত। এই কথা শুনে লাবণের বাবা বিশ্বাস করতে পারেনা।
এরপর পুলিশ অফিসার জসিমকে ধরে নিয়ে আসে। জসিমকে নিয়ে আসা হয় পুতুলদের বাড়িতে। সেখানে পুলিশ অফিসার পুতুলকে বলে তোমার সাথে যা হয়েছে তার জন্য জসিম সঠিক শাস্তি পাবে। এরপর পুতুল বলে পুলিশ অফিসার আপনি একটু দাঁড়ান আমার কিছু কথা আছে। হোটেল বলে আপনি আমার স্বামীকে ছেড়ে দিন। সে হয়তো আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে কিন্তু আমি তার সাথে এমনটা করতে পারবো না। কারন সে আমার স্বামী আর স্বামী যতই অন্যায় করুন না কেনো তাকে মাফ করে দেওয়া উচিত।
এরপর নাটকটি শেষ হয়ে যায়.............
পোস্টের বিষয় | নাটক |
---|---|
পোস্টকারী | মোহাঃ আশিকুর রহমান |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
Comments