New to Nutbox?

ক্রিয়েটিভ রাইটিং: হিংসা মানুষকে ভেতর থেকে নষ্ট করে।

9 comments

ayaan001
68
2 days agoSteemit5 min read
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু /আদাব

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001

০৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

রোজ শুক্রবার ।


কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভিন্নভাবেই হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেয়ার করতে চেলেছি। যদিও আমার কথা গুলা সম্পর্কে সবাই অবগত। কারন আমার থেকে আরও ভালো ভালো জ্ঞানী মানুষ আছে। যারা এই সমাজ, দেশ ও পৃথিবী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে। আজকে যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলবো সেটা হলো হিংসা নিয়ে। হিংসা আমাদের মাঝে এমন ভাবে ঢুকে গেছে যা আমারা চাইলেও আর এর থেকে বের হতে পারছি না। মানুষ ভালো কিছু খুব সহজে গ্রহণ করতে পারে না। তবে খারাপ জিনিসগুলা খুব ভালো ভাবেই আয়ত্ত করতে পারে। জন্ম থেকেই আমাদের নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি লোভ অনেক বেশি।

1000009550.png

Source

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

হিংসা শব্দটা ছোট হলেও এই শব্দের অর্থ ব্যাপক আকারে প্রকাশ করা যায়। এর শাব্দিক অর্থ যদি আপনি প্রকাশ করতে চান তাহলে আপনি বিস্তারিত আকারে প্রকাশ করতে পারবেন। হিংসা এমন একটি মানসিক অবস্থা যা মানুষের ভেতর থেকে তার মনুষ্যত্ব ও শান্তি নষ্ট করে দেয়। এটি একপ্রকার বিষের মতো যা ধীরে ধীরে হৃদয় ও মনকে গ্রাস করে। হিংসা মূলত অন্যের সাফল্য, সুখ বা প্রাপ্তি দেখে নিজের অক্ষমতা বা অপূর্ণতা অনুভব থেকে জন্ম নেয়।

মানুষ যখন কারো থেকে কম কিছু পায় বলে মনে করে ঠিক তখন সেই ক্ষোভ ধীরে ধীরে হিংসার রূপ নেয়। এই হিংসা শুধু সম্পর্ককে নষ্ট করে না, বরং নিজের মানসিক শান্তি, আত্মবিশ্বাস, এবং ভালো থাকার ক্ষমতাকেও ধ্বংস করে। একজন হিংসুক মানুষ সবসময় অস্থিরতায় ভুগে, কারণ তার মন সবসময় অন্যের সুখ বা উন্নতির দিকে মনোযোগী থাকে। যত বেশি আপনি নিজের নজরকে উপরের দিকে উত্তলন করবেন তত বেশি আপনার অশান্তি আর হিংসা জন্ম নিবে।

হিংসার প্রভাব শুধু মানসিক নয় শারীরিকভাবেও এটি ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে হিংসা স্ট্রেস, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি হৃদরোগের কারণ হতে পারে। সম্পর্কের দিক থেকেও এটি ধ্বংসাত্মক হিংসা ভালোবাসা, বন্ধুত্ব এবং পারিবারিক বন্ধনকে নষ্ট করে দেয়। তাই হিংসা থেকে মুক্তি পেতে নিজেকে এবং নিজের প্রাপ্তিগুলোকে ভালোবাসা শিখতে হবে। অন্যের সাফল্য বা সুখকে প্রশংসা করতে হবে। প্রতিযোগিতার মনোভাব বাদ দিয়ে একে অপরকে সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা দেওয়ার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত। মনে রাখতে হবে হিংসা কখনোই সৃষ্টিশীল হতে পারে না এটি শুধু ধ্বংস আনে। শান্তি ও সুখ পেতে হলে হিংসার বদলে ক্ষমা, ভালোবাসা, এবং সহমর্মিতার চর্চা করতে হবে।

হিংসা এমন একটি মানসিক অবস্থা, যা মানুষের ভেতর থেকে তার মনুষ্যত্ব ও শান্তি নষ্ট করে দেয়। এটি একপ্রকার বিষের মতো, যা ধীরে ধীরে হৃদয় ও মনকে গ্রাস করে। হিংসা মূলত অন্যের সাফল্য, সুখ বা প্রাপ্তি দেখে নিজের অক্ষমতা বা অপূর্ণতা অনুভব থেকে জন্ম নেয়।

মানুষ যখন কারো থেকে কম কিছু পায় বলে মনে করে, তখন সেই ক্ষোভ ধীরে ধীরে হিংসার রূপ নেয়। এই হিংসা শুধু সম্পর্ককে নষ্ট করে না, বরং নিজের মানসিক শান্তি, আত্মবিশ্বাস, এবং ভালো থাকার ক্ষমতাকেও ধ্বংস করে। একজন হিংসুক মানুষ সবসময় অস্থিরতায় ভুগে, কারণ তার মন সবসময় অন্যের সুখ বা উন্নতির দিকে মনোযোগী থাকে। হিংসার প্রভাব শুধু মানসিক নয়, শারীরিকভাবেও এটি ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে হিংসা স্ট্রেস, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি হৃদরোগের কারণ হতে পারে। সম্পর্কের দিক থেকেও এটি ধ্বংসাত্মক; হিংসা ভালোবাসা, বন্ধুত্ব এবং পারিবারিক বন্ধনকে নষ্ট করে দেয়।

তাই হিংসা থেকে মুক্তি পেতে নিজেকে এবং নিজের প্রাপ্তিগুলোকে ভালোবাসা শিখতে হবে। অন্যের সাফল্য বা সুখকে প্রশংসা করতে হবে। প্রতিযোগিতার মনোভাব বাদ দিয়ে একে অপরকে সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা দেওয়ার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত। মনে রাখতে হবে, হিংসা কখনোই সৃষ্টিশীল হতে পারে না; এটি শুধু ধ্বংস আনে। শান্তি ও সুখ পেতে হলে হিংসার বদলে ক্ষমা, ভালোবাসা, এবং সহমর্মিতার চর্চা করতে হবে।


শেষ কথা।

আমাদের সবার উচিৎ এই হিংসার জাল থেকে বেরিয়ে আসা। যেহেতু একে অপরের সাথে হিংসা করে কোন কিছুই অর্জন করা যায় না। হয়তো যাকে হিংসা করা হয় তার হয়তো সাময়িক কিছু সমস্যা হতে পারে তবে তার থেকে বেশি ক্ষতি নিজের উপর এসে পড়ে। তাই আমরা হিংসাকে মনের ভেতর থেকে ত্যাগ করি। সেখানে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। এতে করে আপনি যেমন ভালো থাকবেন তেমনি আপনার সমাজটাও অনেক ভালো থাকবে আর এর মধ্য দিয়েই একটা সুন্দর,সুষ্ঠ ও সফলময় পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব।

সমাপ্ত


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আশা করছি আমার লেখাটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে আবার নতুন কোন পোস্টের মাধ্যমে। আল্লাহ হাফেজ।


পোস্টের বিষয়ক্রিয়েটিভ রাইটিং।
পোস্টকারীমোঃ আশিকুর রহমান
ডিভাইসগ্যালাক্সি এ ১৫
লোকেশনপাবনা


১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি চাটমোহর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছি। বাইক নিয়ে ঘুরতে, খাওয়া দাওয়া আর ঘুমাতে বেশি পছন্দ করি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।


Logo.png

Banner.png

1000006184.png

1000006183.png

1000008781.png

Comments

Sort byBest