স্পোর্টস রিভিউ: আফগানিস্তান (এ) বনাম শ্রীলঙ্কা (এ) দলের ফাইনাল ম্যাচ।
6 comments
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আফগানিস্তান ( এ) ও) শ্রীলঙ্কা (এ ) এর মধ্যেকার ম্যাচটি রিভিউ নিয়ে এসেছি। ম্যাচটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। দারুন খেলেছে আফগারা। তাদের খেলা দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেছি। এত সুন্দর খেলা সচারাচর দেখা যায় না। খুবই মজা পেয়েছিলাম দেখার সময়। ছোট দুইটি দল থেকে এমন ম্যাচ দেখতে পারবো বলে আমি কোন দিন আশা করি নাই। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে ম্যাচের রিভিউতে যাওয়া যাক।
টসে শ্রীলঙ্কা দল জিতে যায় এবং তারা প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা, শ্রীলঙ্কার ওপেনার ইয়াসোদা প্রথম বলেই সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যায়।
দুই ওভার যেতে না যেতেই গাজানফারের বলে আউট হয়ে যায় নুওয়ান্দু। ২.২ ওভারে ৭ রানে দুই উইকেট পড়ে যায় শ্রীলঙ্কার।
শ্রীলংকার ব্যাটিংরা যেন কোন কিছুই করতে পারছিল না আফগানদের বল যেন তাদের সামনে পারমাণবিক বোমার মতো পড়ছিলো। দুই ওভার যেতে না যেতেই আবারো আরেকটু উইকেটে পতন ঘটেছিলাম। চার অবশেষে ১৩ রান সংগ্রহ করে হারিয়ে ফেলে ৩ টি উইকেট ।
এরপর আবারো তার ওভার ২ বলের মাথায় পড়ে যায় আরেকটি উইকেট দলীয় ১৫ রানের মাথায় ৪টি উইকেট হারাতে হয় শ্রীলংকার।
শ্রীলংকা দলের দায়িত্ব নেয় শান। কারণ তার ব্যাট একমাত্র ভালো করেছেনল।দলকে জেতানোর জন্য একমাত্র তার ব্যাটই হেসেছি। শান মাত্র ৪৭ বলে ৬৪ রান করে যা তার দলের জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে। যদিও দলীয় রান যা সংগ্রহ করেছে এতে করে ফাইনাল খেলায় জেতা সম্ভব নয়। তবে তার ব্যাগ থেকে রান্না আসলে হয়তো শ্রীলংকা একে বারেই হারিয়ে যেতো। ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা দল।
শ্রীলংকার মতো আফগানিস্তানের ও প্রথম বলে উইকেট পড়ে যাই। ভেবেছিলাম খেলাটি হয়তো অনেক জমজমাট হবে। তবে পরবর্তীতে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় একটি মাত্র উইকেট পড়ার পর বেশ কয়েকটি ওভার চলে যায় কিন্তু শ্রীলংকা উইকেট শিকার করতে পারেনা। অবশেষে নয় ওভারে তারা একটি উইকেট সংগ্রহ করে।
কিন্তু এদিকে আফগানিস্তান নয় ওভারে ৪৯ রান সংগ্রহ করে ফেলে। এরপর মাঠে আসে করিম মাঠে আসার পর থেকে আফগানিস্তানের খেলা একেবারে বদলে যাই। চার আর ছয়ের বন্য বয়ে যায়। কিন্তু করিম বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনা ২৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হয়ে যায়।
এদিকে আফগানিস্তানের দলীয় রান ১৫ ওভারে ৯৫ মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। জেতার জন্য তাদের আর খুব বেশি রানের প্রয়োজন ছিল না। হাতে ওভারের সাথে সাথে তাদের বেশ কয়েকটি উইকেট ছিল যার কারণে আফগানিস্তানের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
করিম আউট হয়ে যাওয়ার পরেই ব্যাট খোলে সাফিকুল্লার। তার পেটের উপর ভর করে সহজ জয় পায় আফগানিস্তান। সাদেকুল্লা ৫৫ বলে ৫৫ রান করে দলে জয় তুলে দেয়।
ম্যাচটি আমার কাছে দারুন লেগেছে। এমন খেলা খুব কম দেখেছি আমি। আফগানিস্তান দল প্রথম থেকে অনেক ভালো খেলেছে যার কারণে আজ তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমার কাছে তাদের বোলিং লাইনটা অনেক ভালো মনে হয়েছে তবে ব্যাটিংয়ের কথাও বাদ দেয়া যাবে না। ব্যাটিং বোলিং উভয় মিলে আফগানিস্তান দল একটি ভালো দলে পরিণত হয়েছে বলে আমি মনে করছি।
শ্রেণী | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
চ্যানেল | এশিয়ান ক্রিকেট |
স্ক্রিনশট | ইউটিউব |
লোকেশন | পাবনা |
Comments