ভ্রমণ: লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান- ১ ম পর্ব।
4 comments
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২০ ই নভেম্বর, বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা শ্রীমঙ্গলের রাধানগর থেকে সাত রঙের চা খাওয়ার পরে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান দেখার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। বাংলাদেশের দশটি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান একটি। এই উদ্যান নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি মানুষের মুখে এখন সেটাই দেখার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় অবশ্য লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে রাস্তা দিয়েই মেইন গেটের সামনে যেতে হয়।
আমরা যাওয়ার সময় গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়েছিলাম। তবে এই জঙ্গলের ভেতরে রাস্তায় সব সময় ফোনে নেটওয়ার্ক কাজ করে না। জঙ্গলের ভেতরের রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে আসার রোমাঞ্চকার অভিজ্ঞতা সত্যিই অনেক সুন্দর ছিলো। শ্রীমঙ্গলের রাধানগর থেকে অবশ্য লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। আমরা খুব তাড়াতাড়ি সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
আমরা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মেন গেটের সামনে পৌঁছানোর পরে সেখানকার সিকিউরিটি গার্ড দের সাথে বাইক রাখার বিষয় নিয়ে কথা বলে কিছু সময়। তারপর আমাদের বাইকটি এক গার্ডের তত্ত্বাবধানে রেখে টিকিট কাউন্টারে টিকিট কাটতে গেলাম। অবশ্য বাইক রাখার সময়ে সেই গার্ডের ছবিসহ বাইকের ছবি করে রেখেছিলাম। যাতে পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়।
আমি আর আমার বন্ধু রাহুল দুজনের জন্য দুইটা টিকিট কাটলাম। প্রতিটা টিকিটের মূল্য নিয়েছিল ৫০ টাকা করে। তারপর টিকেট দুইটি নিয়ে মেইন গেটে জমা দিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করলাম। আমরা ভেতরে প্রবেশ করতেই বেশ কয়েকজন গাইড এসে আমাদেরকে বলল যে, তারা বিভিন্ন জায়গায় আমাদেরকে নিয়ে যাবে এজন্য গাইডদেরকে টাকা পেমেন্ট করতে হবে।
তারপর আমি আর আমার বন্ধু রাহুল দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আমরা কোন ধরনের গাইড নিব না নিজেরা একা একাই ঘুরবো ভেতরে। কারণ গাইড নিতে গেলে আরো ৩০০ টাকা তাদেরকে পেমেন্ট করতে হবে। তার থেকে স্বল্প সময়ের জন্য গেলে নিজেরা একা একা ঘুরাই ভালো। তবে অধিক ভেতরে যেতে হলে গাইড নেয়াটা জরুরী। কারণ ভেতরে রাস্তা সম্পর্কে আমাদের মত অজানা অচেনা মানুষদের কাছে একদম নতুন।
আমরা দুপুরের টাইমে গিয়েছিলাম তাই উদ্যানের ভেতরে ট্রাভেলার অনেক কম ছিল। এই অরণ্যে যেহেতু অনেক জীবজন্তুর বাস রয়েছে তাই নিজেদেরকে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। আর ভেতরে ঢুকতেই বিভিন্ন ধরনের সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেখতে পেলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে "লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের" ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ছবির বিবরণ
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Comments