ফটোগ্রাফি: প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।
12 comments
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৮ ই নভেম্বর, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমরা সবাই আমাদের চারপাশের প্রকৃতিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমার কাছে মনে হয় প্রকৃতি আমাদের জীবন প্রকৃতি আছে বলেই আমরা জীবিত আছি। আর এই প্রকৃতিকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার দায়িত্বটাও আমাদের। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়কে মুগ্ধ করে। প্রকৃতির সাথে সুন্দর সময় কাটাতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আমি গ্রামে গেলে সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেই ঘুরে বেড়ায় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখি। ব্যক্তিগতভাবে প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ পছন্দ করি আর ফটোগ্রাফির ভেতরেই আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করেছি যেগুলো আমি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।
প্রথম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে ধানের গাছের ডগায় ভোরের শিশিরের ফোঁটা। এ বছরে দুর্গাপূজার ভেতরে যখন বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। গ্রামে গেলে খুব সকালেই ঘুম ভেঙে যায় তারপর গ্রামীণ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বেরিয়ে পড়ি। গ্রামীণ সৌন্দর্য উপভোগ করার সবথেকে সুন্দর জায়গা হলো গ্রামীণ ফসলের মাঠ। এ ফটোগ্রাফিটি যখন করেছিলাম তখনও সেরকম শীত পড়া আরম্ভ হয়নি তবে হালকা হালকা কুয়াশা আর শিশির পড়া শুরু হয়েছিলো। একসাথে সূর্য উদয় এবং শিশির ফোঁটার এরকম ফটোগ্রাফি করতে পেরে বেশ ভালই লেগেছিলো।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২০ শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে দুরন্ত শৈশব। এই ফটোগ্রাফিটি অনেকদিন আগে যখন গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন বন্ধু আর বড় ভাইদের সাথে নদীতে ঘুরতে গিয়ে করেছিলাম। আমি গ্রামে গেলে সব সময় সবার সাথে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করি কারণ ঘুরে ঘুরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। আমরা সবাই নদীর ধারে বসে গল্প করছিলাম এরকম একটা সময়ে দেখলাম কয়েকটা ছেলেপেলে নদীতে গোসল করছে আর খেলাধুলা করছে। সুন্দর দৃশ্য দেখে আমাদের দুরন্ত শৈশবের স্মৃতি খুব মনে পড়ছিলো। এরকম দুরন্ত শৈশবে আমরা কতই না মজা করতাম।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১১ ই আগস্ট ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার তৃতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে ঘোড়ার ঘাস খাওয়ার দৃশ্য। এই ফটোগ্রাফিটি ও আমি এলাকায় থাকা অবস্থায় করেছিলাম। তবে সে সময়ে আমার মামার বিয়ের কারণে মামা বাড়ি গিয়েছিলাম সেখান থেকেই মূলত এই ফটোগ্রাফিটি করা। আমাদের এলাকাতে ঘোড়া খুব একটা দেখা যায় না বললেই চলে কিন্তু আমার মামাদের এলাকায় বেশ ভালই ঘোড়া দেখা যায়। নদীর তীরবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে ঘোড়াগুলো বেশ কাজে দেয়। যাইহোক ঘোড়ার ঘাস খাওয়ার দৃশ্য হঠাৎ করে চোখে পড়েছিল তাই আমি ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার চতুর্থ ফটোগ্রাফিতে রয়েছে পূর্ণিমা রাতের পূর্ণচন্দ্র। আমি সব সময় চাঁদের দৃশ্য অনেক বেশি পছন্দ করি তবে সব থেকে বেশি পছন্দ করি পূর্ণিমা রাতের পূর্ণ চাঁদের ছবি। কারণ পূর্ণিমা রাতে চাঁদ স্বয়ংসম্পূর্ণ দেখা যায়। এর আগে গ্রামে গিয়ে বন্ধু আর বড় ভাইদের সাথে নদীতে নৌকা ভ্রমণ করতে গিয়ে এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। পূর্ণিমার রাতে নৌকা ভ্রমণের মজা সত্যিই অনেক সুন্দর। পূর্ণিমার পূর্ণচন্দ্র আমাকে মুগ্ধ করে।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৯ ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: ঢাকা
আমার পঞ্চম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে একটি জলাশয়ের দৃশ্য। এ ফটোগ্রাফিটি অনেকদিন আগেই ঢাকার গুলশান থেকে করেছিলাম। যদিও আমি মোহাম্মদপুর এলাকায় থাকি তবে আমার বড় দাদার একটি ভাইভা এক্সামিনেশন এর কারণে তার সাথে সেখানে গিয়েছিলাম। সেদিন সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই জলাশয়ের পাশেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম। ঢাকার ভিতরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান নেই বললেই চলে। এই জলাশয়ের পারের জায়গাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। অনেকেই বিকালের দিকে এসে এই জলাশয়ের পাশে বসে বসে সময় কাটায়।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিতে রয়েছে একটি লতার কচি ডগার দৃশ্য। আমি গ্রামে ঘোরাফেরা করার সময়েও মোবাইল সবসময় কাছে রাখি। কারণ যখনই চোখের সামনে হঠাৎ কোনো সুন্দর দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হয় তখনই সেটা ফটোগ্রাফি করে রাখার চেষ্টা করি। এই ফটোগ্রাফিটি আমাদের বাড়ির সামনে থেকেই করেছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করেই লতার কচি ডগার এই দৃশ্যটি চোখে পড়লো তারপরেই ফোন বের করে ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম। সবুজ লতার কচি ডগার এই দৃশ্যটি অনেক সুন্দর।
সপ্তম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২২ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার সপ্তম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে বেগুনের ফুলের দৃশ্য। আপনারা সবাই জানেন যে, বেগুন সবজি হিসাবে ভীষণ পরিচিত। তবে বেগুনের ফুল যে, কেমন হয় বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা। এমনকি এই ফটোগ্রাফিটা করার আগে আমার কাছেও অজানা ছিল। কিছুদিন আগে যখন গ্রামে ছিলাম তখন আমাদের পুকুর পাড়ের মাচার উপরে বসে ছিলাম হঠাৎ করেই পুকুরের পাড়ের ফসলের জমিতে দেখলাম বেগুন গাছে সুন্দর ফুল ফুটেছে। আর তারপরেই সেখানে গিয়ে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। হালকা বেগুনি রঙের এই ফুলগুলো দেখতে চমৎকার সুন্দর। ফুলের প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে।
পোস্টের বিবরন
ডিভাইস : স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা : ১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন : মোহাম্মদপুর,ঢাকা
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Comments