"হঠাৎ করেই গ্রামের বাড়িতে আসলাম"
19 comments
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৯ শে এপ্রিল, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। গত পরশুদিন ইউনিভার্সিটির সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলো। প্রতি সেমিস্টারেই যে কোন পরীক্ষার পরে এই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল একসাথে বাইকে করে বাড়ি আসি। কয়েকদিন আগেই বাড়ি থেকে ঢাকাতে গিয়েছি বলে এবারে আর বাড়িতে আসার কোন প্ল্যানিং ছিল না। কিন্তু পরীক্ষা শেষ করে একদমই ভালো লাগছিল না ঢাকা শহরে। প্রচন্ড গরমের ভেতরে ঢাকা শহরে থাকাটা ভীষণ কষ্টকর। আর আমি এমনিতেই গ্রামীন পরিবেশ সবসময় অনেক বেশি পছন্দ করি। হঠাৎ করে এই বন্ধু রাহুলের একটি চাকরি হয়েছে জয়নিং ডেট সামনের মাসে দুই তারিখে তাই এবারে দুজন একসাথে আসতে পারি নাই। এখন হয়তো আগের মত দুই বন্ধু খুব কম একসাথে বাড়িতে আসতে পারবো। আজকে হঠাৎ করে গ্রামের বাড়িতে আসার সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি আজকে বাড়িতে বাড়িতে আসার জন্য গতকালকে রাতেই আমার ব্যাগ পত্র সব গুছিয়ে রেখেছিলাম। প্রতিবার ঠিক একই কাজ করি যখন বাড়িতে আসি তার আগের রাতে সবকিছু গুছিয়ে রাখি। কারণ আসার সময় এসব কিছু গোছাতে গেলে মিসিং হয়ে যায়। তবে আমি এ খুব কম জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া আসা করি। কারণ অতিরিক্ত জিনিস নিয়ে জার্নি করতে আমার একদমই ভালো লাগেনা। আজকে সকাল ছয়টার দিকে এলাম দিয়ে রেখেছিলাম। তারপর ঘুম থেকে উঠেই মোটামুটি ২০ মিনিটের ভিতরেই আমি রেডি হয়ে আমাদের মেস থেকে বেরিয়ে পড়ি।
বর্তমানে দিনের দুপুরের ভাগে প্রচন্ড ও তাপমাত্রা থাকার কারণেই আগের দিনই প্ল্যানিং করেছিলাম যে, খুব সকালে রেডি হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাবো। যাতে আমি দুপুর হওয়ার আগেই বাড়িতে পৌঁছে যায়। মোহাম্মদপুর থেকে লেগুলাতে করে গাবতলী পর্যন্ত এসে তারপর সেলফি বাসে করে পাটুরিয়া আসি। আজকে বাসের জানালার কাছে বসে ছিলাম তাই বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছি। গাবতলী থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত আসতে দুই ঘণ্টার একটু বেশি সময় লেগেছিলো। আমাদের বা যখন পাটুরিয়াতে পৌঁছায় তখন ঘড়ির কাঁটে ৯ টা বাজে।
বাড়িতে আসার জন্য আমার পকেটে নগদ টাকা ছিল না পর্যাপ্ত পরিমাণে। তাই পাটুরিয়া নেমে প্রথমেই একটি বিকাশের দোকানে গিয়ে বিকাশ থেকে কিছু টাকা উঠায়। তারপর সেই দোকান থেকে হাফ লিটারে ঠান্ডা জল কিনি। কারণ গরমের ভিতর জার্নি করতে হলে জল সাথে রাখাটা ভীষণ জরুরী। তারপর দোকানে বসে ঠান্ডা জল খেয়ে একটু রেস্ট নিয়ে সোজা চলে যায় পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে।
সাধারণত প্রতিবার আমরা বাইক নিয়ে আসি তাই ফেরিতে পার হই নদী। কিন্তু এবারে একা থাকার কারণে লঞ্চে নদী পার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যদিও বর্ষার মৌসুমে আমি কখনোই লঞ্চে নদী পার হয় না। এখন নদীতে জল কম আছে তাই লঞ্চে নদী পার হওয়াটা মোটামুটি সেভ। আর লঞ্চে নদী পার হতে ফেরি থেকে কোন সময় লাগে। তবে এবারে লঞ্চে নদী পার হতে এসে টিকিট কাটার সময় একটু অবাক হলাম ২৫ টাকার ভাড়া ৪৫ টাকা হয়ে গেছে মাত্র এক বছরের ভেতরে। এখন ফেরির ভাড়া লঞ্চের ভাড়া প্রায় সমান।
আমি লঞ্চে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়াতে যখন আসি তখন ঘড়ির কাঁটায় ৯ঃ৪০ মতো বাজে। বর্তমানে লঞ্চে নদী পার হতে মোটামুটি ২৫ মিনিট মতো সময় লাগে। নদীতে যখন জল বৃদ্ধি পায় তখন লঞ্চে নদী পার হতে অনেক সময় লাগে আরো অনেক রিক্স। লঞ্চে নদী পার হওয়ার পরে একটু হেঁটে বাস স্ট্যান্ডে চলে আসি। আমার যে বাসে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল সেই বাস সার্ভিসটি আজকে বন্ধ ছিল জানিনা কিসের জন্য। তারপর অন্য একটি বাসে উঠে পড়লাম।
মোটামুটি দেড় ঘণ্টার ভেতরেই খোকসা বাস টার্মিনালে পৌঁছ গেলাম। সকালে যেহেতু মেস থেকে খেয়ে আসলাম না তাই ভীষণ ক্ষুধা লেগে গিয়েছিলো। তারপর বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি বিরিয়ানি হাউজে ঢুকে মোরগ পোলাও খেয়ে দেয়ে আস্তে আস্তে বাড়ি থেকে রওনা দিলাম। খোকসা বাস স্ট্যান্ড থেকে অবশ্য শোমসপুর পর্যন্ত অটোতে করে এসেছিলাম তারপর এলাকার একটি ভ্যানে করে সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিই। প্রচন্ড রোদের ভেতর আসতে যদিও একটু কষ্ট হচ্ছিল তারপরেও গ্রামীণ প্রকৃতি দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিলো।
যতই বাড়ির কাছে আসছিলাম ততই বেশি ভালো লাগছিলো। প্রতিবার ঠিক আমার সাথে এমন টাই হয় যতো বাড়ির কাছে আসি ততই বাড়ির প্রতি টান বেড়ে যায়। তারপর আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরেই ভ্যান থেকে নেমে পড়ে হাঁটতে হাঁটতে বাড়িতে চলে আসি। আহ্ বাড়িতে আসার পরে ভীষণ শান্তি লাগছে। ঢাকা যান্ত্রিক শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশে আসে আমি সবসময়ই অনেক বেশি উপভোগ করি। এখন বাড়িতে থেকে গ্রামীণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৯ শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা, বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Comments