প্রতিবেশীর বাচ্চার জন্মদিনের পার্টিতে একদিন
7 comments
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
প্রতিবেশীর বাচ্চার জন্মদিনের পার্টিতে একদিন
আমরা মূলত সন্ধ্যার বেশ খানিকটা পর সেই পার্টিতে গিয়েছিলাম। যদিও আগে থেকেই ধারণা করেছিলাম বড় কোন আয়োজনই হচ্ছে। যেহেতু রেস্টুরেন্ট নয় ,কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করা হয়েছে ।অনেক লোকের আয়োজন হবে ।সেখানে যাওয়ার পর দেখলাম অসংখ্য লোকজনে ভরপুর। যার ভেতরে বেশিরভাগই ছিল এলাকার লোকজন । এলাকার লোকজন মূলত ছিল তাদেরই আত্মীয়-স্বজন ।আত্মীয় বাদে এলাকার লোকদের মধ্যে আমরাই মনে হয় ছিলাম একমাত্র। এলাকার অন্যান্য দেরকে দেখলাম দাওয়াত করা হয়নি ।আমাদের সঙ্গে তাদের আবার বেশ ভালো সম্পর্ক যার কারণে শুধুমাত্র আমাদেরকেই এলাকার হিসেবে দাওয়াত করা হয়েছিল।
সেখানে যাবার পর সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিল ।কেননা দীর্ঘদিন আমরা একই এলাকায় থাকি ।তারপরেও অনেকদিন হয় এলাকার সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয় না ।একটা সময় ছিল সন্ধ্যার পর যখন ইলেকট্রি সিটি চলে যেত সবাই বাইরে বের হতাম। গল্প, গুজব ,হাটাহাটি করে বেড়াতাম। রাস্তা দিয়ে হৈ হুল্লোড় একটা আনন্দমুখর পরিবেশ বজায় ছিল। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার সঙ্গে দেখা হয়েছে বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছে। সবার কাছেই মনে হল বেশ ভালো লেগেছে। কেননা অনেকের সঙ্গেই অনেকের একই এলাকায় থাকা সত্ত্বেও দেখা হয় না।
অনেকে আমাকে দূর থেকে দেখে কাছে এসে কথা বলল এবং বলল আগেকার সেই দিনগুলো সত্যিই ভীষণ মিস করি। তোদেরকে ভীষণ মিস করি। যদিও তিনি আমার এলাকার সম্পর্কে আন্টি হন ।আরো অনেক মামি দের সঙ্গেও দেখা হল। যাদের সঙ্গে এলাকায় বেশ ভালো সম্পর্ক ।কিন্তু অনেকদিন দেখা সাক্ষাৎ হয় না ,সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছিল এই অনুষ্ঠানে যেতে পেরে। কেননা সবার সঙ্গে দেখা হওয়াটা সত্যি ভীষণ আনন্দের ছিল।
আমার মেয়েও জন্মদিনের পার্টিতে যেয়ে ভীষণ আনন্দ পেয়েছিল ।সবাই মিলে কেক কাটার ওখানে গিয়েছিল ।সবাই মিলে কেক কেটেছে। বেশ ভালো লেগেছে ।কেক কাটা পর্ব শেষ হওয়ার আগেই মূলত সবাইকে খাবার দেওয়া হয়েছিল। কাচ্চি বিরিয়ানির আয়োজন করা হয়েছিল ।রান্নাটা বেশ মজার হয়েছিল, খেতে বেশ ভালো লেগেছিল ।খাওয়া শেষ হলে কেক কাটার আয়োজন করা হয়। বাচ্চারা সবাই মিলে কেক কাটে। তারপর আমরা বাসায় আসার জন্য যখনই রওনা দেবো তখন মেয়ে আর সেখান থেকে আসতে চাইছিল না।সে আরও বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থাকতে চাইছিল।
কিন্তু তখন রাত দশটায় বেশি বেজে গিয়েছিল ,বাসা খালি ছিল। তাই আর বেশি সময় সেখানে থাকার সুযোগ হয়ে উঠছিল না ।যদিও তখনও লোকজন সবাই ওখানেই ছিল। যাই হোক মেয়েকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।তবে অনুষ্ঠানটা বেশ ভালই হয়েছিল। দু ভাইয়ের বাচ্চার জন্মদিন একসঙ্গে হয়েছিল ,সবাই বেশ আনন্দ করেছিল। সে সঙ্গে আমরাও একটু ইনজয় করলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
Comments