আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 114
0 comments
জগুদা চলে গেলেন। তিতির এরকমটা আশাই করেনি। স্পষ্টতই সে আবেগে আক্রান্ত হয়েছিল। অশোক বলল, 'পুরনো দিনের মানুষদের সঙ্গে এখনকার লোকের তফাতটা এখানেই। যাকগে, আমরা কাজের কথায় আসি। আপনি শাড়ি পরবেন। এই লিস্টটা দেখুন, এই শাড়িগুলো কি আপনার আছে?'
তিতির কাগজটায় চোখ বোলাল। সে শাড়ি পড়ে শখ করে। যা আছে তার বাইরে অনেকগুলো এই তালিকায়, কিন্তু সেগুলো বউদির আছে। কিন্তু শাড়ি চাইতে গেলে বউদিকে বলতে হবে কেন দরকার। তবু নেই বলতে ওর অস্বস্তি হল। সে মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল।
'শাড়িগুলোর সঙ্গে ম্যাচ করিয়ে জামা আনবেন। আপনাকে আজ স্ক্রিন্ট দিচ্ছি। এই লটে আপনার কাজ সাতদিন। রবিবার ছুটি। সাতদিনের স্ক্রিন্ট নিয়ে যান। ভাল করে দেখে আসবেন। মুখস্থ করে রাখলে ভাল হয়। মুখস্ত মানে গড়গড় করে বলা নয় কিন্তু। আর কিছু জানতে চান?'
'আমাকে কোথায় আসতে হবে। এখানে?'
'না না। আপনি ট্যাক্সি নিয়ে এন টি ওয়ান স্টুডিয়োতে চলে যাবেন। সময়টা আপনাকে, দাঁড়ান।' একটু ভাবল অশোক। তারপর বলল, 'প্রথমদিন তো, সকাল আটটার মধ্যেই চলে যাবেন।'
'আমি তো এন টি ওয়ান স্টুডিয়ো চিনি না।' তিতির বলল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'এন টি ওয়ান মানে নিউ থিয়েটার্স ওয়ান। চেনেন না। ও। আচ্ছা, এক কাজ করুন, আপনি সাড়ে সাতটার মধ্যে তৈরি হয়ে থাকবেন, বিশু গিয়ে আপনাকে নিয়ে আসবে। ঠিক আছে?' 'আমি যদি পৌনে আটটার মধ্যে এই অফিসে চলে আসি ট্যাক্সি নিয়ে আর বিশু যদি এখানেই
অপেক্ষা করে তা হলে ভাল হয়।'
'এতে তো ওরই সুবিধে হয়ে গেল।' 'আচ্ছা, আমি কার কার সঙ্গে অভিনয় করব।'
'সে সব তো স্টুডিয়োতে গেলেই জানতে পারবেন। ঘাবড়াবার কোনও কারণ নেই। মনে
রাখবেন, আপনাকে ভাল অভিনয় করতে হবে। ব্যাস।'
'তা হলে আমি উঠি।'
'আসুন। ও হ্যাঁ, বিভাসদা আপনার সঙ্গে কথা বলবেন বোধহয়।'
উনি কি এসে গেছেন?'
'গিয়ে দেখুন না ওঁর ঘরে। এসে যাওয়ারইতো কথা।'
অশোকের ঘর থেকে বেরিয়ে বিভাসদার ঘরে উঁকি মারতে গিয়ে সে দেখতে পেল ভদ্রলোক ফোনে কথা বলছেন। ওকে ইশারায় বসতে বলে কথা শেষ করে বিভাসদা বললেন, 'অশোকের সঙ্গে
কথা হয়ে গেছে? 'হ্যাঁ।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'গুড। তুমি কি নিয়মিত শাড়ি পরো?'
'না । বউদির কাছ থেকে পেয়ে যাব।'
'জামা? বউদির জামা ব্যবহার করা কি ঠিক হবে? হাতে যা সময় আছে তাতে কি কোনও
দর্জিকে দিয়ে বানিয়ে নিতে পারবে?'
'চেষ্টা করব।'
'বেশ। যা খরচ হবে তার বিল দিয়ে দিয়ো প্রোডাকশন ম্যানেজারকে। সে তোমাকে পেমেন্ট করে দেবে। গুড লাক।'
উঠে পড়ল তিতির। বিভাসদা তাকাল, 'আর একটা কথা। স্টুডিয়োতে কাজ ছাড়া কখনও যাবে না। ফ্লোরে কাজ শেষ হলে মেকআপরুমে গিয়ে বসে থাকবে। মেকআপরুমে অন্য মেয়েরা যেসব আলোচনা করবে তা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দেবে। কোনও মন্তব্য করবে না। আর এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার আগে কেউ যদি অন্য কোথাও অভিনয়ের জন্য তোমাকে প্রস্তাব দেয়, তা হলে সেটা অ্যাকসেপ্ট করবে না। কথাগুলো মনে রেখো।'
শাড়ি রং মিলিয়ে জামা তৈরি হবে। অতএব আগে বউদির শাড়িগুলো দেখা দরকার। তবু দর্জির দোকানে গেল তিতির। এই দোকানেই বউদি জামা বানাতে দেয়। সরাসরি জিজ্ঞাসা করল, 'আমার কয়েকটা জামা দরকার কবে দিতে পারবেন।'
Comments