ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পরিবারের সাথে ভালো কিছু মুহূর্ত কাটালাম
3 comments
আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
দীর্ঘদিন পর্যন্ত চট্টগ্রামে সময় দেওয়ার পর ঈদের কিছুদিন পরে চলে এলাম আমার প্রিয় শহর কক্সবাজার ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে। কক্সবাজার যেহেতু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাই ঈদের ছুটির পর কক্সবাজারে যাওয়া প্রয়োজন অবশ্যই ছিল। গ্রামের বাড়ি থেকে চাচু তার পরিবার সহকারে কক্সবাজার ভ্রমণ করার ইচ্ছা পোষণ করলো এবং তাদেরকে সাথে নিয়ে অবহশেষে চলে গেলাম প্রিয় শহর কক্সবাজারে।কক্সবাজারে পৌঁছে প্রথম দিন আমরা যখন সমুদ্র সৈকত এলাকায় ভ্রমণ করার জন্য গেলাম সেই দিনই ছিল প্রচুর পরিমাণে মানুষের ঢল। শেষ করে মানুষ যখন লম্বা একটা ছুটি পায় অধিকাংশ ভ্রমণ প্রিয় মানুষ কক্সবাজারে চলে আসে। কারণ কক্সবাজারের সমুদ্র এবং পাহাড়ের সৌন্দর্য ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের বারবার এখানে আসতে বাধ্য করে। এছাড়াও আমরা যেদিন কক্সবাজারে পৌঁছেছিলাম সেদিন ছিল বাসন্তী পূজার বিসর্জন। তাই সনাতন ধর্মের প্রচুর মানুষ বিসর্জন দেখার জন্য সেখানে উপস্থিত ছিল।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের যে স্থানটা সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় ছিল সেটা লাবনী পয়েন্ট। এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান এই জায়গাতে আয়োজন করা হয়। আমিও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট এবং শৈবাল পয়েন্ট এই ভ্রমণ করতে বেশির পছন্দ করে কারণ সুগন্ধা পয়েন্টে প্রচুর পরিমাণে মানুষের উপস্থিত থাকার কারণে সমুদ্রের সৌন্দর্যটা ঠিকমতো উপভোগ করা যায় না। বিকালের পর চাচু এবং তার পরিবারকে নিয়ে লাবনী পয়েন্টের দিকে নামলাম এবং সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একদম সমুদ্রের পানির পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। যেহেতু ঈদের পরে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক কক্সবাজারে এসেছে এবং সেই সাথে বাসন্তী পূজা ছিল তাই অনেক মানুষের ভিড়ের কারণে ঠিকমতো হাটা যাচ্ছিল না সমুদ্র সৈকতের পারে। পরে আমি তাদের কে সোহেল পয়েন্টের দিকে নিয়ে গেলাম কারণ এই জায়গাটাতে মানুষের আনাগোনা অনেকটা কম থাকে শুধু মাত্র স্থানীয় মানুষরা এই জায়গাটাতে এসে আড্ডা দেয়। তাই সমুদ্র সৈকতের সুন্দর ঢেউ এবং নিরিবিলি পরিবেশ যদি উপভোগ করতে চায় তাহলে অবশ্যই শৈবাল পয়েন্ট কিংবা কবিতা চত্বরে যাওয়া উচিত।
বিকেলের পর থেকে একদম সন্ধ্যা সূর্য ডুবে যাওয়া পর্যন্ত আমরা সমুদ্র সৈকত এলাকায় হাটাহাটি করলাম। এবং একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সাগরের মাঝে সূর্যের ডুবে যাওয়া উপভোগ করলাম। সন্ধা নেয়ে আসার পর আমরা সবাই মিলে লাবনী পয়েন্টে যে চটপটি ফুচকার দোকানগুলো রয়েছে সেখানে বসে ফুচকা উপভোগ করলাম। এরপর মার্কেটে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর পুনরায় আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Comments