নাটক রিভিউ :- ভবঘুরে পর্ব - ২৭।

আসলামু আলাইকুম,আমার স্টিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি নতুন করে খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম "ভবঘুরে" , পর্ব- ২৭"। আমি বরাবরই পুরনো নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালোবাসি। এই নাটক গুলোর মধ্যে শিক্ষনীয় বিষয় গুলো বেশি থাকে। এই নাটকটির প্রথম পর্ব নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....

গ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করে আর এর মধ্যে প্রেম ভালোবাসা সম্পর্ক গড়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক। আর একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন যেখানে মেয়েমানুষ বসে থাকবে সেখানে বিভিন্ন ধরনের গল্প হবে এটাও স্বাভাবিক। গ্রামে যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে পুরুষ মানুষ না শুনলেও মেয়েরা শুনবে এটাও স্বাভাবিক। এই বিষয়টি কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে তাদের কথাবার্তা শুনে কার মেয়ে যেন কার সাথে চলে গেছে সে বিষয়ে তারা আলাপ আলোচনা করছিল। যদিও বিষয়টি এমন নয় একজন তার মেয়েকেও অন্য জনের বাড়িতে রেখে এসেছিল এই বিষয়টি তারা বিভিন্নভাবে গুলিয়ে এই ঘটনা সৃষ্টি করছে।

ভালোবাসার মানুষকে সবাই কম বেশি ভালোবাসে এটা ঠিক কথা। যখন সে চা বাগানে ছিল সেখানে যে মেয়ের সাথে পরিচয় হয় সেই মেয়ে অসুস্থ আর তার চিকিৎসা করার জন্য অনেক টাকা লাগবে তাই মন খারাপ করে বসে আছে। সেখানে যে মালের কাজ করতে সেও তার সাথে এসেছে তাকে বুদ্ধি দিচ্ছে যে ভাই আপনি যদি পারেন এই বিষয়টা আপনার পরিবারের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর আমার মনে হয় যদি আপনি পরিবারের সাথে শেয়ার করেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার এই বিষয়টি বিবেচনা করে কোন ভাবে কোন উপকার করতে পারে। তার এই ধারণাটি তার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।

পরিবারের সন্তান যদি ভালো না হয় তাহলে বাবা মায়ের কারণে শান্তি থাকে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মায়েরা সবকিছু সহ্য করে অনেক কিছু করলেও সন্তানের কিছু বলতে দেয় না। এখানেও আখম হাসান তার দুষ্টুমি গুলো কখনোই সে সহ্য করে না অর্থাৎ তার বাবা সহ্য করে না। আর এই বিষয়টি যখন তার মার সামনে বলে তখন তার মা বেশি রাগ করে। সে তাকে বলে তুমি শুধু দেখে দেখে আমার ছেলে দোষটা ধরো আর অন্য কেউ করে না এমন কাজ। তখন তার বাবা বলে এত কিছু আমি বুঝি না ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখো না হলে কিন্তু আমি যা ইচ্ছা তাই করে ফেলব। তখন বলে কি করবে তুমি আর কি করে বা আছে আমার সাথে যেমন আছে খুব ভালো আছে।

আসলে কিছু মানুষের মুদ্রা দোষ থাকে যে বিষয়টি তাদের না করলে ভালো লাগে না এ নাটকে ঠিক তেমন একটি চরিত্র হলো নাটকের মূল কেন্দ্রিক নায়িকা। ঘরে ঢুকতে এসে খেয়াল করে তার চাচা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে তখন তো চাচাকে বলে চাচা তুমি কোথায় কি করছ। তখন তার চাচা বলে তোর চাচীকে রেখে আসলাম এই কথা শুনে তার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সে তাকে বলছে চাচা তুমি চাচীকে ভালোবাসো না আরো বিভিন্ন ধরনের কথা বলছে। আসলে মোট কথা তার চাচীর সাথে সে সারাক্ষণ ঝগড়া করে আর ঝগড়া না করলে তার ভালো লাগেনা। অবশেষে এই কথাটি তার চাচার সামনে সে বলে ফেলে বলে চাচা চাচি না থাকলে আমার ভালো লাগেনা।

গ্রাম অঞ্চলে জনবসতি মানুষ সবাই একত্রিত বসবাস করে তাই রাতের বেলায় যদি কেউ পাশ দিয়ে বাড়ি পাশ দিয়ে হেটে যায় তাও দেখবেন বিষয়টা তেমন ভালো নেয় না। নাটকের এই অংশে ঠিক তেমন একটা ঘটনা ঘটেছে এক ব্যক্তি গাছের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। যদিও তার পাশে একটি বাড়ি ছিল এবং ওই বাড়িতে একটি মেয়ে ছিল এই বিষয়টি তার ভাইয়ের লক্ষ্য করে এবং তাকে সে যা ইচ্ছা তাই বলে যায়। সে বুঝে বা না বোঝে সে বলে ও তোর লজ্জা নেই এখানে আমার বোন আছে তুই ওদূর থেকে ওকে মারছিস। তাকে বিভিন্নভাবে অপদস্থ করতে থাকে। নাটকটি এই জায়গায় শেষ হয়ে যায় পরবর্তীতে আবারো নতুন নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।