নাটক রিভিউ :- ভবঘুরে পর্ব -১৩।
5 comments
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ ( ২৭ - ০৭ - ২০২৪)
আসলামু আলাইকুম,আমার স্টিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি নতুন করে খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম "ভবঘুরে" , পর্ব- ১৩"। আমি বরাবরই পুরনো নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালোবাসি। এই নাটক গুলোর মধ্যে শিক্ষনীয় বিষয় গুলো বেশি থাকে। এই নাটকটির প্রথম পর্ব নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। |
---|
নাটকের নাম | "ভবঘুরে" পর্ব - ১৩। |
---|---|
পরিচালক | আল- হাজেন। |
অভিনয় | আনিসুর রহমান মিলন, ফজলুর রহমান বাবু, জয়রাজ, রহমত আলী, লুৎফর রহমান জর্জ, দিহান, কচি খন্দকার, আ-খ- ম হাসান, প্রাণ রায়, আরফান আহমেদ, হান্নান শেলী, মাসুদ রানা মিঠু, ডলি জহুর, শাহনাজ খুশি, নাদিয়া, আলভী, সাইকা আহমেদ ও মায়া ঘোষ। |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট ৪২ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১০ এপ্রিল ২০২২ ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ |
---|
এই নাটকের বিচিত্র ধরনের অভিনয় করছেন সঙ্গীতশিল্পী। তার অভিনয় দেখে মনে আছে সে কোন সাধারণ মানুষ নয় সে নিশ্চয়ই কোন প্রশাসনের কেউ হবে। মালি যখন তার চিন্তায় বিভোর তখন সেই ব্যক্তি তা নিয়ে হাসি তামাশা করছে। সে চিন্তা করছে বিন্দিয়াকে নিয়ে। কারণ তার উপরে রাত্রে একজন খারাপ নজর দিয়েছিল এবং তাকে খারাপ কিছু করার জন্য বারবার বিরক্ত করছে। এই বিষয়টি সঙ্গীত শিল্পী কে বলতে চেয়েছিল এবং তার বলার পরে সেও বেশ অবাক হয়েছিল। এরপরে সে বলেছিল আচ্ছা ঠিক আছে আমার জন্য যদি তোমার সমস্যা হয় তাহলে আমি এখান থেকে চলে যাব। তখন মালি বলছিল যে না আপনি এখনো সমস্যা নেই এখন আমি ওই মেয়েটার কথা ভাবছি। যেকোনো সময় তার যেকোনো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এই বলে শেষ এখান থেকে চলে যায় এবং এই বিষয়টি সঙ্গীতশিল্পী একটু ভাবতে থাকেন।
কথায় বলে চোরের মায়ের বড় গলা। গত রাত্রে মেয়ে যে মেয়েটির উপরে হামলা করছিল সে হচ্ছে এই ম্যানেজার। আবার এই ম্যানেজার মালিকের কাছে এসে নালিশ দিচ্ছে। সে বলছে মালি এবং বিন্দার মধ্যে কিছু একটা চলছে তারা আজকে রাত্রে দেখা করছিল এই কথা শোনার পরে মালিক বলেছিল হ্যাঁ এটা তো আমিও লক্ষ্য করেছি। আসলে মালিক যেটা দেখেছে সেটা ভুল দেখেছে। মালিকের যে আত্ম এসেছিল সে বাইরে চলে গিয়েছিল তাকে খোঁজার জন্যই কিন্তু মালি এসেছিল। কিন্তু বাটপার ম্যানেজার মিথ্যা কথা বলে তার উপরে সমস্ত দোষ চাপার জন্য চেষ্টা করছে। যাহোক শেষ পর্যন্ত মালিক তাকে বলল আপনি আরেকটু ভালো নজরদারি করবেন। এই কথা শোনার পরে ম্যানেজার তো বেশ খুশি হয়ে গেল কারণ সে বুঝতে পারছে তারা নিজের দোষটা অন্যের উপর দিতে পারছে।
সিনেমার জন্য পরিচালক চলে এসেছে গ্রামে। সবার মাঝে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে। এদিকে আরেফিন আখম হাসান একটা ছাগল নিয়ে চলে এসেছে রাত্রে। যদিও ছাগলটি তারা চুরি করে নিয়ে এসেছে এটা দেখে তার এক বন্ধু বলছে আমরা এতগুলো মানুষ মাত্র পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজন হবে এই ছাগলের এই গোস্ত দিয়ে কি খাওয়া দাওয়া হবে। তার কথা শুনে আখম হাসান তো কোন পাত্তাই দিল না তার উপরে মনে হচ্ছে একটু রেগে গেল। তখন আরিফেন বলল তুই কি বলছিস আমাকে ছাগল গোস্ত খাওয়ার জোরে নিয়ে এসেছি আর এতটুক ছাগলের গোশত কি খাওয়াই যায়। তাহলে তোরা এটা কি করবে তখন তারা বলছে এটা আমার খালার বাড়ি থেকে আমি এসেছি তুই এখান থেকে সরে যা। এরপর তারা সেখান থেকে চলে যায়।
এদিকে পরিচালক তো বেশ মজাই রয়েছেন। নিজের সেক্রেটারি দুইজন এবং গ্রামের সহজ সরল মেয়েটাকে নিয়ে এসে বেশ বিভিন্ন গল্পে মজেছেন। গ্রামের মেয়েরা সহজ-সরল হয় তাই পরিচালকের কথা শুনে সে নায়িকা হওয়ার জন্য বেশ উঠে পড়ে লেগেছে। এদিকে এক সেক্রেটারি পরিচালককে ভালোবাসে সে তাকে বলছে আমি আপনার জন্য এত কিছু করলাম আপনি যখন যা বলেছেন আমি তখন তাই শুনেছি তারপরও আপনি আমার ভালবাসাকে ছেড়ে দিচ্ছেন। তখন গ্রামের সহজ সরল মেয়েটি বলছে হ্যাঁ আপনি তো বেশি অনেক ভালবাসেন তাকে আপনার কথা বুঝে বুঝতে পারলাম। আমরা তো জানি সিনেমায় যারা কাজ করে তারা বেশি দিন ভালোবাসে না আর আপনার ভালোবাসা অনেক খাঁটি। আসলে গ্রামের মেয়েরা সবসময় সহজ সরল হয় তারা অল্পতে অনেক বেশি ভাবে বলতে পারে। যারা তাদের মধ্যে অনেক কথাবার্তা হলো এবং সেখান থেকে তারা চলে গেল।
সহজ কথায় বলতে গেলে পরিচালকের মনে ধরেছে গ্রামের সহজ সরল মেয়েটির উপর। সকাল হতে তার বাড়িতে চলে এসেছে এসে দেখে তার মা এবং সেই মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখে মা খুশি না হলেও মেয়েটি অনেক খুশি হয়েছে। মেয়েটি তাকে বলছে ডাইরেক্টর সাহেব আমি কি সত্যি নায়িকা হতে পারব আমার নায়িকা হওয়ার কি কোন যোগ্যতা আছে এবং আমি কি নায়িকার থেকে ভালো কিছু করতে পারবো। তখন যেভাবে শুটিং করে ঠিক সেভাবে তার সামনে ঘোরাঘুরি করছিল এটা দেখে তার মা বিরক্ত অনুভব করছিল। এ প্রতার মা বল আচ্ছা ঠিক আছে আপনি এখন চলে যান আমার মেয়ের সাথে আমি কিছু কথা বলব। এরপর তিনি চলে গেলেন এবং তার মেয়েকে বললেন তুই কি পাগল হয়েছিস তুই কি বলছিস তুই কিছু বুঝতে পারছিস। এই কথা বলার পরে নাটকের এই পর্বটি এখানে শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হব সামনের সপ্তাহে।
আজ এই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
ভবঘুরে নাটকের এটি ১৩তম পর্ব। এই নাটকটির অন্য পর্ব থেকে এ পর্বটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। পৃথিবীতে এমন মানুষ রয়েছে যারা অন্যায় করে এবং সেই অন্যায় অন্যের উপরে চেপে দেয় । নাটকের সব সময় বাস্তবতা তুলে ধরে এ নাটকের এই পর্বটি ঠিক তেমনি কিছু বাস্তব বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। আমার কাছে দারুণ লেগেছে আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আজকে এই পর্যন্তই, ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,ধন্যবাদ সকলকে।
ব্যক্তিগত রেটিং । |
---|
নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট ১০ এর মধ্যে ৮.৩ দিবো।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments