পূর্ণতার মুখে ভাত
7 comments
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি।আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের পূর্ণতা মণির মুখেভাত অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
তন্বী হচ্ছে আমার পিসতুতো বোন। একদম পিঠাপিঠি কাজিন আমরা! ছোটবেলা থেকে যখন ই যে কয়টা দিনের জন্যই আমাদের দেখা হতো, আমরা দুইজন একদম সবসময়ই একসাথে থাকতাম! গ্রামের বাড়িতে আমাদের ছোটবেলা থেকেই " মানিক জোড়" বলে ডাকতো সকলে! সেই তন্বীর ই ছোট্ট পরীর নাম - পূর্ণতা! ডাকনাম- লাড্ডু 🤭, গুতুম, পাখি আরোও কত কি!! তার ই অন্নপ্রাশন বা মুখে ভাতের অনুষ্ঠান ছিলো সেদিন। মুখে ভাত এর অনুষ্ঠান হচ্ছে কোনো শিশুর প্রথম বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ভাত বা অন্ন খাওয়ার আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান। সাধারণত শিশুদের পাঁচ মাস থেকে শুরু করে ছয় বা সাত মাসের মধ্যেই এই অনুষ্ঠান করা হয়। প্রথমে পুজো করে, তারপর মামার হাতে প্রথমবারের মতো সেই পুজোর প্রসাদ খায় বাবুরা!
এই অনুষ্ঠানটি করা হয়েছিলো ঢাকার মিরপুরের অবস্থিত একটি মন্দিরে। মন্দিরের নাম ছিলো পাইকপাড়া সার্বজনীন দূর্গামন্দির। আমরা দুপুর ১২ টার দিকে পৌঁছাই। ঢাকায় যেহেতু খুব বেশি আত্মীয় স্বজন থাকেনা, তাই বেশ ঘরোয়া পরিবেশ এই এই অনুষ্ঠান টি করা হয়েছিলো। খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজি, পায়েস এসব রান্নার আয়োজন পুরোহিত মশাই নিজেই করে রেখেছিলেন। সকল নিয়ম পালন করে আগের দিন ই আবার পূর্ণতার গাঁয়ে হলুদের ও অনুষ্ঠান করা হয়েছিলো। সে অনুষ্ঠানে অবশ্য আমার থাকা হয় নি। পুজো শেষ হয়ে গেলে তারপর মামার হাতে প্রথম বার আনুষ্ঠানিক ভাবে ভাত( আসলে খিচুড়ি) খায় পূর্ণতা, সাথে পায়েস! পায়েসের বাটি থেকে যখন ওর মুখে দেয়া হলো, ও নিজে থেকেই আরোও চাচ্ছিলো!! বোঝাই যাচ্ছিলো ভীষণ পছন্দ করেছে পূর্ণতা পায়েস টা! কোনো কান্নাকাটি না করে, বেশ সুন্দর ভাবে সেও বেশ ইঞ্জয় করেছে পুরো অনুষ্ঠান! তাইই বলি, ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল বাবু বলে কথা! এতটুকু বয়সেও বোঝে যে তাকে কেন্দ্র করেই একটা অনুষ্ঠান চলছে! পরে আমরা যারা যারা গিয়েছিলাম, তারাও একে একে পূর্ণতা মনিকে আশির্বাদ করি। তারপর আমরাও মন্দিরের প্রসাদ নেই। তারপর মেইন লাঞ্চের ব্যবস্থা অবশ্য করেছিলো একটি বুফ্যে রেস্টুরেন্টে। সে গল্প না হয় আরেকদিন করবো!
আজ আর আমি কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Comments