আমানীপুর পার্ক ভ্রমণ পর্ব -৩
10 comments
আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো,বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায়, আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় অনেক ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সামনে আমানীপুর পার্কের তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। পৃথিবীর এমন কোন মানুষ নেই যারা ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না। আমরা সবাই প্রকৃতি প্রেমী। সুযোগ পেলেই প্রকৃতির টানে ছুটে যায়। বিভিন্ন পার্ক বিভিন্ন খোলামেলা জায়গায়। যেখানে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। সেখানে আমরা ঘুরতে যাই। আমিও ঘুরতে গিয়েছিলাম আমানীপুর পার্কে। সেপার কি ছোট পরিসরে হলেও এর ভেতরে অসম্ভব সৌন্দর্য রয়েছে। আজকে আমি আমানিপুর পার্কের সুন্দর করে সজ্জিত একটি প্রজেক্ট শেয়ার করব। প্রজেক্টে হলো রেলগাড়ি যানবাহন পাহাড়ি এলাকায় কিভাবে চলাচল করে।
এখানে দেখতে পারছেন যে, একটি রেলওয়ে স্টেশন। রেলওয়ে স্টেশনটি অবিকল আমরা যে যাতায়াত করি সেই রেলওয়ে স্টেশনের মতই তৈরি করা হয়েছে। দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।আমারীপুর পার্কে বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার মতো অনেক কিছু রয়েছে। যা আমরা ওইখানে গিয়ে বুঝতে পেরেছি।
এখানে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট কালভার্টের উপরে অনেকগুলো বাস ট্রাক এইসব যানবাহন গুলো চলাচল করছে। তার নিচে দিয়ে রেলগাড়ি চলাচল করছে। এ প্রযুক্তিতে রয়েছে নগরায়ন, গ্রামীণ পরিবেশ। ও পাহাড়ি এলাকা। আমার এরপর থেকে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনারা দেখতে পাবেন।
এখনো দেখতে পারছেন যে, গ্রামীণ এলাকা দিয়ে রেল গাড়ি চলাচল করছে। অন্যদিকে জলপথে লঞ্চ স্টিমার চলাচল করছে। দেখে যেন বোঝা যাচ্ছে সত্যিকারের একটি আলোক চিত্র। এই দৃশ্যগুলো দেখলে কার না ভালো লাগবে। মনে হবে যেন একই সাথে অনেকগুলো প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে পরিচিত হচ্ছি।
এখানে দেখতে পারছেন, রেলগাড়ি শহর পেরিয়ে গ্রাম পেরিয়ে পাহাড়িয়া এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। এখানে পানির ফোয়ারা রয়েছে। রয়েছে পানির ঝরনা। পাহাড় থেকে ঝর্ণা গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ার দৃশ্যটি খুবই সুন্দর ছিল। তবে আমরা যে পার্কে গিয়েছিলাম সে পার্কে তখন এই প্রযুক্তি চালু করা হয়নি। কারণ তখন দুপুরের টাইম ছিল।
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই,আবার দেখা হবে আগামী অন্তিম পর্ব নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। এই কামনা করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ। ধন্যবাদ সকলকে।
Comments