লাইফ স্টাইল :- গরমে অতিষ্ঠ হয়ে চার্জার ফ্যান কেনার অভিজ্ঞতা।
30 comments
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বর্তমানে অনেক বেশি গরম পড়তেছে। এটা নিশ্চয়ই আপনাদের সবারই অনুভূতি হচ্ছে। গত কিছুদিন ধরে বেশ গরমের মধ্যে দিন কাটছে। তার মধ্যে লোডশেডিং তো রয়েছেই। প্রচুর গরম যখন পড়ে তখন আমাদের এদিকে লোডশেডিং এর প্রবণতা বেড়ে যায়। এত গরমের মধ্যে যদি একটু ফ্যানের বাতাস না থাকে তাহলে কেমন লাগে বলুন তো। জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠার তো কথাই। আসলে আমার বড় বোন ফোন করেছিল, অনেক বেশি গরম পড়তেছে তাই বলল একটা চার্জার ফ্যান কিনবে। তার জন্য আমি সহ আপুর সাথে গেলাম চার্জার ফ্যান কিনতে।
আমরা প্রথমে ওয়ালটন শোরুমে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি শুধু মাজারী সাইজের ফ্যান গুলা রয়েছে। তবে আপু চাইছিল বড় স্ট্যান্ড ফ্যানগুলো নিতে। যাতে সবাই হাওয়া খেতে পারে এমনকি সুবিধা হয়। সেখানে না পেয়ে গেলাম সিঙ্গার শোরুমে। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেখানেও বড় স্ট্যান্ড ফ্যান গুলো ছিল না। তখন কি করব বুঝতেছিলাম না। পরবর্তীতে একটা শপিংমলে গিয়েছিলাম। সেখানেও অনেক বড় একটা দোকান ছিল ফ্যানের। সেখানে গিয়ে দেখি প্রায় বিভিন্ন ধরনের ফ্যান রয়েছে।
বিশেষ করে একদম ছোট থেকে বড় পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজের ফ্যান রয়েছে। এগুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আসলে কোন কিছু কিনতে গেলে যখন খুঁজে পাই না তখন কিন্তু অনেক বেশি খারাপ লাগে। তাই জন্য এখানে যখন বিভিন্ন সাইজের ফ্যান গুলো দেখি তখন ভীষণ ভালো লেগেছে। তখন আমি আপুকে বললাম এখান থেকে পছন্দ করতে। আমরা এখানে দুই ধরনের ফ্যান দেখেছিলাম বড় গুলোর মধ্যে। তার মধ্যে একটা ছিল অনেক বড় সাইজের। বিশেষ করে খাটের নিচে থেকে উপরের ওঠা পর্যন্ত এগুলো ব্যবহার করা যায়।
আরো একটাও ছিল এরকম স্ট্যান্ডের। সেগুলো আবার একটু উপরে এমনকি একটু নিচে নামানো যায়। এটাই আমার কাছে অনেকটা সুবিধা জনক মনে হয়েছে। কারণ প্রয়োজন হলে উপরের দিকে উঠানো যাবে আবার চাইলে একটু ছোট করেও রাখা যাবে। তখন আমি এবং আপু দুইজনে মিলেই ওই ফ্যান তাই পছন্দ করলাম। তবে আপুর চাইছিল একটু কালারফুল ফ্যান নিতে। কিন্তু এখানে অন্য কোন কালারের ছিল না। শুধুমাত্র সাদা কালার টাই রয়েছে। আসলে একেকজনের একেক রকম পছন্দ আর কি।
কেউ সাদা রং পছন্দ করে আবার কেউ একটু রঙিন পছন্দ করে। তবে যেহেতু অন্য কালার ছিল না তবে তার সাথে আবার ফ্যানটা খুবই প্রয়োজন। তাই জন্য ভাবলাম নিয়ে ফেলি। পরে দোকানদারকে দাম জিজ্ঞেস করলাম কত টাকা হবে। দোকানদার বলল এর দাম ৬৫০০ টাকা। পরবর্তীতে আমাদের জন্য কিছুটা ছাড় দিয়ে ৬২০০ টাকা নিলো। এরপরে আমরা টাকা দিয়ে ফ্যান নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে ফ্যানটা কিনতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। গরমের মধ্যে ভীষণ কাজে দেবে। আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। এ পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
Comments