নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ২৩)
10 comments
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২৩ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, কাদের ফকির নিজের ঘরের সামনে বসে রয়েছে, আর মর্জিনাকে ডাকছিল। এরপর মর্জিনা কে পানি দেওয়ার জন্য বলে ওযু করার জন্য। এরপর কাদের ফকির বলে সে শুধু ভিক্ষা করবে, আর নামাজ পড়বে, আর কিছুই করবে না। তারপর মর্জিনা বলে এত কিছু যেহেতু করবে, তাই সুন্দরী খালার সাথেও যেন কথা না বলে। এরপর মর্জিনা পানি আনতে চলে যায়। আর কাদের নিজে নিজেই কথা বলতে থাকে এই বিষয়ে। এরপর দেখা যায় প্রিন্স এর বন্ধু প্রিন্সের বাড়িতে উঁকি মারে। আর প্রিন্সকে ডাকতে আসে। এরপর তার সাথে তখন সেখানে ঝুমার কথা হয়। তারপর প্রিন্স আসে, আর প্রিন্সের বন্ধু তাকে বলে তাদের বন্ধুকে নাকি ফকিররা তুলে নিয়ে গিয়েছে। এরপর প্রিন্স ঘরে যায় শার্ট চেঞ্জ করার জন্য। এরপর দেখা যায় মর্জিনা কলসি নিয়ে পানি আনতে যাচ্ছিল। আর তখন রতনের সাথে দেখা হয়। রতন তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে। আর তখন সেখানে চান্দু ফকির আসে। তারপর মর্জিনা চলে যায়। এরপর চান্দু রতন কে নিয়ে চলে যায় মেম্বারের লোককে ধরেছে এই কথাটা বলে।
এরপর দেখা যায় প্রিন্সের মা ঘরের সামনে বসে রয়েছে। আর তখনই সেখানে ঘর থেকে ঝুমা আসে। আর বলে কি করছে তার খালা। এরপর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর ঝুমা প্রিন্সের মাকে বলে প্রিন্স ভাই ফকিরদের সাথে আবারো ঝগড়া করার জন্য চলে গিয়েছে। এটা বলার পর তো প্রিন্সের মা আরও বেশি টেনশন করতে থাকে। এরপর ঝুমা হাসতে হাসতে ঘরে চলে যায়। তারপর দেখা যায় প্রিন্স তার বন্ধুকে নিয়ে যাচ্ছিল, ফকিরদের সাথে ঝগড়া করার জন্য। আর তখনই গ্রামে নতুন একটা মেয়েকে দেখা যায়, সে ব্যাগ নিয়ে আসছিল ওই পথে। এরপর ওই মেয়েটার সাথে প্রিন্সের ধাক্কা লাগে। এরপর মেয়েটা সেখান থেকে চলে যায়। আর প্রিন্স তার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে মেয়েটা আসলে কে। এরপর প্রিন্স বলে মেয়েটা অনেক সুন্দর। এরপর তারা দুজন ফকিরদের কে মারার উদ্দেশ্যে আবার চলে যায়।
এরপর মানিক ফকিরকে দেখা যায় এক ভাবির বাড়িতে এসে ওনাকে ডাকছিল ভিক্ষা দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাহিরে আসেন। আর তার সাথে কথা বলে। এরপর চম্মনের কথা বলায় মানিকের মনটা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। আর মানিক ফকির সেখান থেকে ভিক্ষা না নিয়ে চলে যায়। তারপর দেখা যায় ঝুমা ওই নতুন মেয়েটার ব্যাগ নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে আসে। আসলে ওই মেয়েটা হচ্ছে চেয়ারম্যানের ছোট মেয়ে। আর মেয়েটার নাম হচ্ছে জোনাকি। এরপর সেখানে চেয়ারম্যান আসে ঘর থেকে বের হয়েছে। আর উনার মেয়েকে দেখে তিনি তো অনেক খুশি হয়ে যান। তারপর প্রিন্সের কথা বলতে থাকে তারপর ঘরে চলে যায়। এরপর দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ ভিক্ষা করছিল। আর তখনই তাদের সাথে প্রিন্স এবং তার বন্ধুর দেখা হয়। তারা ভিক্ষা চাওয়াতে তারা আরো বেশি রেগে যায়। আর তখন তারা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর তারা দুজন কিছুক্ষণ পর্যন্ত কথা বলতে থাকে, মারামারির বিষয়ে। এরপর তারা ভিক্ষা করার জন্য আবারো চলে যায়।
এরপর সুতা ফকিরকে দেখা যায় নতুন ফকির গুলোর সাথে কথা বলতে থাকে। এরপর তারা বলে আমরা তাহলে ধান্দা করবো। এরপর তারা বেআইনি কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সুতাও তাদের সাথে যোগ দেয়। এরপর তখন তাদের কাছে মানিক ফকির আসে। এরপর মানিক তাদেরকে চম্মনের বিষয় বলে আর কিছু একটা শিখিয়ে দেয়। এরপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে দেখা যায় চান্দু রতন কে নিয়ে আসে মেম্বারের লোককে যেখানে বেধে রেখেছিল সেখানে। এরপর তখন রতন বলে তাকে যেন ছেড়ে দেয়, কারণ ওই লোকটা তাকে মারেনি। তখন সেখানে মেম্বারের লোক আসে। আর রতন এবং চান্দু সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তারপর রবিকে তুলে নিয়ে তারা চলে যায়। এরপর দেখা যায় জোনাকি এবং ফুলিকে। ফুলিকে জোনাকি প্রিন্সের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। আর ফুলি তো তার নামে খারাপ খারাপ কথা বলতে থাকে। তারপর ফুলি নিজের ভালোবাসার মানুষের কথা তার কাছে বলতে থাকে। রতনের কথা তাকে বলে।
এরপর চম্মনের বাবাকে দেখা যায় চম্মানকে ডাকছিল। এরপর চম্মন আসে। তাকে সাজতে বলে কারণ পাত্রপক্ষ তাকে কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখতে আসবে। যদিও চম্মন বিয়ে করতে রাজি ছিল না কিন্তু তার বাবা তাকে জোর করে পাঠায়। এরপর মানিক ফকিরকে দেখা যায় রাস্তা দিয়ে আসছিল। তখন দেখে দুইটা লোক অনেকগুলো মিষ্টি নিয়ে আসতে ছিল। এরপর তাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে থাকে। এরপর ১০ টাকা দিয়ে তাকে সরিয়ে দেয়। এরপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় ডাক্তার আপা আসছিল আর রতন তার সাথে ধাক্কা খায়। তাদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা হয়। এরপর রতন সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় ওই দুজন লোককে যারা মেয়ে দেখতে আসছিল। এরপর সুতাসহ তার দুই সঙ্গী তাদের কাছে ভিক্ষা চায়। এরপর তারা বিভিন্ন খারাপ কথা বলতে থাকে কিন্তু তারা তবুও চলে যায়।
এরপর চান্দু চিৎকার করতে করতে আসে, রবিকে ধরে নিয়ে গিয়েছে কথাটা বলতে বলতে। সে সুন্দরী খালা এবং কাদের ফকিরকে ডাকতে থাকে। এরপর তাদেরকে কথাটা বলে। আর তখন চন্দু মজিনাকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। আর সুন্দরী খালা তো কান্না করতে থাকে নিজের ছেলের জন্য। এরপর সায়েম এবং তার বউ ওই লোকদের কাছে ভিক্ষা চায় যারা পাত্রী দেখার জন্য যাচ্ছিল। এরপর সায়েমতো অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। ওই ছেলের সাথে কোলাকুলি করে। কারণ সে তার শালী কে দেখতে যাচ্ছে। এগুলো দেখে তো তার বিয়ে করার স্বাদ মিটে গিয়েছে, আর তারা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর চম্মনের বাড়িতে মানিক এসেছে। আর চম্মন কে সবকিছু বলে। এসব কিছু বলার সময় তার বাবা শুনে যায়। আর পেছন দিয়ে মানিককে ধরে। তখনই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী পর্বে কি হয় এখন এটাই দেখতে হবে।
ব্যক্তিগত মতামত
গত পর্বে নতুন যে মেয়েটাকে দেখেছিলাম গ্রামের এসেছে, সেই মেয়েটা আসলে চেয়ারম্যানের ছোট মেয়ে ছিল। আর তার নাম হচ্ছে জোনাকি। এই পর্বে আরো বড় একটা ঘটনা ঘটেছে সেটা হচ্ছে রবি এবং চান্দু মেম্বারের লোককে ধরে যেখানে বেঁধে রেখেছিল, সেখানে মেম্বারের লোকেরা এসে তাকে নিয়ে যায়। আর সাথে রবিকেও ধরে নিয়ে যায়। আর এই কথা যখন সুন্দরী খালা জানতে পারে তখন তো তিনি অনেক কান্না করেছিলেন। এই পর্বে একটা হাস্যকর ঘটনা ঘটেছে এটা অনেক বেশি মজার ছিল। আর সেই ঘটনাটা হচ্ছে চম্মনকে যে লোকগুলো দেখতে আসছিল মানিক প্ল্যান করে এটা ভেঙে দেয় কয়েকজন ফকিরকে দিয়ে। আর সায়েমের কথাগুলো শুনে তো তারা সেই গ্রাম থেকে চলেই যায়। আর এই বিষয়টা চম্মনের বাবা শুনে যায় যখন মানিক চম্মন কে কথাটা বলছিল। কিন্তু এরপরে কি হলো এটাই এখন দেখতে হবে। পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
Comments