New to Nutbox?

ভ্রমণ :- মনপুরা কাবাব হাউস এবং বিনোদন পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ( পর্ব ১)

11 comments

tasonya
77
19 days agoSteemit4 min read

IMG20240414173718.jpg

IMG-20240423-WA0028.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

IMG-20240423-WA0015.jpg

IMG-20240423-WA0027.jpg

মাত্র কিছুদিন হলো ঈদ গেলো। ঈদের সময় সবাই কিন্তু ঘোরাঘুরি করতে একটু বেশি পছন্দ করে। কারণ আবার দেখা যায় ঈদের সময় চারপাশের পরিবেশগুলো অন্যরকম সৌন্দর্যে সাজানো হয়। আসলে প্রথমত ঈদের সময় কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান ছিল না। পরবর্তীতে ভাবলাম যেহেতু ঈদ আর পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার দরকার। তাই জন্য ভাবলাম বেশি দূরে কোথাও না গেলেও কাছে কোথাও একটা প্ল্যান করি। তখন আমরা দুজন মিলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মনপুরা পার্কে যাওয়ার কথা চিন্তা করলাম।

IMG-20240423-WA0026.jpg

IMG-20240423-WA0025.jpg

আসলে আমাদের আশেপাশে খুব একটা ঘোরাঘুরি করার জায়গা নেই। তবে এখন নতুন করে এই পার্কটা তৈরি করা হয়েছে। এখানে মূলত ছোটদের জন্যই বেশি আনন্দ করার জায়গা। বিশেষ করে এই পার্কে এবারে ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন কিছু আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া আমাদের বাড়ি থেকে অনেক বেশি দূরেও না। তাই জন্য আমরা এখানেই যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। ঈদের তিন দিন পরেই আমরা মূলত গিয়েছিলাম মনপুরা পার্কে। আমরা বিকেলের দিকে সবাই মিলে বেরিয়েছিলাম। এখানে আগে টিকিটের ব্যবস্থা ছিল না।

IMG-20240423-WA0023.jpg

IMG-20240423-WA0024.jpg

যেহেতু এবার অনেক সুন্দর করেছে আমাকে বিভিন্ন ধরনের রাইড এর ব্যবস্থা করেছে তাই জন্য এখন টিকেট নিয়ে প্রবেশ করতে হয়। তো আমরা আমাদের সবার জন্য টিকেট নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। দেখি এখানে আগে থেকে অনেক বেশি উন্নত করা হয়েছে। বিশেষ করে এখানে নাগরদোলার ব্যবস্থা ছিল না। এখন দেখছি নাগরদোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া ছোটদের জন্য তা বিভিন্ন ধরনের রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এখানে বড় একটা স্লিপার ও রয়েছে। এই সবগুলোতে চড়তে টিকেট নিতে হয়। আমরা প্রথমে বড় স্লিপারে চলার জন্য নাশিয়ার জন্য টিকেট কেটেছিলাম।

এটার ভেতরে জাম্পিং এবং স্লিপার দুটোই রয়েছে। ও প্রথমে একবার যখন স্লিপারে চলেছে তখন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। ভয় পাওয়ার কারণে আর ওপরে উঠতে চাইনি। পরবর্তীতে যখন জাম্পিং এর মধ্যে জাম্প করছিল, তখন অনেক বেশি আনন্দ অনুভব করল। ওইখানে বেশ কিছুক্ষণ মজা করেছিল। ওকে প্রথমে একটা জামা পরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে অনেক গরম হওয়ার কারণে আর জাম্প দিতে অসুবিধা হওয়ার কারণে একটা ছোট টপস পরিয়ে দিয়েছিলাম।

IMG-20240423-WA0016.jpg

IMG-20240423-WA0020.jpg

এইজন্য মূলত বেশ কিছুক্ষণ সেখানে আনন্দ করতে পেরেছিল। আমরাও বসে বসে ওর আনন্দটা অনুভব করতে পেরেছিলাম। এখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। তবে এখানে নাশিয়ার সব থেকে বেশি আনন্দ করেছিল। এখানে আবার অনেক বড় একটা নৌকা ছিল। এই নৌকাটা দেখতেই আমার অনেক ভয় লাগে। তবে আমরা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। এরপর সেখান থেকে গেলাম অন্য আরেকটা দিকে। সেখানেও অনেকগুলো রাইডে চড়ছিলো নাশিয়া। এছাড়াও এখানে আরো অনেক বেশি সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। পরবর্তীতে আমরা কি কি করলাম সেটা অন্য আরেকটা পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এখানে সবটা লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে।

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Comments

Sort byBest