"টুনকু বাবুর প্রথম ইকো পার্ক ভ্রমণ "
11 comments
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আপনারা অনেকেই আমি বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকায় বহুদিন কোথাও তেমন যেতাম না। এখন অনেকটাই সুস্থ আছি। আপনাদের দাদা কয়েকদিন ধরে বলছে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলছিলো। আসলে আমার ও দীর্ঘদিন ঘরে শুয়ে বসে থাকতে আর ভালো লাগছিলো না। মনে হচ্ছিলো কিছু সময়ের জন্য কোথাও যেতে পারলে ভালো লাগতো। তাই আপনাদের দাদা বললো চলো আমাদের টুনকু বাবু ও টিনটিন বাবু কে নিয়ে ইকো পার্ক একটু ঘুরে আসা যাক। আমি আগেই বলেছি ইকো পার্কে যেতে আমার ভালোই লাগে। বহুবার গিয়েছি কিন্তু তারপরও যেতে ভালো লাগে। আর টুনকু বাবুকে এই প্রথম নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম বিকালে বেরিয়ে পড়বো। কিন্তু কোথাও আমরা ঠিক সময়ে যেতে পারি না।যে কোন কারনে দেরি হবেই।যাই হোক যেতে যেতে আমাদের প্রায়ই সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো।
টুনকু বাবু যেতে যেতে ঘুমিয়ে পড়েছিলো। টিনটিন বাবু থেকে নামা মাত্রই এক দৌড়ে চলে গেল খেলনার দোকানে খেলনা কিনতে। আমরা প্রায়ই ইকো পার্কে চার নাম্বার গেট দিয়ে প্রবেশ করেছিলাম। আর ঐ গেটের সামনে বাচ্চাদের আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের লাইটিং বেলুন, বল ও বিভিন্ন ধরনের খেলনা সাজিয়ে বসে।টিনটিন বাবু তো ঘুরে ঘুরে সমস্ত দোকান থেকে দুটো করে কিনেছে। তারপর এক পর্যায়ে জোর করে তাকে পার্কের ভিতরে নিতে হয়েছে। সে সব খেলনা কিনে নিয়ে তারই ভিতরে যাবে।
পার্কের ভিতরে প্রবেশ করতে আমাদের অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিলো।এদিকে বাড়ি থেকে রওয়ানা দিতে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল । তার উপর আবার বাইরে প্রচুর জ্যাম ছিল। আমরা পার্কের ভিতরে ঘণ্টা খানেক সময় কাটতেই বাঁশির সুর। পার্কের কর্মচারীরা বলছে এখনই পার্ক বন্ধ হয়ে যাবে।আপনারা সবাই ধীরে ধীরে বেরিয়ে যান। এবার আপনারাই বলুনতো কেমনটা লাগে।তখন শুনলাম এখন পার্ক নাকি সন্ধ্যা ৭ টায় বন্ধ হয়ে যায়।আগে রাত আটটার দিকে বন্ধ হতো। সময় এখন চেঞ্জ হয়েছে।
টেক
যাই হোক আমি পার্ক থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আজ সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। সেইদিন ছিলো আমাদের টুনকু বাবুর প্রথম ঘুরতে যাওয়া যদি ও সে সারা এক মিনিটের জন্য ও জাগেনি। তবু ও তাকে ঘিরে আমাদের বেশ দারুণ সময় কেটেছিলো।
Comments