ভৌতিক গল্প || অভিশপ্ত ঘর(১ম পর্ব)

হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ নতুন একটি গল্প শেয়ার করবো। ভৌতিক গল্প পড়তে যেমন ভালো লাগে তেমনি লিখতেও খুব ভালো লাগে। আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে গল্প লেখার চেষ্টা করি। আমি যেকোনো গল্প পড়তে খুব ভালোবাসি। এখন আগের মতো সময় পাই না বলে তেমন বেশি বই পড়া হয় না। কিন্তু একটা সময় ছিল যতক্ষণ গল্প শেষ না হতো খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে ততক্ষণ পর্যন্ত পড়তে থাকতাম। যাই হোক অনেক কথা বলেছি গল্প শুরু করা যাক---

আমি সবসময় বাস্তবের গল্প শেয়ার করার চেষ্টা করি। কিন্তু আজকের গল্প সম্পূর্ণ কাল্পনিক। একটি ছোট্ট গ্ৰামে রহিম আর করিম দুই ভাই থাকে। রহিম বড় আর করিম ছোট। তাদের বাবা-মা কেউ নেই। রহিম আর করিম একসাথে মিলেমিশে সুখে শান্তিতে বাস করতে থাকে। তাদের দেখে এলাকার মানুষ বলে এমন বন্ধন সারাজীবন থাকলেই হয়। এমন কত দেখেছি বিয়ের আগে ভাইয়ে ভাইয়ে অনেক মিল থাকে কিন্তু বিয়ের পর তা শেষ হয়ে যায়। রহিম আর করিম এই কথা শুনে বলে আমরা সারাজীবন এমন থাকবো। তৃতীয় ব্যক্তির জন্য আমাদের এই সম্পর্ক কখনো নষ্ট হতে দিবো না।

সোর্স

এভাবেই সময় যেতে থাকে, যেহেতু রহিম বড় ছিল আর তার বিয়ের বয়স হয়েছে। তখন তারা ভালো একটি মেয়ে খুঁজতে লাগলো। অবশেষে তারা কমলা নামের একটি মেয়েকে খুঁজে পায়। মেয়েটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি গুণবতী। তাছাড়া কমলার ব্যবহার খুব ভালো। রহিম কমলা কে বিয়ে করে খুব খুশি। এদিকে করিম তার ভাবিকে পেয়ে সেও খুব খুশি। এভাবে বেশ কিছু কেটে যায়। করিম তার ভাবিকে অনেক ভালোবাসে আর কমলাও রহিম কে ছোট ভাইয়ের মতো দেখে। রহিম তাদের এই সুন্দর সম্পর্ক দেখে খুব খুশি হয়। কিন্তু এই সুন্দর সম্পর্ক হঠাৎ করেই গ্ৰামের কিছু মানুষের কথায় নষ্ট হয়ে যায়।

একদিন করিম বিকাল বেলা গ্ৰামের রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। তখন চায়ের দোকানে কিছু লোক বসে করিম কে দেখে জোরে জোরে বলছে এই ভালোবাসা ভাগ হয়ে গেলো। আগে রহিম ভাই ছাড়া কিছু বুঝতো না কিন্তু এখন বউ ছাড়া কিছু বুঝে না। বউকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় কিন্তু ভাইয়ের কোনো খবর নেই। এসব কথা শুনে করিম খুব রেগে যায় আর কাউকে কিছু না বলে বাড়িতে চলে আসে। এরপর নিজের ঘরে বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে একা একা অনেক কিছু চিন্তা করতে থাকে। হঠাৎ করেই যেনো করিমের মনে সন্দেহের বীজ চলে আসে। তখন থেকে করিম শুধু তার ভাই আর ভাবিকে ফলো করতো।

এরপর করিম দেখতে পায় সত্যিই তো ভাইয়া এখন ভাবিকে বেশি ভালোবাসে কিন্তু আমাকে তো আর আগের মতো ভালোবাসে না। এভাবেই করিম আস্তে আস্তে তার ভাই ভাবির উপর বিরক্ত হতে থাকে। তারা কিছু বললেই করিম রিয়েক্ট করে বসে। করিমের এমন পরিবর্তন দেখে রহিম আর তার বউ খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে। তারা কিছুই বুঝতে পারে না করিম কেন এমন করছে। করিম কে কিছু জিজ্ঞেস করলে সে কোনো কথার উত্তর দেয় না। এদিকে রহিম আর কমলার করিমকে নিয়ে টেনশনের শেষ নেই।
(চলবে----)

আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।