বৃষ্টিমুখর পরিবেশের ভিডিও
13 comments
আসসালামু আলাইকুম
হাই! বন্ধুরা,
হাই!
বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বৃষ্টিমুখর মুহূর্তের একটি ভিডিও নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আশা করব বৃষ্টি হওয়ার মুহূর্তের এই ভিডিওটা আপনাদের দেখতে খুবই ভালো লাগবে।
একদিন হঠাৎ লক্ষ্য করে দেখি ছোট পাঙ্গাস মাছের খাবার ফুরিয়ে গেছে। মাছের দুই থেকে তিনবার খাবার দিতে হয়। খাবার না হলে তো চলবে না। বড় মাছের খাবার রয়েছে। কিন্তু বড় মাছের খাবার দিয়ে তো কোনো লাভ নেই ছোট মাছ তো খেতে পারবে না। তাই সকলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দ্রুত চলে গেলাম তিন চার কিলো পথ অতিক্রম করে জোড়পুকুরিয়া বাজারে। আমরা মূলত রূপসী বাংলা কোম্পানির মাছের খাবারগুলো খাওয়ায়। তাই সেখানে এই খাবারের দুইটা দোকান রয়েছে। সেখানে উপস্থিত হতে মোটরসাইকেলে দশ মিনিট সময় লাগলো। বাড়ি থেকে যখন বের হচ্ছিলাম তখন আকাশে হঠাৎ মেঘ এসে আসলো। বাড়ি থেকে মানা করল এই মুহূর্তে না বের হতে। আমি দেখলাম এই মুহূর্তে বের না হলে পারে মোটরসাইকেল বের করতে বাড়ি থেকে কাদা পানির সম্মুখীন হতে হবে। তাই দ্রুত বের করেই চলে গেলাম সেখানে। ঘড়ি ধরে লক্ষ্য করে দেখেছিলাম ১০ মিনিটে আমি পৌঁছে গেছি জায়গা মত। মোটরসাইকেল থেকে নামতেই শুরু হয়ে গেল প্রচন্ড বেগে বৃষ্টি। তেমন কোন ঝড়ো হাওয়া ছিল না। আকাশে হালকা হালকা রোদ ছিল। মেঘলা ছিল বেশ। কিন্তু এভাবে এত গতিসম্পন্ন বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে ভাবতেই পারিনি। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে খাবার মোটরসাইকেলে নেব কি, মোটরসাইকেল বাইরে দাঁড় করানোর কোন কায়দায় পেলাম না।
Photography device: Infinix hot 11s
Gangni-Meherpur
মাছের খাবারের দোকানের পাশেই রয়েছে এসবি পরিবহনের কাউন্টার। এছাড়াও শ্যামলী হানিফ অন্যান্য কাউন্টার গুলো রয়েছে। লক্ষ্য করে দেখলাম অনেক যাত্রী বসে রয়েছে যারা বেশ দূর-দূরান্তে যাত্রা করবে। সাথে সাথে একটি এসবি পরিবহনের গাড়ি এসে সামনে উপস্থিত হলো। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে যাত্রীরা কিছুতেই গাড়ির কাছে যেতে পারছিল না। এদিকে মাছের খাবার নেওয়া বলে কথা নয় বাজারে যেহেতু উপস্থিত হয়েছি, বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে হবে দোকান থেকে। যেন এক দোকান থেকে আরেক দোকানের দিকে যাওয়া হয়ে যাচ্ছে দুষ্কর বৃষ্টির কারণে। তাই ওই মুহূর্তে দেখলাম বসে থেকে লাভ কি, সুন্দর একটা ভিডিও ধারণ করি বেশ কিছু ফটো ধারণ করি। প্রচন্ড বেগে বৃষ্টি হচ্ছিল তাই বৃষ্টির একটা অন্যরকম শব্দ কানে আসতে থাকলো। বৃষ্টির ফোঁটা যেখানে যেভাবে তীব্র গতিতে পড়ছে সেখানে সেই আওয়াজ। বাজারে উপস্থিত হওয়ার মুহূর্তে রাস্তায় অনেক মানুষদের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছিলাম। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে যে যার মত মাথা গুজেছে আশ্রয়স্থলে।
Video device: Infinix hot 11s
Gangni-Meherpur
এই বছরে এটাই আমার প্রথম ছিল স্বচক্ষে এত গতি সম্পন্ন বৃষ্টি দেখা। কারণ আমরা দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি প্রত্যাশা করেছিলাম এই বছর। যেন অন্যান্য বছরে তুলনায় এবার আমরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি বৃষ্টির অভাব। কিন্তু ওই দিনের বৃষ্টিটা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। আমি যদি বাড়িতে থাকতাম অবশ্যই এই বৃষ্টির পানিতে আমি ভিজতাম। কারণ বৃষ্টি হলে আমার ভিজতে ভালো লাগে। আর বেশিরভাগ সময় ব্যস্ততায় পুকুরপাড়ে ভিজে যায় বৃষ্টি হলে। যাহোক দীর্ঘক্ষণ প্রচন্ড বেগে বৃষ্টি অনুমানিক আধা ঘন্টা গতি সম্পন্ন বৃষ্টি হয়েছিল। এরপর বৃষ্টি আস্তে আস্তে কমতে থাকে। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পূর্বেই আবারো আকাশে সূর্য উঠে পড়েছিল সেই আকারে। এরপর আমিও দ্রুত মাছের খাবারের বস্তা মোটরসাইকেল বেঁধে নিলাম। এরপর রাস্তা বুঝে, রাস্তা ক্রস করে চলে আসলাম। আসতে পথে পাশের গ্রাম ১৬ টাকায় বেশ অনেক জায়গায় খেয়াল করে দেখেছিলাম রাস্তার পাশে পাশে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। আর এভাবে এই দিন বৃষ্টির ভিডিও ধারণ করার পাশাপাশি, বৃষ্টির এক অন্যরকম ভালোলাগা অনুভব করেছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
Gangni-Meherpur
ভিডিও বিষয়ক | তথ্য |
---|---|
বিষয় | বৃষ্টি মুখর পরিবেশ |
ভিডিও ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ভিডিও ম্যান | @sumon09 |
Editing app | PicsArt & inshot |
YouTube channel | সোর্স |
দেশ | বাংলাদেশ |
আমার বাংলা ব্লগের সদস্য,সুমন। থানাঃ গাংনী, গাংনী-মেহেরপুর বাংলাদেশ। দৈনন্দিন জীবনে আমার পথ চলার প্রতিপাদ্য বিষয়: সততা সচেতনতা সাহসিকতা যার মধ্যে ন্যায় নীতি নিহিত।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।
Comments