কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের বাড়িতে আম গাছের দারুন চিত্র নিয়ে। আশা করি এমন চিত্র খুব কমই দেখেছেন আপনারা। এটা আশা করি, আমার এই ব্লগের মাধ্যমে সুন্দর এই চিত্র দেখে খুবই ভালো লাগবে। আর এর সাথে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
গত বছর মার্চ মাসে আমার বিবাহ হয়। নতুন পরিবেশে আসলে নতুন কিছু চোখের সামনে দেখা যায়। ঠিক তেমনি বেশ নতুন কিছু আমি লক্ষ্য করেছিলাম বিবাহের পর শ্বশুর বাড়িতে। তবে তার মধ্য থেকে আম গাছের এই দৃশ্যটা ছিল অন্যরকম। শীতের পর যখন গাছে গাছে আম ধরা শুরু হলো। আমি লক্ষ্য করেছিলাম পুরাতন ঘরের চালের উপরে আমগাছটায় বেশ অনেক আম ধরছে। একদিন আম নিয়ে বাড়িতে বেশ অনেক গল্প হল। অন্যান্য গাছের আমের তুলনায় এই গাছে সবচেয়ে বেশি আম ধরে। প্রত্যেক বছরে কোন গাছে আম ধরুক বা না ধরুক এই গাছটায় কোন বার মিস যায় না। আর সবচেয়ে রহস্যকর বিষয়। প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি হলেও এই গাছ থেকে সহজে আম পড়তে চায় না। এমনই বেশ কথা শুনে আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম। তবে দুঃখের বিষয় এই গাছের আম এতটা টক হয়ে থাকে ভুল করে গাছ থেকে আম কেউ পাড়তে চায় না। তবে গাছ পাকা আম খেতে ভালো লাগে, একটু বেশি দিন পার হয়ে গেলে আবার আমে পোকা লাগে। ঠিক অনেক রহস্যে ঘেরা এই গাছের আম কাহিনী।
যাইহোক নতুন নতুন অনেক কিছু শুনতে থাকলাম বাড়ির বিভিন্ন ফল গাছ নিয়ে। আমার শ্বশুরবাড়িতে অনেক রকমের ফলের গাছ রয়েছে। তাই বলতে গেলে সারা বছর যে কোন একটি না একটি গাছে ফল থাকে এমন সব ফলের গাছ। তবে আমার কাছে বেশ রহস্যকর মনে হয়েছিল এই আম গাছের কথা শুনে। তাই আমি প্রায় লক্ষ্য রাখতাম এই আম গাছের দিকে। ঠিক এভাবেই একটা সময় আসলো। গাছে গাছে আমপাকা শুরু হলো। মিষ্টি গাছের আমগুলো দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকলো। কিন্তু বাড়ির লোকজন কেউ এই গাছপান ঘুরেই তাকায় না। আমার কাছে বেশ রহস্যকর মনে হতো তাই আমি বাড়িতে বলতাম গাছ থেকে কিছু আম পাড়লে সমস্যা কি? কিন্তু আমার কথায় কেউ কান মুখ নাড়তো না। ঠিক এভাবে একটি মুহূর্তে লক্ষ্য করা গেল গাছে আম পাকতে শুরু করলো এবং গাছেই ঝুলে থাকলো।
বাড়ির অন্যান্য সব আম গাছের আম ফুরিয়ে যায় কিন্তু এই গাছের আম সহজে ফুরায় না। আমি বাড়িতে পরামর্শ দিয়েছিলাম কাঁচা অবস্থায় ডাল দিয়ে রান্না করে খেয়ে ফেললে তো হয়। আবার কাঁচা আম বিক্রয় করে দিলেও তো হয়। সেদিকেও কারো কোন লক্ষ্য দেখি না। আম যে খাওয়া যায় না তা কিন্তু নয়। কারণ অন্যান্য গাছে আম থাকায় এই গাছের প্রতি গুরুত্ব কম। অন্যান্য আমের তুলনায় টক হয়। আবার বেশি পেকে গেলে পোকা লাগে। আর বিশেষ করে এই বাড়িতে খাওয়ার তেমন মানুষই তো ছিল না। এই সেই কারণে এই গাছের আমগুলো নষ্ট হয়। আর নষ্ট হয় একদম গাছ ধরে সম্পূর্ণ আম। আপনারা ফটোতে যেমন দেখছেন ঠিক এভাবেই পেকে পেকে পড়ে যায়। পাখিতেও যে খায় বেশি একটা তা কিন্তু নয়। অর্থাৎ মানুষের পাখিতে খুব কম এই গাছের দিকে খাওয়ার দৃষ্টিতে তাকায়। তাই আমি বাড়িতে পরামর্শ দিয়েছিলাম এই গাছটা না রাখাই তো ভালো। তখন জানতে পেরেছিলাম যখন অন্যান্য মিষ্টি গাছগুলোতে আম ধরে না সেইবার এই গাছের আম কিছুটা প্রয়োজন হয়। ওই যে ফার্স্টেই বলেছি কোন গাছে আম ধরুক বা না ধরুক এই গাছে প্রত্যেকবার আম ধরবেই। আর এত পরিমান ধরে বাড়িতে অন্যান্য কোন গাছে এত ধরে না। অর্থাৎ এই গাছ প্রত্যেক বছর তার ডিউটি পালন করে থাকে নিখুঁতভাবে। তখনই বুঝতে পারলাম যার মূল্য নেই, তারও মূল্য রয়েছে সময় কালে।
পোস্ট বিবরণ
ফটোগ্রাফি | আম |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | Infinix Hot 11s |
ব্লগিং মোবাইল | Huawei P30 Pro-40mp |
লোকেশন | গাংনী মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার | @simransumon |
দেশ | বাংলাদেশ |
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Comments