প্রিয়জনের হাত ধরে কিছুটা সময় ফসলের মাঠে
1 comment
আজ বুধবার
আজ
বুধবার ২০২৪
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ফসলের মাঠের সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়ে। আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের দেখার সুযোগ করে দিলাম।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর ফসলের মাঠ। এই ফসলের মাঠে আমার সকল চাচাদের কৃষি জমে রয়েছে। তারা তাদের মত সারা বছরের বিভিন্ন রকম ফসল উৎপাদন করে থাকে। ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন শাকসবজি এই মাঠে হয়ে থাকে। কিছুদিন আগে আমরা ঘুরতে এসেছিলাম। এই মাঠটা আমাদের অনেক পরিচিত। রাস্তার পাশ দিয়ে অনেক রকম ফসলের মাঠ। তাই আব্বার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আমরা এই মাঠে একটু ঘুরার জন্য রাস্তা দিয়ে ঘোরাঘুরি করে বিকেল মুহূর্ত পার করেছিলাম। শুনেছিলাম এবার আমার আঙ্কেল অনেক বড় জমিতে সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে টমেটো চাষ শুরু করেছেন। বাড়ি থেকে বেশ অনেক দূরে এই ফসলের মাঠ। আমরা বাড়ি থেকে নিয়ত করলাম ঘুরতে যাব সোজা হাঁটতে হাঁটতে ফসলের জমির পাড় দিয়ে চলাচল করব কিছুটা সময়। বিকেল মুহূর্তে প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা।
রাস্তা থেকে নেমে পড়লাম মাঠের দিকে। এরপর সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখলাম সত্যি তো নতুন পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ শুরু করেছেন আঙ্কেল। আঙ্কেলের এমন নতুন পদ্ধতি এর আগে আমি কোনদিন দেখি নাই। তাই অনেক ভালো লাগছিল। টমেটোর জমির মাঝখান দিয়ে হাঁটাচলা করা যায় এমন পর্যায়ে রেখেছে সেখানে। অনেক ভালো লাগছিল এমন সৌন্দর্য দেখে। তাই আমরা তার মধ্য থেকে হাটাহাটি করলাম আর দেখতে থাকলাম নতুন কৃষি কাজের সৌন্দর্য। ফটোগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন কতটা সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুন পদ্ধতির টমেটো চাষ। তবে এই মাঠে শুধু আমার আঙ্কেলি এভাবে টমেটো চাষ শুরু করেছেন। জমির আইল এর উপর দিয়ে বেশ কিছুটা সময় ধরে হাঁটতে থাকলাম যতদূর মন চায়। পড়ন্ত বিকেলে অনেক মানুষকে দেখলাম কৃষিকাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তার মধ্য থেকে আমরাও কিছুটা সময় অনুভব করলাম কৃষকের কাজকর্মের মুহূর্ত।
শুনেছি বিদেশীরা এভাবে কৃষি কাজ করে থাকেন। আমাদের দেশের অনেক মানুষ বিদেশে যান সেখানে এমন বিভিন্ন পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করতে দেখেছেন। বিশেষ করে মালয়েশিয়া চীন জাপান সহ কিছু কিছু দেশে নাকি এভাবে অনেক শাকসবজি উৎপাদন করে। আর সেই সমস্ত বুদ্ধিগুলো কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশেও অনেক কৃষক এভাবে টমেটো চাষ, শিম উৎপাদন শুরু করেছে। আর এভাবেই কিছুটা সময় আমরা টমেটো কুমড়ো ফুলকপি পাতাকপি বা বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন রকমের শীতকালীন শাকসবজি দেখতে পারলাম ফসলের মাঠে।
আর এভাবেই আমরা দুজন আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা ফসলের মাঠের দিকে সময় পার করলাম। একদম বিকেল মুহূর্তে লক্ষ্য করে দেখলাম হালকা শীতল বাতাস গায়ে অনুভব হচ্ছে। তখন বোঝা গেল এই মুহূর্তে আর আগের মতো চলাচল করা যাবে না। শীতের আবির্ভাব চলে এসেছে। এখানে তেমন কোন ঘরবাড়ি নেই। একদিকে রয়েছে পাকা রাস্তা আবার আরেক দিকে রয়েছে কাঁচা রাস্তা। শুধু কৃষি কাজ হয়ে থাকে কিছু জমিগুলোতে। আমাদের শশুরের গ্রামের মতো এখানে মাছের পুকুর নেই। যতদূর চোখ যাই জায়গায় জায়গায় ধান উৎপাদন হয় আর বেশিরভাগ শাকসবজি ও বিভিন্ন রকমের ফসল। তবে এখানে কৃষি ব্যবস্থা অনেকটা উন্নত হয়ে গেছে। আমি ছোট থেকে একটা বোরিং দেখতাম আমাদের এখানে। এখন সোলার প্যানেলের মটর উদ্ভাবন হাওয়ায় কারেন্টের প্রয়োজন হয় না। অনেক জায়গায় ছোলার মটর দিয়ে পানি সরবরাহ হয় ফসলের মাঠে। আর এই সমস্ত জিনিস গুলো দেখতে দেখতে একটি মুহূর্তে বিকেল পেরিয়ে গোধূলির মুহূর্ত চলে আসলো। আমরাও বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আর এভাবেই অনেক দিন পর দেখলাম আমাদের ফসলের মাঠ।
পোস্ট বিবরণ
ফটোগ্রাফি | ফসলের মাঠ |
---|---|
ফসল | শীতকালীন |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | Infinix Hot 11s-50mp |
লোকেশন | Gangni-Meherpur |
ফটোগ্রাফার | Simransumon |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Comments