মজার চ্যালেঞ্জ||ভিডিও
4 comments
বন্ধুবান্ধব এক আজব জিনিস৷ এরা যেমন আপনার বিপদের সময় আপনাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে,তেমনি অনেক সময় আপনাকে আপনার ভাল সময় থেকে আপনাকে বিপদের মাঝে নিয়ে যায়। তারপর একসাথে সেই বিপদ মোকাবেলা করে। যাই হোক এজন্যই বন্ধুত্ব স্পেশাল।কেননে নিরামিষ সম্পর্ক কোন কালেই বেশি দিন টেকে না।
আমার বন্ধুরা বরাবরই চটকদার। এমনি সময় সবাই ভদ্র। আমাদের থেকে ভাল মানুষ নাই বললেই চলে। তবে আমরা যখন একা থাকি তখন মাথার মাঝে শয়তানি বুদ্ধি কিলবিল করতে থাকে।তবে যে দুষ্টামিই করি না কেন,তা কারো ক্ষতি করি না কখনো। এভাবেই আমাদের দিনকাল চলছে।
আপনাদের সাথে কিছুদিন আগে শেয়ার করেছিলাম, ঈদের ঘোরাঘুরির মুহুর্ত। আমরা প্রায় প্রতিবারই মহিমাগঞ্জে যাই।মহিমাগঞ্জ আমাদের শহরের একমাত্র রেলস্টেশন। আড্ডা দেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।ওখানে সুন্দর একটি রেলব্রিজ আছে,নদীর ধারে বসে আড্ডা দিতে ভালই লাগে। তবে এখানে আরেকটা মজা হয়।
প্রতিবারই আমাদের মধ্যে দুইভাগ হয়ে একটি বাজি খেলা হয়। বাজি টাকা দিয়ে নয়। যেহেতু সবাই ভারি খাওয়াদাওয়া করে বের হওয়া হয়,তাই সে কোন সফট ড্রিংকস বাজি ধরা হয়। যাতে খাবার ও হজম হয় আবার কিছু বিনোদন ও পাওয়া যায়।
বাজিটা তেমন কিছু না, রেল লাইন থেকে একটু দূরে একটি বৈদ্যুতিক খুটি আছে,রেল লাইন থেকে পাথর ঐ বৈদ্যুতিক খুটিতে লাগাতে হবে। এখন এই বাজি হয় দুই দলের মাঝে। একদলে শিমুল একাই আরেকদলে তানভীর আর নাহিদ।আমি থাকি রেফারি। কারন ওরা নিয়ম ঠিক করা নিয়ে বরাবরই ঝামেলা করে। তাই আমাকে মধ্যস্থতা করতে হয়।
এবার বাজি ছিল দুইটি মিরিন্ডা দিয়ে। দুইজন মিলে ছয়টি সুযোগ পাবে। যদি একবার ও লাগাতে পারে তবে শিমুল দুইটি মিরিন্ডা দিবে আর যদি একটাও লাগাতে না পারে তবে তানভীর আর নাহিদ দুইটি মিরিন্ডা দিবে। তারপর শুরু হল প্রতিযোগীতা।তবে এখানে একটা বিষয় ক্লিয়ার করি, ঈদের দিন ট্রেন বন্ধ ছিল তাই এখানে ট্রেনে পাথর মারা হয়নি বা কারো কোন ক্ষতি হয়নি।
কে জিতল তা জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে ভিডিওটি
ভিডিও লিংক
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Comments