ঈদের ঘোরাঘুরি -১ম পর্ব।
11 comments
বাঙালি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুইটি,ঈদুল ফিতর আর ঈদুল আযহা। গত একমাস সিয়াম সাধনার পরে গত পড়শু ছিল ঈদুল ফিতর। যদি রমজান মাসের প্রথম থেকেই চারদিকে উৎসবের আমেজ ছিল,তবে ঈদের আনন্দের সাথে কি আর কিছুর তুলনা হয়?
যদিও ঈদ আমার ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়,তবে অনুষ্ঠান যে ধর্মেরই হোক। পাশাপাশি থাকলে আপনার মনে সেই আনন্দের ছোয়া লাগবেই। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। সকাল থেকেই বেশ খুশি খুশি লাগছিল।কারন সারাদিন এর ব্যস্ত রুটিন। তবে ব্যস্ততা বলতেই ঘোরাঘুরি।
আগের দিন রাতেই সবার সাথে প্ল্যান করা কমপ্লিট। এখন খালি প্ল্যান বাস্তবায়ন করা। আমার ফ্রেন্ডদের আবার দুইটি গ্রুপ একদলে বন্ধুরা একদলে বান্ধবীরা। দুই দল কে আলাদা আলাদা সময় দিতে হবে। কারন দুই দলের সময় হবে আলাদা আলাদা সময়ে। সকাল বেলা বান্ধবীরা ফ্রি,আর বন্ধুরা বিকেল বেলায়।
তাই বান্ধবীদের সাথে ঘোরার প্ল্যান ছিল সকালেই।ওরা সকালে ফ্রি হবার পর আমাকে ফোন দিবে তারপর সবাই একসাথে বের হব। আমার বান্ধবী বর্তমানে সর্বসাকুল্যে দুজন।তাসনিয়া আর সুমাইয়া। তাই এই দুজনের সাথেই ঘোরাঘুরির প্ল্যান। সকালে প্রথমে তাসনিয়ার সাথে কথা বলে নিলাম। ও বলল ১১টায় বের হবে,আমি যেন ওর বাড়িতে যাই।তারপর দুজন মিলে যাব সুমাইয়ার ওখানে।
সেই অনু্যায়ী আমি ১১টায় তাসনিয়ার বাড়িতে গেলাম। সেখানে গিয়ে সেমাই খাবার পর দুজন মিলে গেলাম সুমাইয়ার বাসায়। কিন্তু সুমাইয়া হল লেট লতিফ। প্রায় এক ঘন্টা লাগল ওর রেডি হতে৷ এবার ঘুরতে বের হবার পালা। কোথায় যাওয়া হবে তা আগেই ঠিক ছিল। জায়গাটি কাছেই।আমাদের এলাকায় নতুন একটি পার্ক এন্ড রেস্টুরেন্ট উদ্ভোধন হয়েছে।সেটাই হল আমাদের গন্তব্য।
একঘন্টা অপেক্ষার পর সুমাইকে সাথে নিয়ে তিনজনে বের হলাম। পার্কটি বেশি দূরে না হওয়ায় অল্প সময়েই পৌছে গেলাম। পার্কটি মূলত একটি সূর্যমুখী ফুলের বাগান, বাগান হবার পর প্রচুর লোক সমাগম হতে থাকে। কারন বিষয়টি আমাদের এলাকায় নতুন।তাই বাগানের মালিকের মাথায় আইডিয়া আসে এটিকে পার্ক বানালে বেশ দুপয়সা ইনকাম হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ,উনি বাগানটিকে ঘিরে দিয়ে দুইটি রাইড সংযুক্ত করেন। এবং টিকিটের ব্যবস্থা করেন। তারপরেও লোকসমাগম ভালই হয়,অনেক ক্ষণ ঘোরাফেরা করার ফলে লোকজনের ক্ষুধা লাগে এই ভেবে বাগানের মালিক রেস্টুরেন্ট এর ও ব্যবস্থা করেন। তবে আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন রাইডগুলো চালু থাকলেও রেস্টুরেন্ট চালু ছিল না।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Comments