ঈদের ঘোরাঘুরি-২
9 comments
গত পর্বে তো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সকালে বান্ধবীদের সাথে ঘোরাঘুরির মুহুর্ত গুলো। বান্ধবীদের সাথে ঘোরাঘুরি করে বাড়ি চলে আসলাম। তার আগে ওদের সাবধানে ওদের বাড়িতে পৌছে দিয়েছি।বাড়ি আসতে আসতে দুপুর হয়ে গিয়েছিল।তাই আরেকবার স্নান সেরে খাওয়াদাওয়া টাও সেরে নিলাম।তারপর ঘড়িতে দেখলাম আরো খানিকটা সময় বাকি। তাই একটু ভাতঘুম দিলাম।
তারপর ঘুম ভাঙল ফোনের ভাইব্রেশনে। দেখলাম তানভীরের কল,ফোন ধরতেই দুই চারটা গালি খেলাম আগে। তারপর শুনলাম সবাই এসে হাজির,খালি আমি সময়ে হাজির হইনি। যাই হোক রেডি হয়ে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি আসলেই সবাই হাজির। এবার গন্তব্য ঠিক করা। ভাবছেন এরা কেমন ঘোরাঘুরি করে যে গন্তব্যই ঠিক নেই। আসলে আমাদের ঘোরাঘুরিই এমন।
অনেক ভোটাভুটির পর ঠিক হল সেই পুরোনো জায়গাতেই যাওয়া ঠিক হল,অর্থাৎ মহিমাগঞ্জ। মহিমাগঞ্জ আমাদের মেইন শহর থেকে একটু বাইরে৷আমাদের শহরের একমাত্র রেলস্টেশন মহিমাগঞ্জে। সবাই রেলস্টেশনে যায়,তবে আমরা যাই রেলস্টেশন থেকে একটু দূরে নদীর পাড়ে।
যাই হোক রওনা দিলাম,আবহাওয়া টাও পারফেক্ট ছিল।আকাশ মেঘলা থাকায় রোদের দাপট ছিল না। ফলে অতটা গরম না। বেশ হাওয়া দিচ্ছিল।তাই সিএনজি না নিয়ে অটো ভ্যানে রওনা দিলাম।হালকা বাতাসে বেশ ভালই লাগছিল। ফুর্তিতে সবাই গান ও শুরু করছিলাম।যদিও পরে অটোওয়ালা মামার ধমক খেয়ে গান থামাতে হয়েছিল।
গন্তব্য পৌছে দেখি লোকে লোকারণ্য।প্রতিবার ভিড় হয় ঠিকই,তবে এত বেশি ভিড় কোনদিনই ছিল না। এত বেশি লোক দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। শান্তিমত কোথাও বসে আড্ডা দেবার ও যো নেই। বাদাম কিনতে গিয়ে আরেক বিপদ।এত লোকজন হয়েছে যে বাদামওয়ালাদের বাদাম ই শেষ। দুই একজনের কাছে আছে তারা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে।তাও বাধ্য হয়ে কিনলাম।কারন বাদাম ছাড়া আড্ডা জমে না।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Comments