শেষরাতের বৃষ্টি
16 comments
এমনিতেই রোজার মাস, তার ভিতরে দিনের বেলা অসহ্য গরম। এমন অবস্থায় অনেকের জন্য রোজা রাখাও বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। যদিও কষ্ট করে হলেও সবকিছু ঠিকঠাক মতো করা যায়, তবে আবার রাত্রিবেলা ঘুমানোর সময় লোডশেডিং এর ফাঁদে পড়তে হয় । সব মিলিয়ে দেখা যায়, জীবন একদম তেজপাতা।
এমন অবস্থায় অনেকে তো অসুস্থ হয়ে পড়েছে, শারীরিক দুর্বলতা, জ্বর সর্দি এসব যেন লেগেই আছে । যদিও আমি ও আমার পরিবার এসবের ভুক্তভোগী ছিলাম, তবে আপাতত সুস্থ। তবে মাত্রা অতিরিক্ত গরমে অনেকটাই কাহিল হয়ে গিয়েছি।
গতরাতেও ঠিক একই অবস্থা প্রচুর গরম ছিল, তবে মুহূর্তের মধ্যেই যেন সবকিছু শীতল হয়ে গিয়েছিল। তখনও জেগে ছিলাম, ইচ্ছে করেই ঘরের দরজাটা খুলে একটু বাহিরে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। ঠান্ডা বাতাসে শরীরটা যেন মুহূর্তেই হালকা হয়ে গেল ।
তবে এ বাতাস যে বড্ড সুবিধের তা আর বুঝতে বাকি রইল না। ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে যেন মুহূর্তেই প্রশান্তির ছাপ ফেলেছে এই সেহরির সময়ে। ইচ্ছে করেই আরো কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে রইলাম বারান্দাতে। বাতাসের বেগ যেন ক্রমেই বাড়ছিল আর সঙ্গে টিপ টিপ বৃষ্টি।
খানিকবাদেই যেন ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করলো। সেকি বৃষ্টি, বলতে গেলে মুষলধারে বৃষ্টি। ইচ্ছে করেই হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে শরীরে কিছুটা বৃষ্টি মাখিয়ে নিলাম। অদ্ভুত এক শিহরণ কাজ করে গেল শরীরের ভিতরে।
এ শহরের ক্লান্তিকে যেন মুহূর্তেই ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করে ফেলল এক পশলা বৃষ্টি। সবকিছু যেন চকচকে হয়ে গিয়েছে, তবে এখানে কোন প্রকৃতির ছোঁয়া নেই, তাই হয়তো মৃদু ল্যাম্পপোস্টের আলোতে, ধুলোয় মাখা জরাজীর্ণ কংক্রিটের ভবনগুলোকে অনেকটাই সতেজ লাগছিল দেখতে।
সময় বিলম্ব করে আর লাভ নেই। সেহেরি দ্রুত করতে হবে, তারপর প্রশান্তির ঘুমে নিজেকে সঁপে দিতে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments