New to Nutbox?

সেদিন গিয়েছিলাম দাওয়াতে

10 comments

shuvo35
80
17 days agoSteemit3 min read

আত্মীয়-স্বজন আসলে উৎসবের সময় যেন একটু আদিখ্যেতা বেশি দেখানোর চেষ্টা করে। এমনিতেই টানা দুই সপ্তাহ গ্রামে থেকে আসলাম, তারপরে বাসায় আসতে না আসতেই শুরু হয়ে গেল আবারো এক দাওয়াতের পর্ব।

1000024195.jpg

1000024194.jpg

1000024196.jpg

1000024197.jpg

1000024198.jpg

1000024199.jpg

1000024201.jpg

ভিডিও লিংক

যেহেতু এই আত্মীয়ের বাড়িতে বিগত সময়ে কখনো যাইনি, তাই পরিবারের চাপেই এক প্রকার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল, সেখানে যাওয়ার জন্য। এমনিতেই বাইরে যে পরিমাণ গরম পড়েছে, তাতে আসলে কোন জায়গাতেই যাওয়ার ইচ্ছা করে না, তবে পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়।

যাইহোক অবশেষে সেদিন দুপুর বেলার দিকে পুরো পরিবার নিয়ে রওনা দিলাম কৃষ্ণপুরের উদ্দেশ্যে। এক ঘন্টার যাত্রা, যেহেতু আমরা গাড়ি ভাড়া করেছিলাম আর চেয়েছিলাম গ্রামীণ পরিবেশের ভিতর দিয়ে যাওয়ার জন্য, তাই কিছুটা সময় একটু বাড়তি লেগেছিল। এমনিতেই আমি প্রচুর ক্লান্ত ছিলাম, কেননা তার আগের দিন রাতে রবিবারের আড্ডা শো করতে হয়েছিল এবং সেই রিপোর্ট লেখা এবং নিজের কিছু কাজ করতে গিয়ে একদম সকাল হয়েছিল। অবশেষে কোনরকমে যখন ঘুমোতে গিয়েছিলাম, তখন ঠিকঠাক মতো ঘুম না হতেই পরিবারের লোকজন আমাকে ডাকা শুরু করেছিল এই দাওয়াতে যাওয়ার জন্য।

কি আর করার, অবশেষে আমি কোন মতো নিজেকে প্রস্তুত করে সবার সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম। যদিও প্রথম দিকে কিছুটা রাগ লাগছিল, তবে যাত্রাপথের গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে সেই রাগ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। বেশ দারুণ উপভোগ করেছিলাম সময়টা।

অবশেষে যখন আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তখন মেজাজটা অনেকটাই ফুরফুরে হয়েছিল। গাড়ি থেকে নামতেই উষ্ণ অভ্যর্থনা আমাদের জানানো হয়েছিল। এই যে শহুরে জীবনে এত গরম, তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যখন আমাদের আত্মীয় বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তখন সেখানকার পরিবেশ প্রকৃতি অনেকটাই ভিন্ন ছিল। কেননা চতুর্দিকে গাছপালা এবং ছায়ায় ঘেরা। তাপমাত্রা অনেকটাই সহনীয় ছিল।

বেশ শীতলতা অনুভব করছিলাম, তাছাড়াও তাদের সঙ্গে বেশ জমিয়ে আড্ডা দিয়েছিলাম এবং তাদের ঘরোয়া আয়োজনে আমাদের জন্য যে খাবারের ব্যবস্থা করেছিল, তা ছিল অনেকটা মুখে লেগে থাকার মত। খুব যে ভারী খাবার ছিল তেমনটা না, তবে রান্নার প্রশংসা করতেই হয়।

যেহেতু দুপুর বেলা দাওয়াত ছিল আর জার্নি করে গিয়েছিলাম, তাই বলা যায় একপ্রকার ক্ষুধার্তই ছিলাম। অবশেষে অভুক্ত পেটকে কিছুটা প্রশান্তি দিয়েছিলাম সেখানকার খাবার খেয়ে। যেহেতু প্রথম বার গিয়েছি,তাই আদর-যত্ন অনেকটাই বেশি ছিল। কোন রকমে ভরপেট খেয়ে শরীরটা এলিয়ে দিয়েছিলাম বিছানাতে। কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি, তা যেন আর বুঝে উঠতে পারিনি।

হীরা তো কিছুটা রাগে গজগজ করছিল। বারবার বলছিল, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছো, কই সবার সঙ্গে টুকটাক একটু গল্প করবে, তা নয় শুধু ঘুম আর ঘুম। বুঝলাম, হোম মিনিস্টার কিছুটা রেগে আছে। অতঃপর সবার সঙ্গে পুনরায় গল্প করতেই, কখন যে বেলা গড়িয়ে গিয়েছিল সেভাবে আর খেয়াল করা হয়ে উঠিনি।

অবশেষে সবাইকে বিদায় জানিয়ে এখন বাড়ি ফেরার পালা, সবমিলিয়ে যদি বলতেই হয়,তাহলে এক কথাতেই বলবো, স্বল্প সময়ের ভ্রমণ হলেও বেশ দারুণ কেটেছিল সময়টা।

যাইহোক আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে, একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশা করছি ভাল লাগবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Comments

Sort byBest