পড়ন্ত বেলায়
7 comments
অনেকটা দিন হলো সেভাবে ঘোরাঘুরি করা হয় না। তাছাড়া আশেপাশে ঘোরাঘুরি করার মত তেমন জায়গাও নেই। তবে সুবিশাল ফসলের মাঠ গুলো এখন বড্ড ফাঁকা। কিছুদিন আগেই যেহেতু ফসল কাটা হয়েছে তাই এখন চতুর্দিকে ধু-ধু প্রান্তর। যেহেতু আমাদের বেশিরভাগ সময় গৃহবন্দী কাটে, তাই মাঝে মাঝে ইচ্ছে জাগে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানোর।
এখানকার জীবন বড্ড ধীরগতির। তবে বেশ মানিয়ে নিয়েছি। যান্ত্রিকতার ছিটেফোঁটাও এখানে নেই, এখন তো প্রকৃতি একদম নগ্ন। সবকিছু যেন জড়সড় হয়ে গিয়েছে। শীতের প্রখরতা যেমন প্রকৃতিতে লেগেছে, তেমনটা জনজীবনেও ধাক্কা দিয়েছে ব্যাপকভাবে।
এতকিছু জেনে বুঝেও, হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের মাঝেই ছুটে গিয়েছিলাম ফাঁকা ফসলের মাঠের ওই দিকটাতে। বেশ দীর্ঘ সময় নিজেদের মতো করে বিচরণ করে বেড়িয়েছি চারিপাশটা। একদম কোলাহলমুক্ত, মানুষ বলতে আমি, বাবু ও গিন্নি।
তেজহীন সূর্য যখন শেষ বেলায় এসে উঁকি দিয়েছিল, তখন হয়তো বেচারা বড্ড লজ্জা পেয়েছিল ডুবে যাওয়ার জন্য। আমরা যেন বেশ ভালোভাবে দখল করে নিয়েছিলাম চারিপাশটা, কত ছোটাছুটি করেছি বাবুকে নিয়ে কিংবা কতবার কতভাবে যে মুঠোফোনের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছিলাম তার হিসেব নেই।
প্রশান্তি যেন হাবুডুবু খাচ্ছিল নিজেদের মাঝে। এমনিতেই পড়ন্ত বেলা, তারমধ্যে বিরামহীন ছোটাছুটি । নিজেরা যেন ইচ্ছে করেই শীতল পরশ শরীরে মেখে নিচ্ছিলাম। অন্তত আর যাইহোক, কটা দিন ঘরে গিয়ে এই সুখ স্মৃতি নিয়েই বেশ ভালোভাবেই থাকা যাবে।
চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক, মুঠোফোনের ক্যামেরায় বন্দি আমাদের ছবিগুলো। হয়তো নিতান্ত ভালো লাগার জায়গা থেকেই ছবিগুলো আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া।
লোকেশনঃ ইসলামপুর, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা।
ডিভাইসঃ Samsung Galaxy S10
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংকঃ
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments