💞 " চুড়ি কেনার জন্য গাউছিয়া মার্কেটে একদিন "
11 comments
শুভ সকাল সবাইকে
আমার বাংলা ব্লগ এ সবাইকে স্বাগতম।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter, আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি শেয়ার করবো শেষ রমজানের দিকে একদিন গাউছিয়া মার্কেটে গিয়েছিলাম চুড়ি কেনার জন্য।সেই চুড়ি কিনতে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে ব্লগ শেয়ার করতে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
চুড়ি কেনার জন্য গাউছিয়া মার্কেটে একদিনঃ
বন্ধুরা,গরমে সবাই অতিষ্ঠ।এই গরমে নিজেদেরকে সুস্থ রাখতে হলে খুব বেশী প্রয়োজন না হলে বাইরে বেশী না যাওয়াই ভালো।রমজান মাস খুব সুন্দর ভাবেই কেটে গিয়েছে।এতো গরম তখন লাগেনি।এতো গরম তখন পরলে রমজানের রোজা রাখা খুব বেশী কষ্টকর হয়ে যেতো।যাক আল্লাহ যা করেন আমাদের মঙ্গলের জন্য ই করেন।সবাই নিরাপদে থাকবেন।আর প্রচুর পরিমানে নরমাল পানি পান করবেন।বন্ধুরা,আজ আমি রমজানের শেষের দিকে একদিন গাউছিয়া মার্কেট গিয়েছিলাম সেই অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এলাম।
আমি যদিও ভীড় পছন্দ করিনা।তারপরেও চুড়ি কেনার জন্য একদিন মার্কেটে গিয়েছিলাম।অনেক দোকানে চুড়ি কেনার জন্য ঘোরাঘুরি করলেও সব দোকানের ফটোগ্রাফি আমার পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।আমি যে দোকান থেকে চুড়ি কিনে নিয়েছিলাম,শুধুমাত্র সেই দোকানেরই ফটোগ্রাফি করেছিলাম।প্রচন্ড রকমের ভীড় ছিল সেদিন এই মার্কেটে।এমনিতেই গাউছিয়া,নিউ মার্কেট প্রচুর ভীড় থাকে।আর যেহেতু শেষ রমজানের দিকে গিয়েছিলাম,তাই ভীড় কিছুটা বেশীই ছিল।যাক অনেক দোকান ঘুরে ঘুরে শেষ পর্যন্ত এই দোকানে এসে চুড়ির সেট মিলিয়ে দোকানের লোকটি দিয়েছিল।আমি আমার ঈদের ড্রেসের সাথে মিল রেখেই চুড়ির সেট মিলিয়ে দিতে বলেছিলাম।দোকানদার ভাই তাই করেছিল।
আমি যদিও সব সময় চুড়ি পরিনা।মাঝে মাঝে ব্রেসলেট আর ঘড়িই পরা হয় আমার।তবে অনেকদিন পর চুড়ি কেনা হয়েছিল সেদিন।যদিও এই চুড়ি ঈদের দিন ছাড়া আর পরা হবে না জানি।তারপরেও কেনার জন্য যাওয়া।আর কসমেটিকস এর দোকানগুলোতে গেলে কিছু না কেনার থাকলেও আবার অনেক কিছুই কেনা হয়ে যায়। আমি ছোট ছোট কানের টপ কিনেছিলাম কয়েক জোড়া।একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন মার্কেটে গেলে যা কেনার টার্গেট নিয়ে যাওয়া হয়,তার বাইরেও আসলে অনেক কিছুই আসলে কেনা হয়ে যায়।যেমনটা আমার হয়।আপনাদের কারো আমার মতো এমনটা হয় কিনা কমেন্ট করে জানাবেন তো।
চুড়ি তো কেনা হয়ে গেলো।এরপর ভাবলাম মার্কেটে যেহেতু এলাম গাউছিয়ার চার তলাতে গিয়ে দেখি কটনের কোন ড্রেস পাওয়া যায় কিনা।ওমা,গিয়ে দেখি সেখানে রীতিমতো মাছের বাজার।সবাই এই গরমের জন্য কটনের ড্রেস কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পরেছে।আমি তো এতো ভীড়ের মধ্যে নেই।ভীড় কমার পর আমি কটনের দুটো আনস্ট্রিচ থ্রিপিস পছন্দ করে নিলাম।পছন্দ করার জন্য সময় দিতে হয়।এতো ভীড় দেখে আমি কোন রকম এক পাশ থেকে দুটো থ্রিপিস নিয়ে টাকা পরিশোধ করে নীচে নেমে এলাম।আমি যেনো হাফ ছেড়ে দিয়ে বাঁচলাম।ঈদের পর ড্রেস দুটো বানাতে হবে।তাই রেখে দিয়েছিলাম।কটন কাপড়ের মতো আরাম আর কোনকিছুতেই নেই।আমার থ্রিপিস দুটো কেমন হলো জানাবেন তো।
চুড়ি কেনার মূহুর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে। আপনাদের ভালো লাগার মাঝেই আমার ব্লগিংয়ের সার্থকতা।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
সবাইকে ধন্যবাদ
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | ভ্রমন |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | গাউছিয়া মার্কেট, ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার,আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Comments