মাংসের স্বাদে এঁচোড় রেসিপি❤️
28 comments
হ্যালো
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের সব বন্ধুরা।আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ও আপনাদের আশির্বাদে ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মজাদার এঁচোড় রেসিপি।
রেসিপিটি এতোটাই সুন্দর হয়েছিলো দেখতে যে হঠাৎ করে দেখে সবাই ভেবেই নিয়েছে মাংস রান্না করেছি।আমার মেয়ে তো পাতে দেখে বলেই ফেলেছে মা এগুলো কি মাংস।দেখতে যেমন মাংসের মতো হয়েছিলো ঘ্রাণ ও বেরিয়েছিলো মাংসের মতো।আর খেতেও মাংসের স্বাদ অনুভব হয়েছে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
আশা করছি আপনাদেরকে ভালো লাগবে।
এঁচোড় ভীষণ জনপ্রিয়। আমি তো এক বছর অপেক্ষা করে থাকি কবে কাঁঠাল আসবে আর কবে এই এঁচোড় রান্না করে খাবো।কাঁঠালে অনেক পুষ্টিগুণ থাকলেও আমার একদমই পছন্দ নয়।আমি পাকা কাঁঠাল খাই না।আমি তরকারি করে খাই।কাঁচা কাঁঠালের তরকারি ভীষণ সুস্বাদু হয়ে থাকে।আমি গত বছর পোক্ত কাঁঠালের তরকারি খেয়েছিলাম আর এবার একদমই ছোট এঁচোড় রান্না করেছি। মাংসের মতো হয়েছে খেতে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
এঁচোড় | দুইটি |
---|---|
আলু | চার পাঁচটি |
রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
পেঁয়াজ কুচি | ছয়টি |
পেঁয়াজ বাটা | পরিমাণ মতো |
আদা বাটা | পরিমাণ মতো |
গোটা জিরা | পরিমাণ মতো |
তেঁজপাতা | দুইটি |
শুকনা মরিচ | তিন টি |
মরিচের গুড়া | পরিমাণ মতো |
লবন | ,স্বাদ মতো |
হলুদ | ,পরিমাণ মতো |
গরম মসলা | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি একটি গামলায় এক গামলা জল নিয়েছি এবং তাতে সরিষার তেল মিশিয়ে নিয়েছি। এরপর একটা বাটিতে সরিষার তেল নিয়েছি ও হাতে মেখে নিয়েছি। হাতে সরিষার তেল মেখে নিলে কাঠালার আঠা হাতে লাগে না লাগলেও খুব তারাতারি উঠে যায়।এঁচোড় দুটা কেটে জলে দিয়েছি আঠা গুলো বের হওয়ার জন্য।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন এঁচোড় দুটো ছিলে নিয়েছি ও ভিতরের যে শক্ত অংশটি আছে তা ফেলে দিয়েছি এবং টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়েছি। আগেই এঁচোড় টি কেটে জলে দেয়ার কারনে খুব সহজেই আঠা গুলো বের হয়ে গেছে ও সহজেই কাটা গেছে। আলু গুলো ছিলে টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও পরিমান মতো জল দিয়েছি ও তাতে কেটে রাখা এঁচোড় গুলো দিয়েছি, আলু গুলো দিয়েছি ও তাতে লবন, হলুদ দিয়েছি ও সিদ্ধ করে নেয়ার জন্য ঢাকা দিয়েছি ও হাই হিটে জ্বাল করে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
খুব ভালো করে এঁচোড় আলু গুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি একটি ঝাকায় এবং জল ঝড়িয়ে নেয়ার জন্য রেখেছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি। গরম তেলে গোটা জিরা,তেঁজপাতা,শুকনা মরিচ ফোঁড়ন দিয়েছি। পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি ও বাদামী করে ভেজে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
বাদামী করে ভেঁজে নেয়া পেঁয়াজে বেটে রাখা সব উপকরণ দিয়েছি,লবন হলুদ দিয়েছি ও ভেঁজে নিয়েছি।ততক্ষণ ভেঁজেছি যতোক্ষণ না মসলার উপরে তেল উঠে আসে।
সপ্তম ধাপ
এখন ভাজা মসলায় অল্প পরিমানে জল দিয়েছি ও খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি ততক্ষণ কষিয়েছি যতোক্ষণ না তেল মসলায় উপরে চলে আসে।এরপর সিদ্ধ করে রাখা এঁচোড়, আলু গুলো কষানো মসলায় দিয়েছি ও কষিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন কষানো এঁচোড়ে পরিমাণ মতো জল দিয়েছি। যেহেতু আগে থেকে সিদ্ধ করা আলু ও এঁচোড় তাই আর বেশি জল দেয়ার দরকার নাই।এখন ঢেকে দিয়েছি ও ফুটিয়ে নিয়েছি এঁচোড়ের তরকারি গুলো।
নবম ধাপ
খুব ভালো মতো তরকারি গুলো ফোঁটানো হয়ে গেছে তাই গরম মসলা দিয়েছি ও নারাচারা করে একটু পর নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশের জন্য।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার মজাদার রেসিপি মাংসের স্বাদে এঁচোড়। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আমার রেসিপিটি অনুসরণ করে চাইলে তৈরি করে খেতে পারেন মজাদার রেসিপিটি। কেমন লাগলো আমার রেসিপি টি তা অবশ্যই কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আমারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে সে অবদি সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
Comments