আলুর দাম যেন আকাশ ছুঁই ছুঁই,পরিদর্শন করলাম হিমাগার।।
9 comments
হ্যালো..........
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
কমবেশি সব সবজির দাম কমলেও আলু যেন হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমি বোঝাতে চেয়েছি আলুর দাম দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। আলুর দাম এতটা যে বৃদ্ধি পেয়েছে এটা আসলে আমি জানতাম না তার কারণ আমরা সারা বছরই নিজেদের জমিতে উৎপাদন করা আলু খাই। জমিতে উৎপাদন করা আলু হিমাগারেও রেখেছিলাম। হিমাগারে ৮০ ব্যাগ আলু রেখেছিলাম। তারই মধ্যে থেকে আজকে কয়েক ব্যাগ আলু বিক্রি করার জন্য গিয়েছিলাম হিমাগারে। আলু এবং হিমাগারকে নিয়ে বেশ কিছু তথ্য আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেব। চলুন...
একেবারে প্রথমে যে হিমাগারের ফটোটি শেয়ার করেছি সেটি হচ্ছে আমার বাসা থেকেই প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে। বাসা থেকে হিমাগার এর দূরত্ব নিকটে হওয়ার কারণে আমি বেরিয়েছিলাম বিকেলের দিক। হিমাগারে ঢুকে প্রথমেই গেলাম রিসিভ অফিসে। আমার টার্গেট ছিল আমি আজকে রিসিভ করে রাখবো এবং কালকে সকালে আলু বিক্রি করব। সেই যে আমি থেকে আলু উঠানোর সময় হিমাগারে আলু রেখেছিলাম, আর আজকে গিয়েছিলাম মাঝখানে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে।
কথা বলতে বলতে অবশেষে আমার আলুর রিসিভ করা শেষ করে ফেললুম। তবে বর্তমান সময়ে আলুর রিসিভ করতে গেলে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হচ্ছে কেননা এখন অনেকেই হিমাগার থেকে আলু বের করে জমিতে রোপণ করবে,এ কারণে অনেক জ্যাম লেগে থাকে।যাইহোক রিসিভ করা শেষ হলে তারপরে গেলাম হিমাগারের দিকে।
আসলে আমাদের এলাকার পাশেই এই হিমাগারটি হওয়াতে এখানকার মানুষদের অনেক কর্মস্থলের সুযোগ হয়েছে। অনেক মহিলারাও এখানে কাজ করে থাকেন তার বিনিময়ে মোটামুটি টাকা পেয়ে থাকেন। আমাদের এই হিমাগাটির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন আমাদের উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান পল্লীবন্ধু স্যার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। আমাদের রংপুরের যোগ্য একজন নেতা।
যাইহোক মূল কথায় আসা যাক তারপরে আলুর দর ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। ঠিক তখনই আমার টনক নড়ে যায়! কারণ যখন আলু উত্তোলন হয় তখন আলুর কেজি ছিল মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা অথবা ৩০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু সেই আলুর দাম বর্তমান সময়ে পার কেজি ৬০ টাকা করে। ভাবা যায় দ্বিগুনের চেয়েও বেশি দাম। আপনাদের সুবিধার্থে প্রত্যেকটা আলুর দাম একটু আলাদা আলাদা করে বলে দেই।
শীল, স্টিক, খুরপি এবং সাদা আলু প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। এরপরে গ্রানুল্লা আলু প্রতি কেজি ৭৫ টাকা। লাল সেভেন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। আর টিপিএস আলু ছিলইনা। আলুর বাজার শুনে আমি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আলুর একদম আকাশ ছুঁই ছুঁই বাজার হয়ে গেছে।
অবশেষে পুরো বাজার ঘুরে আলুর দাম জেনে নিলাম কারণ আগামীকাল আমাকেও আলু বিক্রি করতে হবে। তবে হিমাগারের ভিতরে এখনো হিউজ পরিমাণ আলু রয়েছে। আমি জানিনা আলুর বাজার দিনকে দিন এত বেড়েই চলেছে কেন। যাই হোক বন্ধুরা দেখা যাক কতদূর পর্যন্ত এই আলুর বাজার পৌছায়। আমার উপরে ফটোগ্রাফিতে যেই মানুষটিকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি হলেন আমাদের রংপুরের কৃতি সন্তান পল্লীবন্ধু স্যার হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। যাইহোক বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের পোস্টের আয়োজন গভীরভাবে আশা ব্যক্ত করছি আলুর দাম যেন কমে আসে নতুবা গরিব শ্রেণীর মানুষদের বাজার করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Comments