তিক্ত অভিজ্ঞতা
3 comments
হ্যালো..........
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের বাস্তবিক বিষয়গুলোকে তুলে ধরতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। ঠিক সেরকমই আজকে একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। যেটা শুনলে হয়তো বা আপনাদেরও খারাপ লাগবে। বিষয়টা হচ্ছে আজকে গিয়েছিলাম আমাদের কমিউনিটির শ্রদ্ধেয় মডারেটর সিয়াম ভাইয়ার এলাকা নীলফামারী জেলাতে। এখন কথা হচ্ছে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে কিভাবে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় আবার। হ্যাঁ এটা সঠিক কোশ্চেন। আর এই প্রশ্নের অ্যান্সার টি পেতে গেলে নিচের লেখাগুলি পড়তে হবে আপনাদের।
বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম নীলফামারী যাওয়া খুব জরুরী হয়ে গেছে পারিবারিক একটি কাজের উদ্দেশ্যে। আজকে হাতে তেমন একটা কাজ ছিল না তাই বেরিয়ে পড়লাম নীলফামারির উদ্দেশ্যে। তো যাওয়ার পথেই এক মুরুব্বির অটোরিক্সায় উঠে পড়লাম কিছুটা পথ যাওয়ার জন্য। চুপচাপ ভাবে অটো রিক্সায় করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মুরুব্বী কে প্রশ্ন করে বসলাম , চাচা আপনার সন্তান কতজন? উনি আমার প্রশ্নের সোজাভাবে উত্তর দিলেন পাঁচ জন মেয়ে এবং তিনজন ছেলে। তারপর বললাম সবাইরে কি বিয়ে হয়েছে? উত্তর দিলেন হ্যাঁ। পুনরায় প্রশ্ন করলাম আপনি এই বয়সে এসে রিকশা চালাচ্ছেন কেন? এইবার তিনি একটু গম্ভীর স্বরে বললেন...
কি আর বলবো বাবা, সন্তানদের নিয়ে অনেক আশা ছিল ভালোভাবে শেষ বয়সে জীবন কাটানোর কিন্তু সেটা আর হলো না। প্রশ্ন করলাম কেন হলো না চাচা? তিনি বলতে লাগলেন, বড় ছেলে আমার মতই অটোরিকশা চালায়, মেজো ছেলে ঢাকায় চাকরি করে বউ বাচ্চা নিয়ে সেখানেই থাকে, আমাদের কথা তার চিন্তায় নেই। আর ছোট ছেলেকে নিয়ে আমার অনেক আশা ছিল লেখাপড়া করিয়েছেন বটে। মুরুব্বী চাচার শেষ ইচ্ছা ছিল তার ছোট ছেলেকে নিয়ে শান্তিতে জীবনের শেষ অংশটাকে কাটিয়ে দিবেন। ছোট ছেলে লেখাপড়া করালেন চাকরিও পেয়ে গেলেন। বেশ ভালোই চলছিল তাদের।
কিন্তু ছোট ছেলের বিয়ের পরে যে মেয়েকে ছোট ছেলের বউ করে নিয়ে আসে সেই মেয়ে মুরুব্বির ছোট ছেলেকে তার মা-বাবার সাথে কথা বলতে দিত না। টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা তো দূরের কথা। এখন শেষ পর্যায়ে মুরুব্বী চাচা বাধ্য হয়ে অটো রিক্সা চালাচ্ছেন। আহঃ কি এক কষ্ট জনক কথা। ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই আহ্বান করব মাতা পিতা অবশ্যই আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ। তাই তারা কষ্ট পাবে এমন কোন কাজ কখনোই করবেন না। কেননা তারা অসন্তুষ্ট হলে স্রষ্টা অসন্তুষ্ট হবে। সুতরাং আপনার বিপদ অনিবার্য হবে। অতএব মা-বাবার প্রতি যত্নশীল হন।
আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Comments