New to Nutbox?

SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 41]

5 comments

sbd-recovery
73
11 days agoSteemit3 min read

This post is made for recovering lost SBD : 1470

Recovered so far : 1370.332 SBD


গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ৩৯


vampire-2115396_1280.jpg
Copyright Free Image Source : PixaBay


অর্ধোত্থিত শাণিত খড়গ মাঝপথেই থেমে গেলো । মহা আশ্চর্য হয়ে যমদূতটি বলির কার্য মাঝপথেই থামিয়ে দিয়ে কাপালিকের মুখের পানে তাকালো । চন্ড কিন্তু ভয়ানক ক্ষিপ্ত স্বরে কাপালিককে বলে উঠলো, "কী হলো ঠাকুর ? মাঝপথেই বলি বন্ধ করলেন কেন ? কোনো ক্রিয়া-কান্ড কী বাদ পড়ে গেছে ?"

গভীর বিষাদে মাথা নাড়লো কাপালিক, "নাহ ! এই বলি হবে না । বলি নিখুঁত নয় । গর্ভবতী কোনো নারী বলির জন্য উপযুক্ত নয় ।"

শুনে প্রচন্ড ক্রোধে গর্জন করে উঠলো চন্ড, "কেন ? আপনি কি জানতেন না যে রানীমা গর্ভবতী ? এখন যে ভারী ন্যাকা সাজছেন ! ওসব ন্যাকামো বাদ দিয়ে কষে বলির মন্ত্র আওড়ান দেখি, বলি হয়ে যাক ঝটপট । বলির পরপরই আমাকে এই তল্লাট ছেড়ে সটকে পড়তে হবে, নইলে বেঘোরে মারা পড়বো । এখন শেষ সময়ে এসে এসব ধ্যাষ্টামো আর ভালো লাগছে না । এই নান্টা গলা নামিয়ে ফেল, ঝটপট ঝটপট । আর ঠাকুর বলির মন্ত্র শুরু করুন ।"

নরেন ওরফে নান্টা নামের সেই যমদূতটা আবার খাঁড়া তুললো । কিন্তু, কাপালিক অনড়, গলা দিয়ে কোনো স্বর বের হলো না তার ।

কাঁহাতক আর সহ্য হয় ! চন্ড দারুন ক্রোধে উন্মাদ হয়ে প্রচন্ড এক ঠেলা দিয়ে কাপালিককে ভূপাতিত করে ফেললো । তারপরে কাপালিকের ভূপাতিত শরীরটাকে ডিঙিয়ে এক লাফে চলে এলো হাঁড়িকাঠের কাছে । নান্টাকে চোখের কোণ দিয়ে ইশারা করলো রানীমার মাথাটা কেটে ফেলতে ।

কিন্তু, নান্টা নড়ে না । সহসা সে মাথা নেড়ে হাত থেকে খড়গ ফেলে দিলো । তারপর ভূপাতিত কাপালিকের দিকে আঙুল দেখিয়ে জানালো, "কর্তাবাবুর হুকুম ছাড়া হবে না, পারবো না ।"

"কী ই ই ই ? পারবি না তুই ? তবে তফাৎ যা কাপুরুষের বাচ্চা ! আমি নিজে হাতেই বলি দেব আজ । যা যা , সর ...", বলে সবলে নান্টাকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে নিচু হয়ে মাটি থেকে খড়গ তুলে নিলো চন্ড ।

মাথার উপরে উঁচিয়ে ধরলো চন্ড ভারী সেই খড়গটা । এক কোপে ধড় থেকে মুন্ডুটা নামিয়ে আনতে হবে তাকে । তারপরে আজ শেষ রাতেই সে বসবে শব সাধনায় । ভোর হওয়ার সাথে সাথেই এই এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে । নইলে জীবন বাঁচানো বড় কঠিন হয়ে যাবে তার পক্ষে। তারপর পক্ষকাল ঘুরতে না ঘুরতেই সে হয়ে উঠবে দারুন ক্ষমতাধর এক ব্যক্তি । তখন আর তার গুরু কাপালিককে কিসের ভয় ?

চোখ ধাঁধানো বজ্রের ঝিলিক আর তার পরপরই কড় কড় কড়াৎ !! সহসা সমগ্র শ্মশানভূমি কাঁপিয়ে বাজ পড়লো কাছে কোথাও । সেই বিদ্যুতের আলোয় দেখা গেলো এক দীর্ঘাঙ্গ পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে মন্দির প্রাঙ্গন থেকে মাত্র পনের-কুড়ি হাত তফাতে । তার মুখ দারুন ক্রোধে রাঙা, চোখ দু'টিতে যেন আগুন জ্বলছে । তীব্র হাওয়ার বেগ এখন প্রায় ঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে । সেই হাওয়ায় তার মাথার দীর্ঘ জটা খুলে গিয়েছে, সাপের ফণার মতো সেগুলো দুলছে তার মাথা থেকে । কপালে রক্ত চন্দনের টীকা, খালি গা, সারা গায়ে ছাই লেপা, পরনে রক্তাম্বর, খালি পা । এক হাতে রয়েছে সুবিশাল একটা ত্রিশূল, আরেক হাতে কমণ্ডলু ।

[চলবে]

Comments

Sort byBest