"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৬৬ || শেয়ার করো তোমার সেরা শীতকালীন সেরা ফটোগ্রাফি
4 comments
আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি সবাই সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমি আজ আপনাদের মাঝে আবারো নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে@rmeদাদা, এডমিন মডারেটর, ভাই ও বোনেরা আমাদের জন্য সময়োপযোগী একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। শীতকালে প্রকৃতি অপরূপ রূপে সাজে। তাইতো শীতকালের আবহাওয়াটা বেশি ভালো লাগে। গাছে গাছে সতেজতা
বিভিন্ন রকমের ফুল, সকাল বেলার কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ,
ঘাসের ডগায় শিশির কনা কি অপরূপ লাগে দেখতে। প্রকৃতির সৌন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করে তাই তো তার সৌন্দর্যে আমাদের নয়ন জুড়িয়ে যায়।
আমি সব সময় চেষ্টা করি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেই যে বিজয়ী হতে হবে তা নয় তাই তো সবসময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি কিন্তু হতাশ হইনি কখনও। ধৈর্যের জন্য মাঝে মাঝে বিজয়ী হয়েছি।
শীতকালের প্রকৃতি দেখতে কার ভালো লাগেনা। তাইতো শীতকালের এই প্রতিযোগিতার ফটোগ্রাফি করার জন্য চলে গেলাম কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য। যদিও চেষ্টা করেছি আমি আমার সাধ্যমত জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে। তবে প্রত্যেকটি সৌন্দর্য আমার মন কেড়েছে । তাই সেই সৌন্দর্যগুলোকে ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে
উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে
শীতকালের ফটোগ্রাফির সৌন্দর্যগুলো দেখে নেওয়া যাক।
শীতকালে সরিষা জমিতে সকালবেলা গেলে ঠিক এভাবে কুয়াশা থাকে এবং সরিষার মধ্যে খালি পায়ে হাঁটলে পা ভিজে যায় মনে হয় পানি দিয়ে পাগুলো ধুয়ে ফেলছি।
শীতকালে খেজুরের রস হবে না এমন তো হতে পারে না। আর খেজুরের গাছে ছোটবেলায় দেখতাম ছোট ছোট মাটির পাতিল লাগানো থাকতো কিন্তু এখন দেখি মাটির পাতিলের পরিবর্তে প্লাস্টিকের বোতল যা দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছে।
শীতকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে গ্রামের লোকজন ছুটছে তাদের কর্মস্থলে।কেউ হয়তো বা শহরে কাজ করে কেউবা পার্শ্ববর্তী কোন গ্রামে দিন মজুরি দিতে ছুটছে।
ধান যখন জমিতে থাকে তখন কুয়াশার পরিমাণটা একরকম দেখা যায় না।আর ধান কাটার পরে ফাঁকা মাঠে কুয়াশাটা যে কতটা সুন্দর লাগে সেই সৌন্দর্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
শীতের সময় বিভিন্ন ধরনের শস্য ফলে আর তারই উদাহরণ এখানে। আর এই ধরনের পরিবেশে কুয়াশাটা কেমন দেখায় তার সৌন্দর্যটা উপভোগ করছিলাম।
শীত আসবে আর পিঠাপুলির ধুম পড়বে না তা কি করে হয়। পিঠাপুলির দোকান দুটো দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে।দেখেই বোঝা যায় শীতটা কত তীব্র এবং কতটা আনন্দের।
শীতের সময় এলাকায় এলাকায় মাহফিলের ধুম পড়ে যায়। আর এ সময় মাহফিল না মনে হয়। তাই তার প্যান্ডেলের একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আমার খুব দুর্ভাগ্য সব সময় এই রেল লাইনের জায়গাটিতে কুয়াশায় আবদ্ধ থাকতো। কিন্তু আজকে যখন আমি ফটোগ্রাফি করতে এসেছি তখন কুয়াশার বিন্দুমাত্র ছোয়া নেই।তার একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
শস্য ফুল সব সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আর আমাদের কৃষকেরা একটি ফসল কাটতে না কাটতে আরেকটি ফসলের বীজতলা তৈরি করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে থাকে। আর এই বীজতলায় তাদের সর্ষের বীজ ফেলা শেষ আর এই কাজটি শীতের সময় অনেক কষ্ট করে করতে হয়।
শীতের সময় ছেলেরা খেলাধুলার প্রতি একটু বেশি উৎসাহী হয় কারণ শীতের মধ্যে যদি খেলাধুলা না করে তাহলে শীতের পরিমাণ বেশি লাগে। তাই তারা খেলাধুলার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়।এই বিকেলবেলায় তাদের খেলাধুলার একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
Comments