"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -৬৫ || শেয়ার করো তোমার ঐতিহ্যবাহী পিঠে পুলির রেসিপি
13 comments
আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই? আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমার বাংলা ব্লগের আমাদের সকলের প্রিয় @rme দাদা, এডমিন ও মডারেটর ভাই বোনেরা এবার সময়োপযোগী একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতা মানেই ইউনিক কিছু দেখতে পাওয়া এবং শিখতে পারা। আমি চেষ্টা করি প্রতিযোগিতায় সব সময় অংশগ্রহণ করার জন্য।কারণ প্রতিযোগিতায় এত ইউনিক বিষয়ের উপর হয়ে থাকে অংশগ্রহণ না করলে আসলেই ভালো লাগেনা। শীতকাল মানেই দারুন একটি অনুভূতি। প্রকৃতি নতুন রুপে সাজে। যেদিকে তাকাই সব কিছুর মধ্যে সতেজতা খুঁজে পাই।শীতের সময় বাঙালিদের ঘরে ঘরে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে। শীতের সময়টা পিঠা খেতে কার ভালো লাগেনা।
সবাই চেষ্টা করে পরিবার নিয়ে এই সময়টা আনন্দ করার জন্য।মেহমান বাড়িতে আপ্যায়ন সেখানেও থাকে নানান রকমের পিঠার আয়োজন।আমাদের সকলের প্রিয় তনুজা বৌদির একটি রেসিপি নিয়ে আমি হাজির হয়েছি। বৌদির রেসিপিটি সেই সময় আমার অনেক ভালো লেগেছিল।যখন পিঠার কনটেস্টটি দেখলাম তখনই কেন জানি মাথায় এল তনুজা বৌদির রেসিপিটি তৈরি করব।তবে আমি এই রেসিপি এর ভিতরে সামান্য ভিন্নতা এনেছি। যদিও রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল কিন্তু তৈরি করতে সত্যিই অনেক কষ্টদায়ক।
ঝাল খেতে কার ভালো লাগেনা। শীতের সময়টা মনে হয় ঝাল ঝাল পাকোড়া,ঝাল পিঠা সবকিছু মুখে অমৃত মনে হয়। আমি স্বাস্থ্যসম্মত একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি কারণ এই পিঠা তৈরি করতে সেই পরিমাণ তৈল ইউজ করতে হয় না এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ মসলার ব্যবহারও নেই এখানে।এটা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি করবে না এবং খেতেও মজাদার।তাইতো আপনাদের মাঝে "স্বাস্থ্যসম্মত গ্রীন চিলি ছিটা পিঠা" নিয়ে হাজির হয়েছি।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমার রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।আতপ চালের গুড়া।
২।কাঁচা মরিচ।
৩।পেঁয়াজ।
৪।রসুন।
৫।আদা।
৬।ডিম।
৭।ধনেপাতা।
৮।জিরাগুলো।
৯।লবণ।
১০।সামান্য পরিমাণ তৈল।
প্রথমে একটি বাটিতে দেড় কাপ পরিমাণ আতপ চালের গুড়া নিয়েছি।
এবার পেঁয়াজ শিলপাটায় থেতলে করে রস করে নিয়েছি।
রসুন পিসে রস করে নিয়েছি ।
আদা শিলপাটাই পিসে রস করে নিয়েছি ।
কাঁচা মরিচ শীলপাটায় পিসে নিয়েছি।
ধনেপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে শিলপাটায় বেটে রস করে নিয়েছি।
এবার কুসুম আলাদা করে ডিমের সাদা অংশ নিয়েছি ।
এবার একটি বাড়িতে আতপ চালের গুড়া নিয়ে তার ভেতরে ডিমের সাদা অংশটি দিয়ে দিয়েছি।
এবার চালের গুড়োয় আদার রস,পেঁয়াজের রস ও রসুনের রস দিয়ে দিয়েছি।
কাঁচা মরিচের পেস্ট ও ধনিয়া পাতার রস চালের গুড়াতে অ্যাড করেছি।
এবার চালের গুড়াতে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে পাতলা একটি বেটার তৈরি করে নিয়েছি।
স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিয়েছি।
এবার পাতলা বেটার টিকে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি।
ফ্রাইপেন গরম হওয়ার পর পরিষ্কার একটি কাপড়ের সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে ফ্রাই প্যানটি মুছে নিয়েছি ।
এবার পাতলা বেটারটি হাত দিয়ে ফ্রাই পেনে কয়েকটি ধাপে ছিটিয়ে দিয়েছি এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি।
এ ফ্রাইপেনের এক সাইড থেকে ভাঁজাকাঠি দিয়ে হালকা করে উঠানোর চেষ্টা করেছি। আর যখন পিঠাটি উঠে গেল এবং মুচমুচে হল তখন ভাঁজ করে নিয়েছি। আর এভাবে হয়ে গেল আমার "স্বাস্থ্যসম্মত গ্রীন চিলি ছিটা পিঠা" রেসিপি। এবার এই "স্বাস্থ্যসম্মত গ্রীন চিলি ছিটা পিঠা" রেসিপির একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থিত করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
Comments