ভাগ্নির গাঁয়ে হলুদের অনুষ্ঠানের কিছু মহত্ত্বের অনুভূতি ।।
5 comments
আসসালামুয়ালাইকুম ......
......এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব........।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে ভাগ্নির গাঁয়ে হলুদের অনুষ্ঠানের কিছু মহত্ত্ব শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশ ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।
আজ ভাগ্নির গায়ে হলুদ কাল যে তার বিয়ে,
টোপর মাথায় আসবে জামাই যাবে যে তাকে নিয়ে ।
😥
গায়ে হলুদ মানে মনকে আরো হলুদ রঙে রঙিন করে তোলা। আর কিছুক্ষণ পরেই নতুন এক জীবন শুরু হবে তার অপেক্ষায় এই রঙিন মনকে উতলা করা বা।গায়ে হলুদ মানে যেখানে কনে হলুদ পাখি হয়ে সেজে বসে থাকে। আর তার আশেপাশে আরো ছোট ছোট হলুদ পাখিরা কিচিরমিচির করে।বিয়ের পূর্ববর্তী আসর হচ্ছে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। আর এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে হাজার বছরের ঐতিহ্য।গায়ে হলুদ বা হলুদ সন্ধ্যা বলতে আমরা বুঝি বিয়ের আগের দিন কনে ও বরের বাসায় আয়োজিত অনুষ্ঠানকে। যে অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিয়ের আনন্দ এবং বিয়ে বাড়িতে পড়ে যায় উদযাপনের ঢল। গায়ে হলুদ এর অনুষ্ঠান অনেক যাক জমক হয়ে থাকে এতে আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সবাই উপস্থিত থাকে।
বিয়ে মানেই অন্যরকম একটা আনন্দ ।যার বিয়ে সে আমার জ্যাঠাতো বোনের মেয়ে । সম্পর্কে আমার ভাগ্নি হয় ।তার বিয়ে এক সপ্তাহ আগে ঠিক হয় হঠাৎ করেই।প্রথমদিকে অনুষ্ঠান করার কোন কথাই ছিল না। আসলে যার বিয়ে তার তো একটু ইচ্ছে হয় যাতে অনুষ্ঠান করে আনন্দ করা যায়। তো তাই জন্য বেশি না হলেও কিছুটা পরিমাণে আয়োজন করা হয়েছে। বিয়ের আগের দিন গাঁয়ে হলুদ ও মিষ্টি মুখের অনুষ্ঠান করা হয় । আমরা সকলেই কমবেশি জানি।
বিয়ে বাড়ী মানেই হাতে মেহেদী দেওয়ার আনন্দ । আমার ভাগ্নি কয়েক দিন আগে আমাকে বলে রাখে।তার হতে গাঁয়ে হলুদে দিন মেহেদি দিয়া দিতে হবে।অনুষ্ঠানের আগে আমার ভাগ্নি কে আমি মেহেদী দিয়া দেয়।মেহেদী মেয়েদের অন্যতম একটি শখের জিনিস।
আমি মেহেদী দিতে যেমন পরি তেমন সাজাতে ও পারি । আগে আমি খুব সাজতাম কিন্তু এখন তেমন সাজতে ইচ্ছা করে না ।তবে সবাই কে সাজাতে ভালো লাগে। মেহেদী দেওয়ার পর ভাগ্নি কে শাড়ি পড়িয়ে রেডি করে দেয় । মিষ্টি মুখের অনুষ্ঠানের জন্য। তাকে রেডি করে শেষ এ আর ও কয়েক জন ভাগ্নি ও বোনেরা আমার কাছে সাজতে বসে পরে । বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাদের কেউ ও সাজাই দেয়। তারপর আমি নরমাল ভাবেই রেডি হয়ে সেখানে চলে যায়। সেখানে গিয়ে আগে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নেই সবাই মিলে।
তারপর এক এক করে পরিবারের সবাই এসে এসে মিষ্টি মুখ করায় ।ও একটু করে হাতে হলুদ লাগিয়ে দেয় ,সাথে ফটোগ্রাফি ও করে নেয় ।
সকলের মিষ্টিমুখ করার শেষে, নিত্য করার জন্য অনুষ্ঠান শুরু করা হয় । সেখানে আমার ছোট ভাগ্নে ও আর ও কয়েক জন ভাগ্নি সহজ বেশ কয়েকটি গান এ নিত্য করে ।আর সকলেই মিলে অনেক মজা করি । নিত্য গুলো না হয় আর একদিন আপনার মাঝে শেয়ার করবো। আজকে মত এখানেই শেষ করছি।
এই ছিল আজকের ভাগ্নির গাঁয়ে হলুদের অনুষ্ঠানের কিছু মহত্ত্বের অনুভূতি । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।
Device | Infinix hot 12 play |
---|---|
Camera | 13 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Comments