মাছ কেনার অভিজ্ঞতা
16 comments
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
মাছ কেনার অভিজ্ঞতা
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি মাছ কেনার অভিজ্ঞতা নিয়ে। যদিও মাছ আমি আগে কখনো কিনিনি, এই প্রথম তবে সাথে আপনাদের ভাই ছিল। আসলে আপনাদের ভাই মাছ কিনে আনলে মাছ ভালো লাগে তবে দাম দেখে মনে হয় এই মাছ এতো গুলো টাকা নিয়েছে। সত্যি বলতে বাজার যারা করে তারাই বুঝে আমরা শুধু বলেই শেষ। তবে কিছু দিন আগে আপনাদের ভাইয়ের সাথে গিয়েছিলাম তখন বুঝতে পারলাম আসলে অনেক দাম। সত্যি টাকার কথা শোনলে আর মাছ কিনতে ইচ্ছে করে না। নদীর মাছের তুলনা হয় না । তবে নদীর মাছ অল্প খেলেও স্বাদ অনেক।তবে আমরা ১১ টার দিকে গিয়েছিলাম তাই হয়তো সব ধরনের মাছ পাওয়া যায় নি। তবে যে মাছ গুলো পেয়েছি সব ছিল নদীর। আসলে সব মাছ তো আর কেনা সম্ভব নয় তাই যতদূর সম্ভব কিনে এনেছি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমি শুধু মাছের বাজার অনেক দেখেছি কিন্তু বাজারের ভিতরে কখনো যাওয়া হয়নি। আসলে মাছ বাজারে গেলে মাছের গন্ধে আমি বেশি সময় থাকতে পারি না। আর আমার কাছে সব মাছ দেখে মনে হয় কিনি। আসলে আমার তো মাছ কেনা সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই । তারপর আপনাদের ভাইয়ের সাথে বেশ কিছু সময় মাছ বাজারে ঘুরলাম আর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। তবে আমরা চার থেকে পাঁচ ধরনের মাছ কিনেছি।
এই বেলে মাছের চচ্চড়ি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর নদীর এই সব মাছের স্বাদ অনেক। তাই তো আমি আধা কেজি বেলে মাছ ও এক কেজি নদীর পাশের ছোট মাছ গুলো কিনে এনেছি। সত্যি বলতে মাছ গুলো অনেক ভালো ছিল তবে আমার কাটতে বেশ ঝামেলা হয়েছিল। নদীর যেকোন ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে ভীষণ মজা।
এগুলো হলো টাকি মাছ। আসলে তাজা তাজা টাকি মাছের চচ্চড়ি বা ভর্তা খেতে অনেক মজার। আসলে এই মাছ আমার কাছে ভর্তা করে খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে আমি টাকি মাছ গুলো কিনেতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনাদের ভাইয়া টেংরা মাছ কিনবে। এদিকে টেংরা মাছ প্রায় শেষের দিকে তার জন্য তাড়াহুড়া করে চলে গেছি আর টাকি মাছ কেনা হয়নি। তারপর কিছু টেংরা মাছ কিনে আবার টাকি মাছ কেনার জন্য গিয়েছিলাম তবে আর মাছ গুলো পাওয়া যায়নি।
তারপর আমরা আরো কিছু মাছ দেখলাম। তবে সেই দিন ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে আর কেনা হয়নি। আমরা যেহেতু দেরিতে গিয়েছি তাই বড় ইলিশ গুলো শেষ হয়ে গেছে। আর এই ছোট ইলিশ গুলোর বেশি কাটা থাকে তাই আর কেনা হয়নি। তবে বাচ্চারা মাছ তেমন খেতে চায় না তাই আর ইলিশ কিনিনি।আসলে আমার মেয়েরা শুধু মাংস খেতে চায় আর মাছের মধ্যে শুধু চিংড়ি মাছটা বেশি পছন্দ করে। তাই আমি বেশির ভাগ সময় মাছ থেকে মাংস বেশি কিনি।তবে মাছ আমাদের জন্য বেশি করে একবারে কেনা হয়।যাইহোক বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছি। ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।
তারপর আমরা পুরো বাজার ঘুরে দেখলাম। আসলে দশটার ভিতরে গেলে হয়তো তাজা আর পছন্দ সই মাছ কেনা যায়। তবে আমরা আরো পরে গিয়েছি তাই কয়েক ধরনের মাছ কিনেছি। আর পাবদামাছ গুলো খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে পাবদা মাছের চচ্চড়ি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।অবশেষে মেয়ের জন্য এক
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Comments