মেয়ের জন্মদিনের কেক কেনার মূহুর্ত
22 comments
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।
মেয়ের জন্মদিনের কেক কেনার মূহুর্ত
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি কেনাকাটা পোস্ট নিয়ে । আমাদের প্রতি নিয়ত সব কিছু কেনার প্রয়োজন হয়। তবে কিছু কিছু জিনিস সব সময় অপশনাল হয়ে থাকে। আজ দুদিন ধরে অনেক ব্যস্ততার মধ্যে যাচ্ছি। আসলে দিন দিন বেশি ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। তবে যতই ব্যস্ত থাকি না কেন আপনাদের মাঝে না আসলে আর ভালো লাগে না। যদিও ব্যস্ততার জন্য সময় দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে তারপরও চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে থাকার জন্য। গত শুক্রবারে গিয়েছিলাম মেয়ের জন্য কেক কিনতে।আসলে বর্তমান সব কিছু গেলেই পাওয়া যায় তারজন্য আর আগে থেকে অর্ডার করিনি।যেহেতু শুক্রবার অনেক কিছুই বন্ধ ছিল। তবে আমাদের যা প্রয়োজন তা কিনতে পেরেছি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা প্রথমে গিয়েছিলাম ওয়েসিস বেকারীতে। সেখানে কেকের সাইটে লোক না থাকার কারণে চলে আসলাল বিসমিল্লাহ বেকারিতে।তবে বর্তমান ওয়েসিস বেকারী থেকে থেকে বিসমিল্লাহ বেকারীর জিনিসগুলো কম ভালো নয়। আমি ওয়েসিস এর থেকে বিসমিল্লাহ থেকে বেশি নেই। যেহেতু হাতে তেমন সময় ছিল না তাই মেয়েকে নিয়ে আগে চলে আসলাম কেক দেখতে।যদিও একটা কেক অনলাইন থেকে এনে দিয়েছি। তারপর মেয়ে কেক পছন্দ করলো। আসলে বাচ্চাদের তো পছন্দের শেষ নেই।ওদের সব সময় ভালো কিছু পছন্দ হয়।বলতে হবে আমাদের থেকে ওদের পছন্দ অনেক ভালো।
তারপর মেয়ের কেক পছন্দ হলো।আসলে কেক আনতে গেলে শুধু তো আর কেক আনা হয় না। যাদের বাচ্চা আছে তারা জানে বাচ্চাদের কোথাও নিয়ে গেলে সব কিনতে চায়।তবে যে পরিমাণ কিনতে চায় সেগুলো যদি খাবার জিনিস হয় তা তাহলে না খেয়ে বেশির ভাগ জিনিস নষ্ট করে। তবে বাচ্চা বলে কথা না খেলেও কিনতে তো হবেই। কেক কেনার পরে তাদের আরো কিছু খাবার কিনে দিতে হলো। আবার কয়েক বক্স চকলেট কিনলো বান্ধবীদের দেওয়ার জন্য। তারপর চিপস জুস ইত্যাদি খেল।
তারপর কেক নিয়ে চলে গেল নাম লেখার জন্য। আসলে আমার মনে হয় সব বাচ্চারা কেক পেলে অনেক খুশি। তারপর কেকে কমপ্লিট হলে আরো জিনিস এর প্রয়োজন। তারপর বেশ কিছু অন্য খাবার নিয়ে নিলাম।আসলে বিস্কুট, পাউরুটি সাথে জেলি ইত্যাদি। তবে কেকটি কিন্তু দারুণ ছিল।
তারপর জন্মদিন উপলক্ষে যা যা লাগে সব কিছু কিনতে হলো।তবে বেলুন গুলো পেয়ে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়ে থাকে। তারপর সব কিছু কিনা হলো।আসলে বর্তমান যে হারে সব কিছু দাম তাতে অনেক কিছু কেনা নাগালের বাইরে। কয়েক দিন আগে যে কেক কিনেছিলাম ৫৫০ টাকা পাউন্ড, সেই কেক কিনতে হলো ৬০০ টাকা পাউন্ড। যাইহোক দাম হলেও আমাদের কিনতে হবে কিছু করার নেই। তবে বাচ্চার খুশি হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Comments