সুবাস্ত থেকে কেনাকাটার মূহুর্ত ১ম পর্ব
8 comments
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।
সুবাস্ত থেকে কেনাকাটার মূহুর্ত ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা কেনাকাটা পোস্ট নিয়ে । আপনারা যারা নিয়মিত আমার পোস্ট পড়েন তারা অনেকেই হয়তো জানেন আমি আজ কয়েক দিন ধরে ঢাকায় এসেছি। আসলে দীর্ঘ দিন পরে এলাম ঢাকায়। তাই ভেবেছিলাম বেশ কয়েক দিন থাকবো কিন্তু বাচ্চাদের জ্বালাতন বেশি তাই তারাতাড়ি চলে যেতে হবে। যাইহোক গতকাল একটু বাইরে বের হয়েছিলাম বাচ্চাদের জন্য টুকিটাকি কেনাকাটা করার জন্য। আসলে মানুষের তো আর কেনার শেষ নেই। যাইহোক অনেক দিন পরে গিয়েছি সুবাস্তে কেনাকাটা করার জন্য। সুবাস্তের জিনিস গুলো অনেক ভালো লাগে তবে তারা দামটা একটু বেশি রাখে। আসলে ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা তিন বোন মিলে গিয়েছি।সবাই টুকিটাকি অনেক কিছু কিনেছি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
.
সুবাস্ত থেকে আগে আপু সাথে অনেক কেনাকাটা করেছি তবে এখন প্রায় দশ বছর পরে গেলাম কিনতে।প্রথমে আমরা গেট দিয়ে ভিতরে দিকে চলে গেলাম। আসলে গেটের সামনে রয়েছে চলন্ত সিঁড়ি। আমি আগে অনেক চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠেছি কিন্তু গতকাল হঠাৎ কেন উঠতে ভয় লেগেছিল। আসলে বর্তমান বাচ্চারা কোন কিছু দেখে ভয় পায় না।আমার বাচ্চারা কখনো ঢাকায় আসেনি কিন্তু চলন্ত সিঁড়ি দেখে তারা উঠে গিয়েছে একটু ও ভয় পায়নি।
তারপর আমরা চলে গিয়েছিলাম কিছু থান কাপড় কেনার জন্য। আসলে বাচ্চাদের থান কাপড় দিয়ে কয়েকটি জামা বানিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।যদিও বাচ্চারা সব সময় রেডিমেড জামা পড়ে তাই এবার বেশ কিছু থান কাপড় কিনেছি জামা বানানোর জন্য। সব কিছুর দাম অনেক আর কাপড়ের দাম হবে না কেন।তাই দাম নিয়ে আর কিছু বলার নেই। যাইহোক তারপর ১৫০ টাকা করে ১৫ গজ থান কাপড় কিনলাম। তবে এখনো বানানো হয়নি।
তারপর ভিতর দিয়ে আরো কিছু কেনার জন্য গিয়েছি।আসলে কয়েকটি জিনিস কিনতে গেলে তো আর হয় না সামনে পছন্দের জিনিস দেখলে কিনতে হয়। আমার বোন মেয়ের জন্য টুপিস হিজাব ইত্যাদি কিনলো।এদিকে আমি বাচ্চাদের জন্য জুতা পছন্দ করতে থাকলাম। জুতা কিনা নিয়ে হয়তো অন্য দিন পোস্ট করবো।আসলে গিয়েছি সন্ধ্যার পরে তাই অনেক ভীর ছিল। আসলে ঢাকার শহরে লোকজন হয়তো সন্ধ্যার পরেই মার্কেটে যায়।
তারপর আমরা ভিতরে গিয়ে কিছু সময় বসলাম।আসলে ভিতরে বেশ সুন্দর জায়গায় রয়েছে বসার জন্য। কিছু সময় রেস্ট নিয়ে চলে গিয়েছি জুতার দোকানে।সামনে পড়ল লেজের দোকান সেখান থেকে কয়েক গজ লেজ কিনে এনেছি । তারপর আমি চারপাশ দিয়ে একটু ঘুরে দেখলাম। আসলে জায়গাটা অনেক সুন্দর। মাঝে বসে আমরা কিছু হালকা পাতলা খেয়ে নিলাম। বেশ ভালো কেটেছিল আমাদের সময়। আজকের মতো এখানেই শেষ করলাম। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | বাড্ডা, ঢাকা |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Comments