New to Nutbox?

"যাওয়া আসার মাঝে'' - নাটকের রিভিউ

16 comments

nirob70
69
last monthSteemit6 min read

Screenshot_2024-03-26-20-32-11-05.jpg

ছবি স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


হ্যালো বন্ধুরা , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালো আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম , আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করবো ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷

আসলে নাটক দেখতে আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে ৷ আমি সময় পেলেই নাটক দেখার চেষ্টা করি ৷ আগে প্রচুর নাটক দেখতাম , যদিও এখন তেমন একটা দেখা হয় না ৷ তবে অবসর সময় পেলে আমি অবশ্যই নাটক দেখার চেষ্টা করি ৷ আসলে প্রত্যেকটা নাটকে কিছু বিষয়বস্তু থাকে , সেটা আমাদের বিনোদন দেয় - নয়তো শিক্ষা দেয় ৷ আমি মূলত সময়টাকে উপভোগ করার জন্যই নাটক দেখি ৷ পাশপাশি নাটকের শিক্ষনীয় বিষয় গুলো নিজের মাঝে ধারণ করার চেষ্টা করি ৷ যাই হোক , আজকেও চলে আসলাম নতুন একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ তো চলুন এবার নাটকের কাহিনী সংক্ষেপে জানার চেষ্টা করি ৷ অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি ভিজিট করার চেষ্টা করবেন ৷


নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য..

নাটকযাওয়া আসার মাঝে
পরিচালকপথিক সাধন
লেখকঅপূর্ন রুবেল
শিল্পীখাইরুল বাসার , তানজিম সাইয়ারা তটিনী , শিল্পী সরকার অপু , নরেশ ভূঁইয়া ,আনোয়ার হোসাইন , সেলিম শেখ এবং আরো অনেকেই
সম্পাদনা ও রঙমো: লিংকন
চিত্রগ্রাহকএইচ এম জামান
ভাষাবাংলা
দৈর্ঘ্য৪২ মিনিট
প্রকাশইউটিউব , ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং


কাহিনী সংক্ষেপে



Screenshot_2024-03-26-20-22-43-78.jpg

Screenshot_2024-03-26-20-22-58-88.jpg


নাটকের শুরুতে গল্পের নায়িকা লাবনী ( তটিনী ) কে দেখা যায় ৷ সে তার বান্ধবীদের সাথে কলেজে এসেছে রেজাল্ট দেখার জন্য ৷ রেজাল্ট দেখার সময় হঠাৎ তার ফোনে ফোন আসে ৷ তার মা তাকে ফোন দিয়েছে ৷ মায়ের ফোন রিসিভ করতেই সে জানতে পারে তার বাবা বাথরুমে পড়ে গেছে এখন বেশ অসুস্থ ৷ তাই তাকে বাসায় আসতে বলে ৷ লাবনীও আর দেরি না করে বাসার উদ্দেশ্য রওনা দেয় ৷ বাসায় এসে দেখতে পারে তার বাবা বেশ অসুস্থ ৷ বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে অনেকটাই চোট লেগেছে ৷ বাবার এমন অবস্থা দেখে লাবনীর অনেকটাই মন খারাপ হয় ৷


Screenshot_2024-03-26-20-23-25-27.jpg

Screenshot_2024-03-26-20-24-02-32.jpg


পরের দিন লাবনী তার বাবাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায় ৷ ডাক্তার তার বাবাকে দেখে আরো অনেক সমস্যার কথা জানায় ৷ তার বাবাকে বেশি বেশি খেতে বলে এবং যত্ন নেওয়ার কথা বলে ৷ পাশাপাশি পায়ের আঘাতে প্রতিদিন ডেসিন করানোর কথা বলে ৷ লাবনীর বাবা বেশ অসুস্থ , তাই প্রতিদিন ডাক্তারের চেম্বারে এসে ডেসিন করা সম্ভব নয় ৷ এজন্য লাবনী এতজনকে খুঁজছে যে প্রতিদিন তাদের বাসায় গিয়ে তার বাবাকে ডেসিন করাবে ৷ কিন্তু অনেক খোঁজার পরও এমন মানুষ পায় না সে ৷ শেষমেশ একজনের কাছে আশ্বাস পায় ৷ তবে তার লোক রাজি হবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই ৷


Screenshot_2024-03-26-20-24-20-15.jpg

Screenshot_2024-03-26-20-24-31-79.jpg


পরের দিন গল্পের নায়ক শিহাব ( বাসার ) লাবনীদের বাসায় আসে তার বাবাকে ডেসিন করার জন্য ৷ কিন্তু লাবনী বুঝতে পারে না এই সেই লোক ৷ এজন্য প্রথম বার একটু বিরক্ত হয় ৷ কিন্তু পরে যখন জানতে পারে শিহাব তার বাবাকে ডেসিন করানোর জন্য এসেছে তখন নিজে নিজেই কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে যায় ৷ যাই হোক , এরপর সিহাব এসে লাবনীর বাবার ডেসিন করায় ৷ এরপর সিহাব প্রতিদিন আসে লাবনীর বাবার ডেসিন করার জন্য ৷ তাতেই লাবনীর সাথে সিহাবের টুকটাক কথা হয় প্রতিদিন ৷


Screenshot_2024-03-26-20-24-52-73.jpg

Screenshot_2024-03-26-20-25-22-10.jpg


এখান থেকেই তাদের পরিচয় ৷ সিহাব তাদের বাসায় প্রতিদিন আসে তার বাবার ডেসিন করার জন্য ৷ এজন্য তাদের টুকটাক কথা হয় , পাশাপাশি প্রয়োজনে আরো ফোনে টুকটাক কথা হয় তাদের ৷ এভাবেই চলছে ৷ কিন্তু কিছু দিন পর লাবনী জানতে পারে তার বাবার কিছু হয়ে গেলে তারা আর এই বাসায় থাকতে পারবে না ৷ এমন কিছু একটা শর্ত আছে ৷ একটা শোনার পর লাবনী আরো কিছুটা ভেঙ্গে পরে ৷ একদিকে বাবার অসুস্থতা অন্যদিকে বাবার কিছু হলে কি হবে সেটার চিন্তা ৷ সব মিলিয়ে লাবনীর অবস্থা অস্বাভাবিক ৷


Screenshot_2024-03-26-20-25-37-61.jpg

Screenshot_2024-03-26-20-26-15-34.jpg


পরের দিন যখন সিহাব লাবনীর বাসায় আসে তার বাবার ডেসিন করার জন্য ৷ তখন ডেসিন শেষে লাবনী সিহাবের হাত ধরে অনুরোধ করে তার বাবাকে সুস্থ করার জন্য ৷ আর এই মুহূর্তটা দেখে ফেলে একটি ছেলে ৷ সেই ছেলেটি আরো একটি ছেলেকে এসব কথা বলে দেয় ৷ সেই ছেলেটা লাবনীকে পছন্দ করে ৷ তাই লাবনীর ব্যাপারে এসব কথা শুনে রেগে যায় এবং রাস্তায় সিহাবকে দার করিয়ে হুমকি দেয় ৷ যাতে সিহাব লাবনীর বাসায় আর না যায় এবং লাবনীর সাথে না মেশে ৷


Screenshot_2024-03-26-20-28-23-22.jpg

Screenshot_2024-03-26-20-29-13-29.jpg


কিন্তু সিহাব তাদের কথা না শুনে তার দায়িত্ব পালনে সে লাবনীর বাসা যায় এবং লাবনীর সাথে মেলা মেশাও করে ৷ আর এসব দেখে সেই ছেলেটা মেনে নিতে পারে না ৷ এজন্য সিহাবকে রাস্তায় দার করিয়ে আরো কিছু ছেলেপেলে মিলে সিহাবকে প্রচুর মার মারে ৷ যার জন্য সিহাব অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং লাবনীর বাসায় যেতে পারে না তার বাবার ডেসিন করার জন্য ৷ এদিকে সিহাব না আসায় লাবনী অস্থির হয়ে পরে ৷ তার সাথে কোনো ভালে যোগাযোগ ও করত্ পারছে না ৷ এদিকে তার বাবার ডেসিন করার জন্যও কাউকে পাচ্ছে না ৷ তখন সেই ছেলেটা ডাক্তার নিয়ে আসে তার বাবাকে দেখানোর জন্য ৷ কিন্তু তার বাবার প্রয়োজন ডেসিন করার ৷ তবে ডাক্তার তো ডেসিন করে না ৷ ডেসিন করার জন্য আলাদা একজন কে দরকার ৷


Screenshot_2024-03-26-20-29-47-06.jpg

Screenshot_2024-03-26-20-30-06-72.jpg


পরে লাবনী খোঁজ নিয়ে সিহাবের মেসে আসে ৷ সিহাবের মেসে এসে সিহাবের বাজে অবস্থা দেখে অবাক হয় এবং জানতে চায় কে এমন করেছে তার সাথে ৷ কিন্তু সিহাব কিছু বলে না ৷ লাবনী বুঝতে পারে সেই ছেলেটাই এমন করেছে ৷ এজন্য লাবনী সিহাবের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ৷ কারন তার জন্যই সিহাবের এমন অবস্থা হয়েছে ৷ তাদের কথা বলার মাঝে হঠাৎ আবারও লাবনী ফোনে ফোন আসে ৷ এবং জানতে পারে বাবার অবস্থা ভালো নেই ৷ তাই তারাতারি করে লাবনী এবং সিহাব লাবনীদের বাসায় আসে ৷ এবং বাসায় এসে লাবনী দেখতে পারে তার বাবা আর নেই ৷ লাবনী ভেঙ্গে পড়ে বাবাকে হারিয়ে ৷ সে সময় সিহাব তাকে সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করে ৷ পরবর্তীতে লাবনী এবং তার মাকে বাসা ছাড়াতে হয় ৷ তখন সিহাব ছিলো তাদের পাশে ৷ সব কিছু নিয়ে তারা সিহাবের গ্রামের বাড়ির দিকে আসে ৷ লাবনী আর সিহাব একসাথে বসে আছে গাড়ির উপরে হাতে হাত রেখে ৷ আর গাড়ি চলতে আছে ৷ এখানেই গল্পটা শেষ হয় ৷


Screenshot_2024-03-26-20-30-39-53.jpg

Screenshot_2024-03-26-20-31-45-25.jpg



রেটিং:-০৭

আমার মতামত:-

যাওয়া আসার মাঝে এই নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে ৷ তবে নাটকের গল্পে তেমন কিছু নেই ৷ এই নাটকটি ভালোবাসার একটি নাটক ৷ যার শেষটা হয়েছে মধুর মিলন ৷ আসলে ভালোবাসা হয় মনের গভীর থেকে ৷ আর সেই ভালোবাসা পূর্ণতা পেলে সবটাই সুন্দর লাগে ৷ যাই হোক , খাইরুল বাসার আর তটিনীর এই নাটকটি বেশ ভালো ছিলো ৷ ভালোবাসা মিষ্টি একটি নাটক ৷ তাদের সবার অভিনয় অসাধারণ হয়েছে ৷ চাইলে নাটকটি দেখে আসতে পারেন , নিচে নাটকের লিংক দেওয়া আছে ৷



নাটকের লিংক:-




ধন্যবাদ সবাইকে



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


20230619_2027351.gif


Comments

Sort byBest