New to Nutbox?

হঠাৎ রুপগঞ্জ ভ্রমন-১০% @shy-fox 🦊 এবং ৫% @ abb-school 📚এর জন্য বরাদ্দ।

16 comments

maksudakawsar
72
2 years agoSteemit4 min read

আসসালামু আলাইকম

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।
ভ্রমন বিলাসী আমি ছুটি ও অবসর পেলেই ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি, আনন্দ পাই। আর সেই সাথে মন কে শান্ত ও প্রানবন্ত করতে ভালবাসি। তাই সুযোগ পেয়েই চলে গেলাম ঢাকার মধ্যেই এক অপরুপ প্রকৃতি ঘেরা পরিবেশে। সাথে ছিল আমার ছোট ভাই। আমি আসলে বুঝতে পারিনি সেদিন কোথাও ঘুরতে যাবো। হঠাৎ ফোন আসলো জরুরী কাজে শ্বশুরবাড়ী যেতে হবে। যেহেতু দিনে দিনে ফিরে আসতে হবে তাই তাড়াতাড়ি করে ছোট ভাই কে নিয়ে সকাল সকাল রওনা দিলাম রুপসী, রপগঞ্জের উদ্দেশ্যে।

image.png

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E

রুপসী স্ট্যান্ডে নামলে দেখা যায় সেখানে অনেক অনেক অটো দাড়িঁয়ে থাকে, সেখান থেকে এই মামার অটো ভাড়া করে নিয়ে চললাম শশুরবাড়ীর ঠিকানায়। অটোতে উঠেই আমার ভাই শুরু করে দিলো মামার সাথে গল্প। গল্পের মধ্য দিয়ে বুঝতে পারলাম একজন অটো চালকের দিন যাপন। মামা সিফটিং করে অটো চালায়।যেদিন সকালে অটো চালায় সেদিন বিকালে অন্য কাজ করে। আবার যেদিন বিকালে অটো চালায় সেদিন মামা সকালে অন্য কাজ করে। কিছুক্ষন পরে বুঝতে পারলাম যে মামার সাথে আমার ভাইয়ের কোন ভাল একটা সম্পর্ক হয়ে গেছে। তাই অটো মামা আমার ভাইকে জিজ্ঞেস করল মামা ঢাকায় যাইবেন কখন আমি আজকে দুই বেলাই চালামু । আপনারা যাওয়ার সময় আমারে ফোন দিয়েন আমি নামাইয়া দিমুনে।
এরই মধ্যে আমরা পৌছে গেলাম শশুরবাড়ী। ততক্ষনে বেলা একটা বেজে গেছে।

image.png

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E

দুপুর এর খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট করে নিলাম। এরই মধ্যে শ্বাশুরীর সাথে বসে আমার জরুরী প্রয়োজটা ও সেড়ে ফেললাম । কারন ঢাকায় তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। পরদিন আবার অফিস আছে। তাই বাড়ীতে প্রয়োজন সেড়ে আর সবার সাথে দেখা করে নিলাম। ততক্ষনে বিকেল ঘরিয়ে এসেছে। তাই আর দেরী না করে অটো মামা কে ফোন দিতে বললাম। মামা আসলে আমরা বিদায় নিয়ে নিলাম এবং ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিলাম।
মামার গাড়ীতে উঠে যাচ্ছি কিন্তু মামা এবার আমাদের কে স্ট্যান্ডের রাস্তা দিয়ে না এনে মুড়াপাড়া দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মামা নাকি আমাদের কে এক দোকানের চা খাওয়াবে । আর চা নাকি না খাওয়ালে তার হবে না। তাই উপজেলায় নিয়ে গেল আমাদের কে। আমরা উপজেলায় পৌছলাম এবং সেখানে চা খাওয়ার জন্য মামার অটো হতে নামলাম।

image.png

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E

এবার মামা একটা গ্রাম্য টং এর দোকানে আমাদের নিয়ে গেল আর চা দোকানদার কে বলল দুলাভাই ঢাকার মেহমান। তারাতারি তিন কাপ চা দেও। যেই বলা সেই কাজ মাত্র কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যেই চা তৈরি হয়ে গেল। সত্যিই অনেক স্বাদের ছিল সেই চা এর স্বাদ। এত বছর হয়ে গেল কিন্তু কোন দিন উনার দোকান এর চা আর আমার খাওয়া হয়নি। অবশ্য এর একটি অন্যতম কারন আমরা তো ঐ দিকে কম যাই।

image.png

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E

চা শেষ করে তাড়াতাড়ি অটোতে উঠে পরলাম। কারন আমার সত্যই অনেক তাড়া আছে। মামা ততক্ষনে আমাদের কে নিয়ে আসতে আসতে অটো চালাতে থাকে আর একটা একটা করে জায়গার পরিচয় দিতে থাকে। কিছুদূর যেতেই চোখে পড়ে যায় গাজী সেতু। এখানে বিকেলের পর হতে মানুষ ঘুরতে আসে, ছবি তোলে, এটা ওটা কিনে খায়, আরো অনেক কিছু।
ঈদে শ্বশুরবাড়ী গেলে আমরাও মাঝে মাঝে সময় কাটানোর জন্য এখানে আসি। এখানে আবার ঈদের সময় মেলা বসে খেলাধুলা হয়। তখন জায়গাটা বেশ ভালোই লাগে।

image.png

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E

অটো মামা কিছু টা ধীরে ধীরে যাওয়ায় দুপাশের প্রকৃতির দৃশ্যগুলো ভালই লাগছে একে বারে মনের মধ্যে হাওয়া বইতে শুরু করলো । কিছু দূর যেতে চোখে পড়ল বাংলার এক অপরুপ দৃশ্য। যা শুধুই দেখলেই মন ভরে না। ভেবে দেখলাম এমন দৃশ্য কি আমার প্রিয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার না করে থাকা যায়? তাই আর দেরী না করে সে গুলো কে ক্যামায় নিয়ে নিলাম।
শীতলক্ষ্যা নদীর এমন দৃশ্য যা সত্যিই অপরুপ। নদীর উপর আকাশের গা ঘেষে চলে যাচ্ছে মেঘের রাজারা। আর আমরা তখন রুপগঞ্জ ওয়াটার প্রকল্পের কাছাকাছি।

image.png

image.png

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E

অটো মামা কিছু দূর যেতেই দেখলাম রুপগঞ্জ ওয়াটার প্ল্যান্ট প্রকল্প। যা বিশাল এলাকা নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। আর এই প্রকল্পটি শীতলক্ষ্যা ঘেষেই হচ্ছে। রুপগঞ্জ বাসি মানুষের পানির চাহিদা মেটাতেই নাকি এই ওয়াটার প্ল্যান্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

image.png

image.png

ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E

না দেরী করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলো। তাই আমরা মামাকে বললাম তাড়াতাড়ি রুপসী স্ট্যান্ড চলে যেতে। মামা এবার আমাদের কথা মত খুব দ্রুত পসী স্ট্যান্ড পৌছে গেল। আর আমরাও মামার কাছ হতে বিদায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম।

ফটোগ্রাফির বিবরন
ক্রমিকবিবরনপরিমান
1ডিভাইসViVO-B21E
2ফটোগ্রাফার@maksudakawsar
3ভৌগলিক অবস্থানরুপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
তো বন্ধুরা শেষ হয়ে গেল রুপসী ভ্রমনের ইতিবৃত্ত।
ভাল থাকো, সুস্থ্য থাকো।

🕵🏾 আমার পরিচয়🕵🏾
আমি মাকসুদা কাউছার, খিলঁগাও, ঢাকায় বসবাস আমার। আমি গল্প পড়তে ও লিখতে পছন্দ করি। আমি ভালবাসি আমার মা যিনি আমাকে এই পৃথিবী দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর ভালবাসি মায়ের ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে।

image.png

Comments

Sort byBest